রাজা: রাজার আসলে কোন কাম কাজ নাই। সে উমাইন্না মুরগীর লাহান খালি ঝিম মাইরা বইয়া থাকে আর সবার কাজকম্ম দেখে - আকাইম্মা আর কারে কয়। থাকে রানীর পাশেই তয় ক্ষমতায় তার চুলও না। তারপরেও তারে লইয়াই খেলা। মাঝে মাঝে যখন কাউরে দিয়া কাম ঠিকমতো হয় না রাজা নিজেই পদক্ষেপ লয়, তয় মূহুর্তেই কোনঠাসা হইয়া যায়। মোল্লার দৌড় যেমন মসজিদ পর্যন্ত, রাজার দৌড়ও তেমনিভাবে যেকোন দিকে একঘর - আপচুস!
রানী: ক্ষমতা বইলা যদি কিছু থাকে তো সেইটা হইলো গিয়া রানীর। স্বভাবতভাবেই রানীর ক্ষমতা রাজার চেয়ে অনেক বেশি। সেই পুরা বোর্ড দাপায় বেড়ায়। যেদিকে খুশি, যতোদূর খুশি, যখন খুশি যাইতে পারে, যার খুশি ১২টা বাজাইতে পারে। সবার সাথে সম্প্রীতি বজায় রাখা ও কোর্টে তার শাসন কায়েম করাই রানীরই কাজ। রাজা তো শুধু নামের রাজা, রানীই কোর্টে আসল খেলোয়াড়।
হাতি: যদিও নাম হাতি এরা আড়ালে থাকতেই পছন্দ করে। চলে কোনাকুনি (ত্যাড়া)। তাইলে আপনি জিগাইতে পারেন অগো নাম হাতি ক্যান। ঐটার একটা পাড়া আপনার কোর্টে পড়লে বুঝবেন কতো ধানে কতো চাল। মূহুর্তেই আপনি নিরাপদ অবস্থান থেকে সরে যেতে পারেন, খেল পাল্টে যেতে পারে। রানীর সাথে হাতির সমন্বিত চাল মানে আপনার বিপদ আসন্ন - দৌড়ান।
ঘোড়া: ঘোড়া হইতাসে কোর্টের তিড়িংবিড়িং গুটি। লাফাইয়া লাফাইয়া যায়। আপনি দুই ঘর, তো সে আড়াই ঘর। কোর্টে এদের আচরণ অনেকটা ভাঁড়ের মতো। রাজা বা রানীর কোন বিপদে এরাই সবার আগে এগিয়ে আসেন। রানী ও ঘোড়ার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে কোন চাল চাললে তা দমানো কষ্টসাধ্য।
কিস্তি/নৌকা: ইহারা কোর্ট হইতে তেমন একটা বের-টের হয় না। যায়গায় বসিয়াই পূর্ণ মজা গ্রহণ করে। ইহারা শুধু সামনে-পিছনে আর ডানে বামে চলতে পারে।
সৈন্য: সৈন্য হইতেসে আমার ও আপনার মতো আম-পাবলিক। কর্পোরেট নীতি রক্ষার নিমিত্তে রাজার নির্দেশে নিজ লাভের জন্য এইসব সৈন্যের অধিকাংশকেই খেলার শুরুতেই কোরবানী করা হয়। কিন্তু অনুগত সৈন্য যারা এতোকিছুর পরও টিকে থাকে ও অপরপক্ষের অষ্টম ঘরে পৌঁছাতে তাদেরকে রাজা পুরষ্কৃত করেন হাতি-ঘোড়া-রানী বানিয়ে।
এ পর্যন্তই। ভালো থেকো বাচ্চারা (সম্ভব হলে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




