পর্ব ২০:
দেখতে দেখতে ৪দিন পার হয়ে গেল, আজ বাদ কাল তাদের অর্থাৎ আহমাদ ও ফারিহার ফ্লাইট। শেষবারের মত গোছ-গাছ ও তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নিচ্ছে সব নিয়েছে কিনা, ফ্লাইট আগামীকাল রাত ২টায়। যা হোক হাতে শুধু আজই আছে, তাই বেশি বেশি দোআ করছে দুজনই। ফারিহার বাবা-মা আজ চলে এসেছেন প্রায় সাড়ে ৪ঘণ্টা ভ্রমণ করে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। ফারিহার মা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাই শরবত বানিয়ে দিল ফারিহা। আর আহমাদ সূরা ফাতিহা ৪১বার পাঠ করে ফুঁ দিয়ে দিল। ফারিহার মা কিছুক্ষণ পর সুস্থতা বোধ করলে একটা গোসল দিলেন। এখন তার অনেকটায় ভালো লাগছে। এবারে ফারিহার বাবা-মা হাল্কা রেষ্ট নিতে থাকলেন। ঘড়িতে যখন আড়াইটা তখন ফারিহার বাবা-মাকে ডাকা হল এবং সকলে একসাথে দুপুরের খাবার খেতে বসলো। গল্প করে খাওয়া চলছে এমনসময়, দরজায় এক ফকির কড়াঘাত করলে আহমাদ তাকে খেতে দিল। একপর্যায় খাওয়া শেষ হলে ফকির দোআ করে চলে গেল। সকলের খাওয়াও প্রায় শেষ এবার জমিয়ে আড্ডা মারল সবাই। এভাবে আসর, গড়িয়ে মাগরিব হয়ে বাসায় ফিরল। এবারে আহমাদের জন্য surprise অপেক্ষা করছে, সেটা হল আহমাদের দাদা-দাদী ও নানা-নানী চলে এসেছেন শুধুই তাদের জন্য। আবার শেষ বারের মত আড্ডা ও তার ফাঁকেফাঁকে গোছ-গাছ সেড়ে নিচ্ছে কারণ আজই তাদের ফ্লাইট তারা বের হবে ১০টায় রাত। একপর্যায় এশা হল দাদী আহমাদ ও ফারিহাকে খাইয়ে দিলেন। এক ফাকে নামাজ শেষ করে নিল। এভাবে বিদায় নেওয়ার সময় কাছিয়ে এল তাই একে একে সবার সাথে বিদায় নিলে বাকি থাকল শুধু দুই পরিবার। এবার গাড়ীতে উঠার পালা সবার সাথে বিদায় নেওয়া হলে গাড়ী তাদের নিয়ে চলতে আরম্ভ করল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। যখন তারা পৌছল এয়ারপোর্ট তখন বাজল ৯:৫৫মিনিট। তাই কিছুক্ষণের মধ্যে ঢুকবে তারা, বিদায়বেলায় কান্নার রোল পড়ল। কাঁদোকাঁদো চোখে বিদায় নিল দুজনেই দুজনের বাবা-মা থেকে। উভয়ের বাবা-মা দোআ করলেন, তারা যেন ভালোভাবে পৌছে। যা হোক, তারা বুকিং দিয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করছে। এসকল আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে প্লেনে উঠল ১:৫০মিনিটে। একপর্যায় প্লেন তাদের নিয়ে উড়তে আরম্ভ করল সৌদির উদ্দেশ্যে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30056670/draft/0
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