ছবি: গুগল।
অযু, ওযুর ফযীলত, পদ্ধতি এবং ভুল-ত্রুটি
সকল শুকরিয়া একমাত্র বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য। তাঁর প্রদত্ত বিধানাবলী মেনে চলার ভেতরেই মুমিন জীবনের সাফল্য-কামিয়াবি। চূড়ান্ত সফল তো তারাই যারা মহান মালিকের প্রতিটি হুকুম পালন করেন আনন্দ চিত্তে-অবনত মস্তকে। জীবনের উদ্দেশ্য যাদের নিকট শুধুই আনন্দ আয়োজন উপভোগ নয়। জীবন চলার পথে প্রতিটি পদবিক্ষেপে বিনীত আকাঙ্খা যাদের আল্লাহ জাল্লা জালালুহুর সন্তুষ্টি অর্জন, প্রতিটি কাজই যাদের নিকট ভূষিত হয় ইবাদতের মর্যাদায়, প্রকৃতপক্ষে সফলকাম তো তারাই হবেন। আখিরাতের অন্তহীন জীবনে মহাসম্মানে ভূষিতও হবেন তারাই। আল্লাহ পাকের নির্দেশাবলী পালন করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। তাঁর ইবাদাত বন্দেগী মুমিন জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যম। আর প্রতিটি ইবাদাতেই রয়েছে পবিত্রতার বিশেষ গুরুত্ব। শুধুমাত্র পবিত্রতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ইসলাম ধর্ম তার অনুসারীদের যে নিয়ম কানূন বাতলে দিয়েছে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তাকালে এতটুকুতেই ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য্যপ্রীতি, পরিচ্ছন্নপ্রিয়তা এবং সর্বোপরি শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে পারে। প্রতিটি ইবাদাতই গুরুত্বপূর্ন। সর্বত্তোম ইবাদত হল নামায। নাযাম পড়ার জন্য প্রয়োজন পবিত্রতা অর্জন করা। পবিত্রতা ছাড়া আল্লাহ তাআলার কাছে নামায গৃহীত হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ
'আল্লাহ তাআলা তোমাদের কারও নামায গ্রহণ করবেন না, যখন সে অপবিত্র হয়ে যায়,যতক্ষন না সে অযু করে।' (বুখারী ও মুসলিম)
অযুতে রয়েছে বিশাল ফায়দা:
যে ব্যক্তি নিবেদিত অন্তরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে সুন্দরভাবে অযু করবে তার জন্য রয়েছে পরকালীন জীবনে মহাপুরস্কার। নিম্নে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ হতে এ বিষয় কিছু আলোকপাত করা হল।
১) অযুতে আল্লাহ তাআলার ভালবাসা লাভঃ অযু হল পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম। আর পবিত্রতা অর্জনকারীকে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ভালবাসেন। কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হচ্ছে:
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
'নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তওবাকারীদের এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে ভালবাসেন।' (সূরা বাকারাঃ ২২২)
২) অযু করনেওয়ালার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
'যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অযু করবে অত:পর অযুর শেষে নিম্ন বর্ণিত দুআ পাঠ করবে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। দুআটি হলঃ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ اللَّهُمَّ اجْعَلْنِى مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِى مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ واجعلني من عبادك المؤمنين الذين لا خوف عليهم ولا هم يحزنون
উচ্চারণঃ 'আশহাদুআল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু- লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজআলনী মিনাত্তাওয়্যাবীনা ওয়াজআলনী মিনাল মুতাত্বহহিরীন ওয়াজআলনী মিন ইবাদিকাল মু'মিনীন আল্লাজিনা লা- খওফুন আলাইহিম অলা- হুম ইয়াহযানূন।' (তিরমিযী)
৩) অযু জান্নাত ওয়াজিব হওয়ার কারণঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلَّا وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ
'যে কোন ব্যক্তি সুন্দরভাবে অযু করে, একনিষ্ঠতার সাথে দু'রাকাআত নামায আদায় করে তার জন্যে জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৪) বেলাল (রাঃ) এর বিশেষ আমলঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেলাল (রাঃ) কে বললেনঃ তোমার সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে আমাকে বল, আমি জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। বেলাল (রাঃ) বললেন, আমার সর্বোত্তম আমল হল, আমি রাতে অথবা দিনে যখনই পবিত্রতা অর্জন করি তখনই তার দ্বারা সাধ্যমত নামায আদায় করে থাকি। (বুখারী)
৫) অযু এক নামায হতে অন্য নামাযের মধ্যে সংঘঠিত গুনাহের কাফফারাহ স্বরূপঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ
