somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

ছোট গল্প: মাতৃভক্তি

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোট গল্প: মাতৃভক্তি
হজ্বের সফরে আমরা মিনার তাবুতে তখন। লোকের সংখ্যা বিচারে মিনায় টয়লেটের সংখ্যা বলা চলে অপ্রতুল। বেশিরভাগ সময়ে তাই লাইনে দাঁড়িয়েই প্রয়োজন পুরণ করতে হয়। এমনই এক দিনের কথা। লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কেউ একজন পেছন থেকে ডাকছেন। বিচলিত এবং বিনয়ী পুরুষ কন্ঠ। কিন্তু নিচু আওয়াজ।

'আপা, আমার মাকে যদি একটু আগে বাথরুমে যাবার সুযোগ দিতেন! বয়স্ক মানুষ বাথরুম ধরে রাখতে পারেন না।'

পুরুষ কন্ঠ শুনে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি আমাকে উদ্দেশ্য করেই একজন কথাগুলো বলেছেন।

দেখলাম, লাইনে দাঁড়ানো অন্য মহিলাগনও এই ভদ্রলোককে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করছেন। তাদের অভিযোগ- মহিলাদের লাইনে পুরুষ মানুষ কেন প্রবেশ করেছেন! এজন্য কেউ কেউ একটু আধটু কটু মন্তব্য করতেও ছাড়ছেন না। কিন্তু আশ্চর্য্য হবার বিষয় হচ্ছে, লাইনে দাঁড়ানো কেউই বৃদ্ধা মহিলার জন্য একটু সেক্রিফাইস করে নিজের জায়গা ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না। তাকে একটু আগে যাবার সুযোগ কেউই করে দিচ্ছেন না। আর এ কারণেই হয়তো বৃদ্ধা, অসুস্থ মাকে হাতে ধরে নিয়ে আসা ভদ্রলোকের মহিলাদের এই লাইনে না এসে কোনো গত্যন্তর ছিল না এবং অবশেষে অনেকের ভ্রুকুটি ও বিদ্রুপের বাক্যবান উপেক্ষা করে আমার কাছে এই নিবেদন।

'আচ্ছা, আপনি বাইরে গিয়ে দাঁড়ান, আমি উনাকে বাথরুম করিয়ে আপনার কাছে দিয়ে আসবো।'

ভদ্রলোকের অসহায়ত্ব উপলব্ধি করেই কথাটা তাকে বললাম। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে তিনি যে পেরেশান এটা বুঝেই তাকে আশ্বস্ত করলাম। এরা আমার পরিচিত কেউ নন। আবার একেবারে অপরিচিত, সেটাও বলা যাবে না। হজ্বে এসেছি একসাথে। উঠেছিও একই হোটেলে। তবে আলাদা ফ্লোর। আসতে যেতে লিফটে মাঝেমধ্যে দেখা হয়, এই যা!

বাথরুমের প্রয়োজন শেষে খালাম্মাকে অজুখানায় নিয়ে গেলাম—

'আপনি অজু করে নিন খালাম্মা।'

'মাগো, মাথার হিজাবের ফিতাটা খুলে দিয়ে যাও। ব্যাটা ছেলে তো, বুঝে না। টাইট করে বেঁধেছে।'

ছেলের কাছে মাকে দিয়ে আসার সময় ছেলেটি বললো—

'আপা, অনেক শুকরিয়া।'

'এটা কেনো বলছেন ভাই? মুরব্বি মানুষ তিনি। তার জন্য এই সামান্য খেদমত করতে পারাটা আমার সৌভাগ্য। আচ্ছা, এতো বয়স্ক এবং অসুস্থ্ সত্বেও খালাম্মাকে একা কেন হজের দীর্ঘ সফরে নিয়ে এলেন? কোনো মহিলাকে সাথে নিয়ে এলেই বরং তার জন্য ভালো হতো। তাকে একটু সাহায্য করতে পারতো।' -আমার জিজ্ঞাসা।

'উপায় ছিলো না বোন। আর মা এতোটা সিকও ছিলেন না। প্লেনে উঠার পরেই ভয় পেয়ে তার অসুস্থতা শুরু। আর আমার স্ত্রীকে আনাও সম্ভব ছিলোনা। কারণ, আমাদের বাচ্চারা খুবই ছোট।' -বললেন তিনি।

'বদলী হজ্ব করাতে পারতেন। খালাম্মা ঠিকমতো হাঁটতেও পারছেন না। হুইল চেয়ারে করে আপনারই সব জায়গায় আনা নেয়া করতে হচ্ছে।' -যোগ করলাম আমি।

