পর্ব ২৩:
১সপ্তাহের ব্যবধানে আহমাদ ও ফারিহার ক্লাস টেস্ট শেষ হয়ে গেল। পরীক্ষাগুলো ভালোই হয়েছে। তাই তারা আরোও সিরিয়াস হয়েছে। আহমাদ যে দোকানে কাজ করত তাকে বলল, আমি আজ থেকে সাড়ে ৪টায় বিকেলে আসবো কারণ আমার মাদ্রাসায় একটু বেশী সময় থাকতে হবে। তার বস তাকে অনুমতি দিল আর বলল, পড়ার ক্ষেত্রে কোনোই আপোষ নেই। যা হোক মাদ্রাসায় তাদের পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে, ক্লাস শেষে তার মাদ্রাসায় কম্পিউটার বিভাগে কাজও ঠিকমতো চলছে। আহমাদের বাসায় ফিরতে রাত সুয়া ৯টা বাজে। সবকাজ শেষ করে বাসায় আসে তারপর হাল্কা খেয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসে। রাত সড়ে ১০টায় ঘুমাতে যাওয়া এরপর তাহাজ্জুদের সময় উঠা পরে নামাজ শেষ করে আজকের পড়াগুলো ঝালিয়ে নেওয়া এভাবেই তাদের পড়াশুনার সময় বের করে। আজ আহমাদ বড্ড ক্লান্ত তাই বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বাবা-মার খবরাখবর নিল। ফারিহা সারাদিন বাসায় একা পড়ে থাকে। কাজের ফাঁকেফাঁকে পড়াশুনা চালিয়ে যায় সেও। তাদের দুজনকেই প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাছাড়া পড়ার চাপ একটু বেশী তাই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আসতে আসতে ঠিক হয়ে যাবে। যা হোক এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনগুলো, পরীক্ষা শেষ। একমাসের ব্যবধানে ১ম সেমিস্টার ফাইনাল শুরু হবে তাই পড়াগুলো দুজনেই গুছিয়ে নিচ্ছে। পরীক্ষা কাছিয়ে এলে ব্যস্ততাও বেড়ে যায় দুজনের। বাংলাদেশে কথা বলতে বলতে মায়ের কাছ থেকে দোআ নিয়ে নিল দুজনে। এরপরে বাবার সাথে কিছু কথা বলে বিদায় নিয়ে নিল। দেখতে দেখতে পরীক্ষা এসে পড়ল। আগামীকাল ১ম পরীক্ষা। এরপর লাগাতার ১মাস চলবে পরীক্ষা। আজকেরটাই সবচেয়ে কঠিন বিষয়, তাই এটি ভালো হলে বাকিগুলোও ভালো হবে। দীর্ঘ ৪ঘণ্টা কাটিয়ে দুজনে বের হল, আর ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বাড়ী ফিরে গেল। এভাবে একদিন পরীক্ষাও শেষ হয়ে গেল। আর বাবা-মাকে দেখার জন্য আজই টিকেট কাটল। ফ্লাইট বিকেল ৪টায়, বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় পৌছবে। সকল প্রস্তুতি নিয়ে ইমিগ্রেশন পার করল আর প্লেনে উঠল, একপর্যায় প্লেন সৌদিআরব ছেড়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হল।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30059421/blog/0
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