somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

জীবন পাল্টে দিতে কুরআনের এই একটি আয়াতই যথেষ্ট

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ অন্তর্জাল।

জীবন পাল্টে দিতে কুরআনের এই একটি আয়াতই যথেষ্ট

শাইখ সুলাইমান আল জিলানি। একজন বিখ্যাত আরবি সাহিত্যিক। তিনি একটি চমৎকার ঘটনা বলেছেন। তার বর্ণনা করা ঘটনাটি হৃদয়ে দাগ কাটার মত। শিক্ষণীয় তো বটেই। চলুন, তার মুখেই শুনি সেই ঘটনা। তিনি বলেন, 'একবার আমি সফরে বের হলাম। গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিলাম। আমার সাথে দু'জন আলেম সাথী ছিলেন। আমরা রওনা করে পথ চলতে চলতে এক জায়গায় রাস্তার উপর কতগুরো উট দেখেতে পেলাম। রাস্তার অপর পাশে দেখলাম একটি গাড়ির ভেতরে বৃদ্ধ একজন লোক বসে আছেন। আমি গাড়ি সামনে নিতে পারছিলাম না উটগুলোর কারণে। উটের রাখালরা উটগুলোকে হাঁকাচ্ছিল ঠিকই কিন্তু তারাও পেরে উঠছিল না উটের সাথে। কারণ, সেগুলো রাস্তা ছাড়ছিলো না।

বেশ সময় লাগায় উট জ্যামে তখন অনেকটা অতিষ্ঠ আমরা। ভাবলাম, হরণ বাজালে হয়তো উটগুলো রাস্তা ছেড়ে দিবে। আমি তাই আমার গাড়ির হরণ বাজালাম। অমনি গাড়িতে বসে থাকা বৃদ্ধ ব্যক্তি আমাকে গালিগালজ করতে শুরু করলেন। তিনি উটগুলোর মালিক। আমার বাবাকে পর্যন্ত তিনি অভিশাপ দিতে থাকলেন। বললেন, অভিশাপ পড়ুক এমন বাবার উপরে, যিনি তোমার মত ছেলেকে জন্ম দিয়েছেন, আমার উটের উপর হরণ বাজানোর তুমি কে! তোমাকে যিনি জন্ম দিয়েছেন তার উপরেও অভিশাপ।'

'ইত্যাকার যা তা বলে তিনি আমাকে গালি দিতে থাকলেন।' যোগ করেন শাইখ সুলাইমান।

শাইখ সুলাইমান বলেন, 'সামান্য হরণ বাজানোর কারণে নানান ধরণের গালিগালাজ শোনার ফলে বৃদ্ধর উপরে আমার প্রচণ্ড রাগ হলো। রীতিমত মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মত অবস্থা। গাড়ির হরণ তো প্রয়োজনে অহরহ মানুষ বাজিয়েই থাকেন। সাধারণ এই হরণ বাজানোর জন্য এভাবে গালিগালাজ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। আর গালি তিনি দিবেনই বা কেন? আমি তো ভালোর জন্যই হরণ বাজিয়েছিলাম। রাখালরা যেহেতু উটগুলোকে সরাতে হিমশিম খাচ্ছিল তাই ভেবেছিলাম, হয়তো হরণের শব্দ শুনে উটগুলো চলতে শুরু করবে। রাস্তা ফাঁকা হলে আমরাও যেতে সক্ষম হব। অথচ এই ভালো কাজেরই প্রতিফল হিসেবে শুনতে হলো গালিগালাজ?'

শাইখ সুলাইমানের ভাষ্য, 'আমি খুব রাগান্বিত হয়ে গাড়ির দরজা খুলে বের হয়ে গায়ের জোড়ে ধাক্কা দিয়ে শব্দ করে আবার দরজাটি বন্ধ করি। জামার হাতা গুটাতে গুটাতে বৃদ্ধের দিকে তীব্র আক্রোশে দ্রুততার সাথে যেতে থাকি। আমার রাগান্বিত অবস্থা আঁচ করে গাড়িতে থাকা আমার দুই সাথীর একজন বললেন, 'আপনি কী করতে যাচ্ছেন?'

আমি সাহসী ভঙ্গিতে বললাম, 'আজ নতুন কিছু দেখবেন।'

'একথা বলে হনহন করে আমি বৃদ্ধের গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলাম।' বলেন শাইখ সুলাইমান।