'আসলে ব্যাপার হচ্ছে, সারা জীবনে মা কোনো দিন, কখনো কিছু চাননি। চেয়েছিলেন এই একটা জিনিসই। আমি সামান্য স্কুলশিক্ষক। এতদিন সামর্থ্য হয়নি তাই তার আশা পূরণ করানোর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়নি। তাকে নিয়ে হজ্বের সফরে আসতেও পারিনি।' -মনে হল ভদ্রলোকের চোখ দু'টি ভিজে উঠলো কথাগুলো বলতে বলতে।

হজ্বের মূল কাজগুলো সম্পাদনের জন্য মিনা, আরাফাত এবং মুযদালিফায় অবস্থান করতে হয় বিধায় আমাদের এই মিনার ময়দানে আসতে হয়েছে। তাঁবুতে আছি। এখানে মহিলা এবং পুরুষ তাঁবুগুলো পাশাপাশি। মহিলাদের তাঁবুগুলোকে মোটা পর্দা দিয়ে পুরুষের তাঁবু থেকে আলাদা করা হয়েছে। খালাম্মা এখানে আমাদের সাথে একই তাঁবুতে থাকেন। আর তার স্কুল শিক্ষক সেই ছেলে আমাদের পার্শ্ববর্তী পুরুষ তাঁবুতে। মহিলাদের তাঁবুতে এসে তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে দুই/ তিন ঘন্টা পরপরই মায়ের খোঁজ খবর নিতেন।

আরেকবারের ঘটনা। আমরা তখন আরাফাতের মাঠে। প্রচন্ড গরম। বাতাসে যেন আগুনের হল্কা। এখানে অবস্থানের সময়টাতেই। তাঁবু থেকে কখন যেনো বৃদ্ধা খালাম্মা একাই বের হয়ে গেলেন— কেউই খেয়াল করেনি। আমরাও না। কিছুক্ষন পরে তার ছেলে এসে মাকে খুঁজলেন। কিন্তু মাকে তাঁবুতে না পেয়েই দৌঁড়ে বেরিয়ে গেলেন– কিছুক্ষণ পরে দেখি, মাকে নিয়ে এসে চেয়ারে বসিয়ে মায়ের হাত, পা, শরীর মুছে দিচ্ছেন। দু'জনের অনুচ্চ আওয়াজের কথোপকথনও ভেসে এলো কানে–

'আম্মা, আপনি একা একা আর বাইরে যাবেন না। আপনি হারিয়ে গেলে আমি আপনাকে কোথায় খুঁজে পাব? দেখছেন তো, এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ!' -স্কুল শিক্ষক ছেলের কম্পিত কন্ঠ।

'বাবা, আমি তো তোমারে খুঁজতেই গিয়েছিলাম।' -মায়ের চির চেনা আদুরে উত্তর।

'আমি একটু পরপর এসে আপনাকে দেখে যাব। তবুও আপনি তাঁবু থেকে একা একা বের হবেন না। কথা দেন আমাকে।' —বলেই ঝরঝর করে কেঁদে দিলেন ভদ্রলোক। মায়ের চোখও দেখি অশ্রুভেজা। মা-ছেলের এই অনাবিল দৃশ্য আমাদেরও কিছু সময়ের জন্য আবেগাপ্লুত করে রাখে। আমিসহ উপস্থিত সবার চোখ আপনাআপনি ভিজে উঠেছিলো মা-ছেলের অপূর্ব দৃশ্য দর্শনে।

আরাফাত, মুযদালিফার মাঠে অবস্থানের পরে যথারীতি আবার মিনার তাঁবুতে ফিরে এলাম আমরা।

'এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই আমার বোন লাগেন। সবার কাছে অনুরোধ, মাকে একটু দেখে রাখবেন। আর আমিও একটু পরপর এসে মাকে দেখে যাবো।' -অনুনয় ঝড়ে পড়ে তার আবেদনে।

আমাদের তাঁবুর সবাই কথা দিলেন, তারা খেয়াল রাখবেন। আর সত্যিসত্যি স্কুল শিক্ষক ভদ্রলোক আধা ঘণ্টা পরপর এসে তাঁবুর বাইরে আওয়াজ দিতেন। যেহেতু মহিলাদের তাঁবু, তাই সরাসরি ঢুকতেন না। গভীর রাতে ওয়াশরুমে যাবার পথে তাঁবুর সামনের রাস্তায় বৃদ্ধার ছেলেকে বসে থাকতে দেখে অবাক হলাম—

'আপনি আপনার তাঁবুতে গিয়ে বিশ্রাম নিন, উনিতো এখন ঘুমুচ্ছেন।'

'সমস্যা নেই বোন, আমি ঠিক আছি, মা যদি আবারও একা বেরিয়ে যায়! তাই এখানেই বসে আছি।'

আমি আর আমার সঙ্গী আরেকজনের চোখ অজান্তেই ভিজে গেলো। ছেলেবেলায় পড়া বায়েজিদ বোস্তামীর সেই গল্প মনে পড়ে গেলো। এই যুগেও এমন সন্তান হয় নাকি?

