পর্ব ২৬:
অনেক কাঠখোট্টা পেরিয়ে অবশেষে আহমাদকে নিয়ে যাওয়া হল তারই এক হুজুরের কাছে। হুজুর অনেকক্ষণ ধরে তাকে পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ও বেশ ভয় পেয়েছে যার কারণে সে কথা বলতে পারছে না। ইতিমধ্যে একজন মেয়ে আসল আর দাবী করে বসল যে আহমাদ তার স্বামী। একথা শুনে আহমাদের বাবা-মা ও তার স্ত্রী ফারিয়ার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। আহমাদের মা একটু রাগ করেই বললেন, তোমার কোনোই অধিকার নেই এরকম দাবী করার। ও অসুস্থ নইলে সে এখানেই তোমাকে একহাত দেখিয়ে দিত। মেয়েটি বলল, আমি আপনাদের সকলকেই চিনি তাই আপনাকে মা সম্বোধন করেই বলছি। মা দেখেন এই আমাদের বিয়ের ছবি ও আমাদের কাবিননামা, আমি মিথ্যা বলিনি আর যদি বলেই থাকি তাহলে এই ছবিগুলো মিথ্যা বলছে না। যা হোক, এহেন পরিস্থিতিতে ফারিয়া জ্ঞান হারাল ভার সইতে না পেরে। এবারে বাবা-মা উভয়ে পড়লেন উভয় সংকটে। ডাক্তার uncle যিনি তাদের সাথেই ছিলেন তিনি এসে ফারিয়াকে হাসপাতালের কেবিনে নিয়ে গেলেন আর তার সাথে ফারিয়ার ভাই ও বাবা ছিলেন। যা হোক, আহমাদ এতক্ষণে চোখ খুলল আর তার চোখ বেয়ে পানি ঝরছিল। এবার একটু flash back এ যাওয়া যাক, আজকে আহমাদের বয়স ২৯ বছর। আজ থেকে ১০ বছর পূর্বে আহমাদের প্রথম মা থাকা অবস্থায় তাদের অবস্থা অনেক করুণ ছিল। ঐ সময়ে আহমাদ ১২শ শ্রেণীর ছাত্র তখন সে নিজের টিউশনি দিয়ে নিজের খরচ চালাত। তখন তার ছোট্ট বোন দুটি সবেমাত্র হয়েছে। এমন সময় আহমাদের ক্লাসমেট ছিল রাজিয়া যে কিনা তাকে অনেক পছন্দ করতো। তখনোও ফারিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়নি। এসময় আহমাদ ও রাজিয়ার সম্পর্কের কথা আহমাদের মাই শুধু জানতেন। এদিকে আহমাদের intermediate এর রেজাল্ট বের হলে আহমাদ golden GPA পায় কিন্তু রাজিয়া শুধু ৪ পয়েন্ট পায় যার কারণে ওর বিয়ের জন্য তোলপাড় শুরু করে দেয়। আর রাজিয়া আর কোনো উপায় না পেয়ে আহমাদের মার কাছে যায় আর তাকে সবকিছু খুলে বলে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Naeeim/newpost
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৮