'বৃদ্ধ ভদ্রলোকের গাড়ির কাছে গিয়েও আবার একইভাবে খুব জোড়ে শব্দ করে তার গাড়ির দরজাটা খুললাম। বৃদ্ধকে মনে হলো, আমার ভাবসাব দেখে কেমন যেন ভয় পেয়ে গেছেন তিনি। আমার তো ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থা তখন। আমাকে একটু আধটু গালি তিনি দিলেও হয়তো তেমন গা করতাম না। কিন্তু বাবা মাকে কেউ গালি দিলে তা কি সহ্য করা যায়? আমার কাছে তো এটা সবচে' বেশি কঠিন এবং অসহ্য লাগে। আমার একবার ইচ্ছে হলো, বৃদ্ধ ব্যক্তিকে পাল্টা কিছু কথা শুনিয়ে উপযু্ক্ত জবাবটা দিয়ে দিই যেন তার শিক্ষা হয়ে যায়। কারও মা বাবাকে গালি দেয়ার ইচ্ছে তার যেন আর কখনো না জাগে। কিন্তু আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হবে। আর এর জন্য আল্লাহ তাআ'লার শুকরিয়া আদায় না করে পারছি না। আল কুরআনের একটি আয়াত তৎক্ষনাত আমার মনে পড়ে যায় এবং আমি মুহূর্তের মধ্যে বদলে যাই। রাগের অভিব্যক্তি আমার চেহারা থেকে দূর হয়ে যায়। বৃদ্ধের গাড়ির দরজা খুলে তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার কপালে আমি একটি চুমু খেলাম এবং তাকে বললাম, 'আমাকে আপনি ক্ষমা করে দেন, আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। আমি আপনার উটকে কষ্ট দিয়েছি। উটকে কষ্ট দেয়ার অর্থ আমি আপনাকেই কষ্ট দিয়েছি। আসলেই আমি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমা করুন।' বলে চলেছেন শাইখ সুলাইমান।

শাইখ সুলাইমান বলেন, 'আকস্মিক এই ঘটনায় বৃদ্ধ হতচকিত হলেন। আশ্চর্য্য হয়ে আমার দিকে মুহূর্তকাল তাকিয়ে থেকে বললেন, 'বেটা, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি তোমার বাবা মাকে গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি। আর বিনিময়ে তুমি আমার কপালে চুমু খেয়েছো, আমার কাছে উল্টো ক্ষমা চাচ্ছ। ক্ষমা তো তোমার কাছে আমার চাওয়ার কথা। তুমি বরং আমাকে ক্ষমা করে দাও।'

দৃঢ়তার সাথে আমি তার কথার সত্যায়ন করে বললাম, 'আপনি আমার বাবা-মা এমনকি আমাকে অভিশাপ দিয়েছেন, গালিগালাজ করেছেন। আল্লাহর কসম, আমি কিয়ামত পর্যন্ত আপনাকে ক্ষমা করবো না। তবে আপনি ক্ষমা পেতে পারেন এক শর্তে। শর্ত যদি মানেন তাহলে আমি আপনাকে ক্ষমা করতে পারি।'

বৃদ্ধ বললেন, 'কী তোমার শর্ত? বল। আমি শর্ত মেনে নিতে রাজি আছি।'

আমি বললাম, 'আমাদেরকে উটের দুধ পান করাতে হবে।'

বৃদ্ধ খুশি হয়ে বললেন, 'অবশ্যই পান করাবো।'

বৃদ্ধ তার খাদেমদের আদেশ দিলেন, 'তাড়াতাড়ি গদি বসাও। গালিচা বিছাও। আরেকজন গিযে দুধ দোহন করে নিয়ে এসো।'

বৃদ্ধের মেহমানদারি গ্রহণ করার জন্য গাড়ি থেকে আমার অপর সঙ্গীগণ নেমে এলে আমরা তার পাতা গালিচায় বসলাম। সবাই তৃপ্তি সহকারে দুধ পান করলাম। বৃদ্ধের সাথে আমাদের নানান বিষয়ে কিছু সময় ধরে খোশালাপ জমে উঠলো। আন্তরিক পরিবেশ দেখে এক ফাঁকে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'আপনি শের মানে কবিতা পারেন?'

তিনি সম্মতি জানালেন এবং শের বলা শুরু করলেন। অনেকগুলো শের তিনি আমাদের শোনালেন। আমাদের এ বৈঠক আধাঘণ্টা পর্যন্ত চললো। এক পর্যায়ে আমরা যখন ওঠার অনুমতি চাই, বৃদ্ধ আমাদের তিনজনকে জড়িয়ে ধরে বললেন, 'আমি তোমাদেরকে ছাড়বো না। 'আল্লাহর কসম তোমাদেরকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি। তোমাদেরকে এভাবে যেতে দিবো না।' বলেই চললেন তিনি।

আমি বৃদ্ধকে বললাম, 'আমাদের এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। আজ আর দেরি করা যাবে না। তাড়াতাড়ি যেতে হবে। আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে রাখলে আবার একদিন আপনার মেহমান হবো। এখন আমাদের যাওয়ার অনুমতি দিন।'

