somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে বিষয়গুলো

২২ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সুস্থতা সবচে' বড় নেআমত। এর মূল্য আমরা যারা সুস্থ, আমাদের হয়তো অতটা বুঝে আসবে না। অসুস্থ হওয়ার পরেই কেবল সুস্থতার মূল্য অনুধাবন করা সম্ভব।



আমরা যা খাই প্রতি দিন

আচ্ছা, প্রতি দিন আমরা যা খাই, একটিবার ভেবে দেখেছেন কখনও? আমরা কী খাচ্ছি? ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। কথায় রয়েছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। ভাত ছাড়া আমাদের চলে না। চাল ফুটিয়ে, সিদ্ধ করা এই যে ভাতের লোকমাটি মুখে তুলে নিচ্ছেন পরম তৃপ্তি-পরিতৃপ্তিতে, একবারও কি ভেবে দেখেছেন, আপনার পছন্দের খাবার এই নিরীহ বীজ চালের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বিষ? পাকা সুদর্শন যে কলাটি আপনি কিনে নিয়ে এসেছেন এই মাত্র বাজার থেকে। আপনার কি জানা আছে, কতটা ধাপে নিরুপদ্রব এই কলাটিতে প্রবেশ করানো হয়েছে বিষের বীজ? শুধু কলা কেন? বানিজ্যিকভাবে চাষ করা প্রতিটি ফল এবং ফসলেরই এখন এক অবস্থা। মাত্রাতিরিক্ত বিষের প্রয়োগে ত্রাহি ত্রাহি কান্ড এদের। গাছের বীজ বোনার পূর্ব থেকে শুরু হয় মাটিতে সার দেয়ার কাজ। এরপরে চারা গজানোর পরে আবার দেয়া হয় সার। ছিটানো হয় কীটনাশক। কীটনাশকের পরিষ্কার বাংলা, বিষ। জীবনঘাতী এই বিষের সাথে গাছ, শস্যলতা ইত্যাদির পরিচয় ঘটে একেবারে জন্মের পরপরই। শিরা-উপশিরায় তারা বহন করে বিষের এই যন্ত্রনা। আজীবন। অত:পর নরম শরম এই চারাটিতে ধাপে ধাপে প্রয়োগ করা হয় সার। এই সারের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে বৃক্ষ সন্তানের কচি কোমল দেহ। একসময় গাছ কিংবা লতাটি পূর্নবয়স্ক হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে দেয় উপযু্ক্ত বয়স হবার পূর্বেই। সন্তানবতী হওয়ার তাড়না অনুভব করে সে তার ভেতরে। ফুলের কলি মেলে দেয় সে। সার, কীটনাশকের প্রভাবে তার ভেতরে তৈরি হয় ভিন্ন এক অবস্থা। বিষের পরে বিষ। ফুল ফোটার পরপরই কচি ফুলের ডগায় আবার দেয়া হয় বিষের স্প্রে। একসময় ফুল থেকে মুকুল আসে। আবার করা হয় স্প্রে। বিষের ছোঁয়ায় আবারও দ্বিধাবিভক্ত হয় সে। জাগ্রত-মোহাচ্ছন্ন হয় সে। ফুলের সংক্ষিপ্ত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে তার। ঝড়ে যায় সে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে। ফলের গুটি আসে বৃক্ষ লতায়। কিন্তু প্রশান্তির পরশ নেই কোথাও। ছোট্ট এই গুটিকে অভিবাদন জানানো হয় আবার বিষের ছিটে দিয়ে। পোকা মাকড় থেকে মুক্ত রাখার প্রচেষ্টায় তাকে আবারও বিষ হজম করে যেতে হয়। এবং এই ফলটি পাকা অবদি কয়েক ধাপে আরও বার কয়েক তাকে এই স্প্রের কবলে পড়তে হয়।



একসময় ফল ফসল হয়ে ঘরে আসার সময় হয়। বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার সময় এটির শরীরের কমনীয়তা ধরে রাখার জন্য এর উপরে নতুন এক জিনিষের স্প্রে করা হয়। এর পোষাকি নাম ফরমালিন।

অত:পর আমাদের মত ক্রেতাদের হাতে উঠে আসে পেলব কোমল মসৃন দৃষ্টিনন্দন সব ফল। আমরা গোগ্রাসে গিলতে থাকি বাজার থেকে সদ্য কিনে আনা ফল ফলাদি। আমরা ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করি না- কি কঠিন যাতনাময়, বিষাক্ত অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে এসেছে লোভনীয় খাদ্যের এই রসালো ফলটি। একটিবারের জন্যও আমাদের ভাবনায় আসে না, ফলের সাথে, খাদ্যের সাথে কতটা তিক্ত পয়জন অনায়াসে হজম করতে হচ্ছে আমাদের। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।



তো, আমরা অসুস্থ হব না, অসুস্থ হবে কে? আমরা কেন সুস্থ থাকব? আমাদের কি সুস্থ থাকার কথা? আমাদের নীতিহীনতাই কি আমাদের ধ্বংস করছে না?

যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে এগুলোর কারনে

ফল ফলাদিতে দেয়া সার, বিষ ও বিষের প্রভাবে খাদ্যের স্বাভাবিক পুষ্টিমান নষ্ট হচ্ছে। স্বাভাবিক ক্রিয়া থাকছে না এগুলোতে। উল্টো নানাবিধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছি আমরা। সহজ হচ্ছে, শরীরে রোগ-জীবানুর অবাধ অনুপ্রবেশ । সাধারন অসুস্থতা, ছোটখাট শারিরীক সমস্যা থেকে জটিল কঠিন রোগ-ব্যধি বাসা বাঁধছে মানব শরীরে। বড়দের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার ফলে তাদের আক্রমনের পরিমানও কম। শিশু ও রুগ্ন ব্যক্তিগন যাদের, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এসব ফল খেয়ে তারা আক্রান্ত হন সহজে এবং দ্রুত।



বাঁচার জন্য আমাদের করনীয় কী?

যে কেনো ফল, বাজার থেকে ক্রয়ের পরে ঘরে নিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর্যন্ত বালতি কিংবা বড় কোনো পাত্রের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে পুরোটা না হলেও অন্তত: বিষক্রিয়া কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।

জ্ঞানী গুনী ব্লগার বন্ধুদের নিকট থেকে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ, মূল্যবান মতামতের জন্য তাদের আগাম অভিনন্দন। সকলের কল্যান কামনা করছি।

সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×