পুরো হজ্বের সময়ে এই ভদ্রলোক হুইল চেয়ারে করে মাকে নিয়ে সব কাজগুলো সম্পাদন করেছেন। নিজের হজ্ব, মায়ের হজ্ব, দু'জনের হজ্বের যাবতীয় আমলগুলো অত্যন্ত কষ্ট সহ্য করে সমাপ্ত করেছেন। তার অতি বৃদ্ধা মা আমাদের সাথে থাকার কারণে খুব কাছে থেকে তাদের উভয়ের অবস্থাগুলো মোটামুটি দেখার সুযোগ হয়েছে। মায়ের অন্তরের একটু প্রশান্তির জন্য সন্তানের এই যে আপ্রাণ প্রচেষ্টা, এই দৃশ্য দেখে দেখে বহুবার চক্ষু জুড়িয়েছি। মায়ের সেবায় কখনো সামান্য বিরক্তি প্রকাশ কিংবা উঁহু শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করতে দেখিনি। ছোট বাচ্চা মেয়েদের নিয়ে বাবারা যেমন করে, আদরে আদরে ভরিয়ে দেয়, কোলে তুলে নেয়, মাথায় উঠায় -ঠিক তেমন। তাকে দেখতাম, মাকে তিনি খাইয়ে দিতেন। চুলে বিনুনি করে দিতেন। মিনা, আরাফায় প্রচন্ড গরম ছিল। তাকে দেখেছি, একটু পরপর এসে মা যাতে একটু প্রশান্তিলাভ করেন, সেজন্য তার হাত, মুখ পানি দিয়ে মুছে দিতেন। জুস পান করিয়ে যেতেন। মোটকথা, একজন ছেলের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, তার সবই তিনি মায়ের জন্য করতেন। আর বৃদ্ধা মায়ের প্রতি তার অনন্য এসব খেদমতের নজির দেখে দেখে আমরা হজের সফরে উপস্থিত সব মায়েরাই দোয়া করতাম –

'আয় আল্লাহ পাক, আপনি সকল মায়েদের এমন সন্তানই নসিব করুন। এমন সুসন্তান দান করে সকল মায়ের কলিজা শীতল করুন। তাদের মাতৃজনম স্বার্থক করুন।'

হজ্বের যাবতীয় কাজ শেষ। চিরচেনা নিয়মে প্রত্যাবর্তনের ধারায় ফিরে আসার পালা এবার। অশ্রুসজল চোখে প্রিয় বাইতুল্লাহকে ছেড়ে আবার ফিরে আসছি নাড়ীর টানে, স্বদেশের পানে। জেদ্দা বিমানবন্দরে এসে বিমানের অপেক্ষা করছি। এমন সময় আবারো দেখা সেই মা এবং তার শিক্ষক ছেলের সাথে। সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম– 'কেমন আছেন?'

'আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি মায়ের ইচ্ছেটা পুরণ করতে পেরেছি। মায়ের ইচ্ছেই ছিলো- স্বশরীরে এসে নিজে হজ্ব সম্পাদন করবেন। এটা তার সারা জীবনের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা। কি যে ভালো লাগছে। আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না। তিনি দয়া করে তাওফিক না দিলে, নিতান্ত অভাব অনটনের মাঝেও মাকে নিয়ে হজ্বের এই মহান সফর করা কোনোক্রমেই সম্ভব ছিল না। লক্ষ কোটি সিজদাবনত শুকরিয়া তাঁর দরবারে। আপনাদের সকলের প্রতি অনি:শেষ কৃতজ্ঞতা। আপনারা আমার মাকে নিজের মায়ের মত যত্নে রেখেছেন। তার জন্য কষ্ট করেছেন। আল্লাহ পাক আপনাদের সকলকে, বিশেষ করে আপনাকে উপযুক্ত প্রতিদান প্রদান করুন।'

'মা-রে, আমারে একটু বাথরুমে নিয়া যাবা? প্লেনের বাথরুমে যাইতে ভয় করে।' -অনুরোধ ঝড়ে পড়ে খালাম্মার কন্ঠে।

বাথরুমে যাবার সময় খালাম্মাকে বলেই ফেললাম —–

'খালাম্মা, আপনি বড়ো ভাগ্যবতী, এই যুগে এমন সন্তান দেখা যায় না।'

'মা, আমার মাইয়া নাই। খুব দু:খ করতাম, শ্বশুরও অনেক দোয়া করে গেছেন।'

কি সরল স্কীকারোক্তি একজন মায়ের! আধুনিক হয়ে আমরা কেবল জটিলতর হচ্ছি!

