পর্ব ২৪:
অবশেষে প্লেন এসে পৌছল ঢাকায়, তারা অবতরণ করতেই কিছুক্ষণ পরে আহমাদের বাবা-মা গাড়ী নিয়ে হাজির। বেরিয়ে এসে বাবা-মাকে সালাম দিল দুজনেই। মা দুজনকেই বুকে টেনে নিলেন, এরপরে বাবার সাথেও আলিঙ্গন হল। অতঃপর বাড়ী ফেরার পালা। বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে খানা খেতে বসল, দীর্ঘ ৮মাস পর এলো আবার আসতে পারবে ৯মাস পর। সামনে কুরবানি তাই মোটা অংকের টাকা নিয়ে এসেছে। এবারে খানার পালা শেষ হলে বাবা-মা ও ভাই-বোন মিলে বাগানে হাটতে বের হল তখন সাড়ে ১০টা বাজে। কিছুসময় হাটার পর বাড়ি ফিরে আড্ডা জমাল তারা। আর এই আড্ডাতে পূর্ণতা দিল গরম গরম দুধ পরিবেশন। কিছুক্ষণ গল্প করে যে, যার যার রুমে চলে গেল। আজ সকলেই ক্লান্ত তাই একটু তাড়াতাড়ি বিছানা গুছিয়ে শুয়ে পড়ল। আহমাদ ও ফারিহা বাবা ও মাকে চুপি চুপি ১টি উপহার দিল। মা-বাবা দুজনেই খুশি হলেন আর দোআ করে দিলেন। এবারে তাদের থেকে বিদায় নিয়ে আহমাদ ও ফারিহা নিজেদের রুমে গেল, আর ঘুমিয়ে পড়ল। শেষরাতে উঠতে হবে। ঘুমের দোআ পড়ে আল্লাহর নামে ঘুম দিল দুজনেই। ঘুমটা গাঢ় হতেই একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখল আহমাদ যে, একটা ঝড় এসে তাদের সুন্দর পরিবারকে তছনছ করে দিচ্ছে। আর সে দেখল, সে আরেকজন যাকে আগে বিয়ে করেছিল সে বেচে আছে। এটা দেখতেই আহমাদ চিৎকার দিল আর ঘর্মাক্ত হয়ে জ্ঞান হারাল। সবাই তার রুমে এসে হাজির আর তাকে পানি ছিটা দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কিছতেই কিছু হচ্ছে না। এতে হীতে বিপরীত হল, তার চোখ উল্টে যাচ্ছিল আর খিচুনি চলে এল। গাঁয়ের তাপমাত্রা অনেক বেশী ১০৪ডিগ্রী জ্বর। দ্রুত বাবা তার ডাক্তার বন্ধুকে জানালে তিনি তাকে তার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললেন। বাবা-মা সহ সকলেই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেল আর সেখান থেকেই দ্রুত তাকে intencive care এ নিয়ে গেল।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/editpost/30069690/draft/0
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২