مَنْ أَتَمَّ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فَالصَّلوَاتُ الْمَكْتُوبَاتُ كَفَّارَاتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ
'যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী পরিপূর্ণভাবে অযু সম্পাদন করে, (তার জন্য) তা ফরয নামাযগুলোর মধ্যবর্তী সময়ে সংঘঠিত গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৬) গুনাহ দূর হওয়ার কারণঃ উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা উত্তমরূপে অযু সম্পাদন করলেন, অত:পর বললেন, 'যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে দু'রাকাআত নামায পড়বে এবং মনে অন্য কিছুর কল্পনা করবে না তার অতীত জীবনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।' (বুখারী ও মুসলিম)
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'যখন একজন মুসলিম বা মুমিন ব্যক্তি অযু করে, সে যখন তার চেহারা ধৌত করে পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে তার চেহারার গুনাহসমূহ দূর হয়ে যায় যা তার দৃষ্টি দ্বারা হয়েছে। এমনিভাবে সে যখন তার দু'হাত ধৌত করে তার হাতের গুনাহসমূহ যা হাত দিয়ে ধরার মাধ্যমে করেছে তা পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। আবার যখন দু'পা ধৌত করে পায়ের গুনাহসমূহ যা পা দিয়ে চলার মাধ্যমে হয়েছে তা পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সে গুনাহ হতে সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে যায়।' (মুসলিম)
৭) পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ
'পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।' (মুসলিম)
৮) অযুর অংগ প্রত্যংগ গুলো কিয়ামতে আলোকিত হবে: আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবাগণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার উম্মত যারা আপনার পরে আসবে আপনি কিভাবে তাদের পরিচয় পাবেন? তিনি বললেন, আমার উম্মতগণ কিয়ামতের দিন অযুর স্থানগুলো ঝকমক করা অবস্থায় উপস্থিত হবে। (মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতগণকে কিয়ামতের দিন অযুর কারণে অযুর জায়গাগুলো চমকানো ভাবে আহবান করা হবে। অতএব যে চায় সে যেন তার উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। (বুখারী ও মুসলিম)
৯) অযুর প্রতি যত্নবান হওয়া ইমানের আলামতঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,
سَدِّدُوا وَقَارِبُوا، وَاعْلَمُوا أنّ خَيْرَ أَعْمَاِلكُمْ الصَّلاَةُ وَلَا يُحَافِظُ عَلَى اْلوَضُوْء إلاَّ مُؤْمِنٌ
'সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক এবং দ্বীনের উপর অবিচল থাক। আর জেনে রেখ! তোমাদের সর্বোত্তম আমল হচ্ছে, নামায, আর মুমিন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ অযুর হেফাযত করে না।' (সহীহ ইবনু হিব্বান)
১০) অযু মর্যাদা বৃদ্ধি ও পাপ মোচনের কারণঃ হাদিসে এসেছে-
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ. قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ
'আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিষ সম্পর্কে সংবাদ দিব না যাতে তোমাদের পাপগুলো মোচন হবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে? সাহাবাগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ কষ্টের সময় অযু করা এবং অধিকরূপে মাসজিদে পদচারণ করা। আর এক নামায হয়ে গেলে অন্য নামাযের জন্যে অপেক্ষা করা। এটাই হল রেবাত।' (মুসলিম)
১১) ঘূমানোর পূর্বে অযু করা দুআ কবুল হওয়ার কারণঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'কোন মুসলিম ব্যক্তি যখন অযু করে নিদ্রায় যায়, রাত্রিতে জেগে দুনিয়া এবং আখেরাতের কোন কল্যাণের দুআ করলে দুআ কবুল করা হয়।' (নাসাঈ)
১২) ঘূমানোর পূর্বে অযু করা ইসলামের উপর মৃত্যুর কারণঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'তুমি যখন বিছানায় আসার ইচ্ছে করবে তখন নামাযের ন্যায় অযু করবে এবং নিম্নের দুআটি পাঠ করবে। যদি তুমি ঐ রাত্রিতে মৃত্যু বরণ কর তবে ইসলামের উপর মৃত্যু বরণ করবে। আর যদি সকালে উপনিত হও তবে সাওয়াব পাবে। এ দুআটি সকল কিছুর শেষে পাঠ করবে।' (বুখারী ও মুসলিম)
اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِى إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِى إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِى إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِى إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِى أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِى أَرْسَلْتَ.