'ভাই, আপনাকে স্যালুট। দোয়া করি আপনার মতো সুসন্তান যেনো ঘরে ঘরে সব মায়েরাই লাভ করেন।'

'না বোন, এমনটা বলবেন না। মায়ের জন্য এমন কিইবা করতে পেরেছি! চিন্তা করুন, ছোটবেলা আমরা মায়েদের কতো জ্বালিয়েছি, এখন তো মা সেই আমাদের শিশুবেলার মতই ছোট হয়ে গেছেন – আমাদের কপাল ভালো যে আমরা মায়ের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি, আল্লাহ পাক এই সৌভাগ্য তো অনেককেই দেননি! কতোজনের কত কি আছে! কিন্তু মা-বাবা নেই।'

যেমন গাছ, ফল তো তার তেমনই হয়ে থাকে! যেমন মা, তেমনই তার ছেলে! এই স্কুল শিক্ষক ছেলেটিও মায়ের মতই বিচক্ষন। চিন্তাভাবনায় মহত। মাতৃপ্রাণ, আদর্শ এবং আলোকিত একজন মানুষ।

অবক্ষয়ের এই যুগে এসে কতো শিক্ষিত, আধুনিক এলিট শ্রেণির মানুষকে দেখছি, মা-বাবাকে অবজ্ঞা-অবহেলা করতে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভেবে বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে রেখে আসতে। নিজেকে 'সামান্য একজন শিক্ষক' বলে পরিচিত করলেও আমরা যারা একইসাথে হজ্বের সফরের দিনগুলোতে এই মা-ছেলের কাছাকাছি ছিলাম, প্রত্যেকেই দেখেছি কতটা অসাধারণ একজন মানুষ তিনি! মায়ের প্রতি কতটা দরদ তার মনে! মায়ের একটু কষ্ট দেখে, মা নেই, মা হারিয়ে গেছে- এমন কিছু ভাবনায় আসতেই যার চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে! ঝরঝর করে আষাঢ়ের বাদলধারার মত মায়ের সামান্য সময়ের বিচ্ছেদে কান্নায় ভেসে যায় যে যুবকের বুক! এমন ছেলেই তো মায়ের মৃত্যুর পরেও ভুলে যায় না মাকে। দু'হাত তুলে মায়ের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মাগফিরাতের দুআ করতে থাকেন এরাই।

শুধু কি মাতৃভক্তি! কি অনিন্দ্যসুন্দর বিনয় দেখেছি তার ভেতরে! মা-ছেলের এই পবিত্র বন্ধনের বিরল এই দৃষ্টান্ত দেখে আবারও মনে হয়েছে- সত্যিকারের ভালো মানুষেরা এখনও পৃথিবীতে রয়েছেন। সত্যিকারের ভালো মানুষেরা এমনই বুঝি বিনয়ী হয়ে থাকেন। সত্যিকারের বিনয়ী যাকে বলে। আহ! আজকের যুগে আমরা সন্তানদের কতো কি বানাতে চেস্টা করি! অথচ ভালো মানুষ বানানোর কথা ভাবি ক'জন! মানুষ একা আসে, একাই যায়– নিজ কর্ম আর সুসন্তান ছাড়া কিছু রেখে যেতে পারে কি? পরকালের অন্তহীন যাত্রায় নিজের সচ্চরিত্র আর উত্তম আমলের ফলাফল ব্যতিত আর কিছু কোনো কাজে আসবে কি?

-চোখ রগড়াতে রগড়াতে বিছানায় উঠে বসেন হুমাইরা খাতুন। কি মধুরই না ছিল স্বপ্নটা। এখনও যেন মিনা-মুযদালিফা-আরাফার মাঠের মোৗ মৌ গন্ধ তার গোটা অবয়বে লেগে আছে। এখনও যেন বাইতুল্লাহর সুঘ্রাণ লেগে আছে তার নাকে। এখনও যেন পবিত্র মক্কার অলিগলির স্পর্শ ছুঁয়ে যাচ্ছে তাকে। এখনও যেন জিদ্দা বিমানবন্দরের জনাকীর্ণ চেহারা ভাসছে তার চোখের সামনে। ভালো করে চোখের উপর হাত বুলিয়ে দেখলেন চোখের কোনগুলো সত্যি সত্যিই এখনও তার ভেজা। ধাতস্থ হতে সময় নিচ্ছেন তিনি........

ছবি: সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৬
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!

লিখেছেন নয়ন বড়ুয়া, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০৬



ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে

একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×