উচ্চারণ: 'আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজজাহতু ওয়াজহী ইলাইকা, ওয়া ফাওয়াযতু আমরী ইলাইকা, ওয়াল জাতু যহরী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা, লা-মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনকা ইল্লা ইলাইকা, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযি আনযালতা ওয়াবি নাবিয়্যিকাল্লাযি আরসালতা।'
অযুর পদ্ধতিঃ
১) অন্তরে (মনে মনে) অযুর নিয়ত করবে। মুখে নয়, কেননা মুখে কোন বাক্য পাঠ করে নিয়ত করা বিদআত। এ সম্পর্কে শরীয়তের কোন দলীল নেই। অত:পর বিসমিল্লাহ বলবে, কেননা বিসমিল্লাহ না বললে অযু হবে না। এ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন:
لاَوَضُوْءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِاسْمَ اللهِ عَلَيْهِ
যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ বলবে না তার অযু হবে না। (আবু দাউদ ও আহমাদ)
২) তারপর দুই হাতের তালুসহ কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৩) তিন বার কুলি করবে এবং নাকে পানি টেনে নিয়ে নাক ঝাড়বে।
৪) মুখমন্ডলকে এক কান হতে অন্য কান পর্যন্ত এবং মাথার চুল গজানোর স্থান থেকে শুরু করে দাড়ীর নিচের থুতনী পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে।
৫) হস্তদ্বয়কে আঙ্গুল থেকে কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করবে। প্রথমে ডান হাত পরে বাম হাত।
৬) নতুন করে পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে ভিজা হাত দিয়ে একবার মাথা মাসেহ করবে। দুই একত্র করে মাথার অগ্রভাগ থেকে আরম্ভ করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে আবার অগ্রভাগে নিয়ে এসে শেষ করবে।
৭) উভয় কানে এক বার মাসেহ করবে। উভয়ের হাতের তর্জন আঙ্গুলকে উভয় কানের ভিতরের অংশে প্রবেশ করিয়ে ভিতরের দিক এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা উভয়ে কানের বাহিরের অংশ মাসেহ করবে। ঘাড় মাসে করবে না। কারণ ঘাড় মাসে করার ব্যাপারে যে হাদীস বর্ণিত আছে তা ঠিক নয়। এ জন্য ঘাড় সাসেহ করা বিদআত।
৮) উভয় পা-কে তিনবার আঙ্গূলের মাথা থেকে আরম্ভ করে টাখনু সহ ধৌত করবে। প্রথমে ডান পা পরে বাম পা। তার পর অযুর দুআ পাঠ করবে।
অযুতে কিছু ভুল-ত্রুটি
১) আবরী ও অন্য কোন ভাষাতে নিয়ত উচ্চারণ করে পাঠ করা।
২) প্রত্যেকটি অংগ ধৌত করতে আলাদা আলাদা দুআ পাঠ করা।
৩) প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভাল ভাবে ধৌত না করা।
৪) দুআ পাঠ করার সময় শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে আকাশের দিকে ইশারা করা। বা আকাশের দিকে তাকিয়ে দুআ পাঠ করা।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে অযুর সকল প্রকার ভুল-ত্রুটি থেকে দূরে থেকে সঠিক ও সুন্দরভাবে অযু করার তাওফীক দান করুন। অধিকাংশ সময় অযু অবস্থায় থাকার কারনে ফেরেশতাদের মাগফিরাতের দুআর উপযুক্ততালাভের কিসমাত দান করুন। আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:২৯