বৃদ্ধ তার উটের পেছনে অবগুন্ঠিত অবয়বে আনত মস্তকে থাকা অসম্ভব রূপবতী তিনটি মেয়েকে দেখিয়ে বললেন, 'এরা আমার মেয়ে। বুদ্ধিমতি, কোমল এবং ইসলামের উত্তম আদর্শে আদর্শবতী। তোমরা তিন জনও আলেম এবং বুদ্ধিমান। তোমরা তাদেরকে বিয়ে করে আমাকে সম্মানিত করতে পার। তাতে আমি তোমাদের প্রতি আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সুযোগ পাবো।'

শাইখ সুলাইমান বলেন, 'বৃদ্ধ লোকটির পরিবর্তিত অবস্থা দেখে এবার আমাদের নিজেদেরই আশ্চর্য্যান্বিত হওয়ার পালা। কিছুক্ষন পূর্বে যাদেরকে গালিগালাজ করলেন, অভিশাপ দিলেন, মা বাবা তুলে ভর্ৎসনা করলেন- সেই আমাদেরকেই কি না এখন প্রস্তাব দিচ্ছেন তার আত্মীয় হওয়ার জন্য। তার মেয়েদের বিয়ে করার জন্য। অবশ্য বিয়ে আমরা করি কি না করি, সেটা পরের কথা, তার মেয়েদের তিনি বিয়ে আমাদের কাছে দিতে পারেন কি না পারেন, সেটাও গৌণ বিষয়, আসল কথা হচ্ছে, তার মনের এই আমূল পরিবর্তনটা কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই কিভাবে হয়ে গেল? তার এই পরিবর্তনের পেছনের প্রেরণা ও শিক্ষা ছিল মহাগ্রন্থ আল কুরআনের একটি আয়াত। সেই আয়াতটির মর্ম বাস্তবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছিলাম বলেই গালির প্রত্যুত্তর গালি দিয়ে নয়, বরং ভালোবাসা দিয়ে দিতে পেরেছিলাম। আর এরই ফলশ্রুতিতে অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন এবং তিন মেয়েকে উপঢৌকন হিসেবে দেয়ার মত তিন তিনটি প্রস্তাব। কি সেই আয়াতে কারিমা, যার শিক্ষা বাস্তব জীবনে কার্যকর করা সম্ভব হলে এমনই সাক্ষাৎ ফললাভ করে ধন্য হওয়া যায়? চলুন, দেখে নেয়া যাক, শিক্ষনীয় সেই আয়াতে কারিমাখানা।' আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ইরশাদ ফরমান-

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ

'আর ভালো ও মন্দ সমান নয়। জবাবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধুতে পরিণত হয়ে গেছে।' -সুরা হা-মীম, আয়াত-৩৪

Nor can goodness and Evil be equal. Repel (Evil) with what is better: Then will he between whom and thee was hatred become as it were thy friend and intimate!

'বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার উষ্ণ অভ্যর্থনা, উত্তম মেহমানদারি এবং আন্তরিক আপ্যায়ন ও নিজ কণ্যাদের বিবাহের প্রস্তাবের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে তার নিকট থেকে আমরা সে দিনকার মত বিদায় গ্রহন করলাম।' শাইখ সুলাইমান বলেন।

বৃদ্ধের গালিগালাজের প্রত্যুত্তরে তার সাথে শাইখ সুলাইমানের অনন্য আচরণ আপনার কাছে কেমন লেগেছে? সম্মানিত বিজ্ঞ পাঠকের কাছে বিনীতভাবে জানতে আগ্রহী, আপনাদের সামনে এমন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এসে গেলে আপনি কিভাবে তার মোকাবেলা করবেন বলে মনে করেন?

ঘটনাটি থেকে গ্রহণীয় শিক্ষাঃ

শাইখ সুলাইমান বলেন, 'বৃদ্ধের গালাগালির বিপরীতে আমি যদি তার সাথে ভালো আচরণ না করতাম, তাহলে কি হতো সেখানে? চিত্রটা হয়তো তর্কবিতর্ক থেকে শুরু করে এক পর্যায়ে হাতাহাতি, মারামারি কিংবা অনাকাঙ্খিত অন্য কোনো খারাপ পরিস্থিতির দিকে মোড় নিতে পারতো। গালির বিপরীতে ভালো আচরণের কারণে এ ঘটনাটির পরিসমাপ্তি কত সুন্দরভাবে হয়ে গেলো। আমরা যদি কুরআনের এ ছোট্ট আয়তটির উপর আমল করতে পারি, তাহলে আমাদের পৃথিবীটা আরো সুন্দর এবং আনন্দময় হয়ে উঠতে পারতো। হাদিসের শিক্ষাও তো এটাই। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মন্দ কথা বা কাজের উত্তর কাউকে মন্দ কথা বা কাজ দিয়ে দিতেন না। এটা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম আলোকিত বৈশিষ্ট্য। তাঁর কোমল ব্যবহার সম্পর্কে উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর ভাষী ছিলেন না, এমনকি প্রয়োজনেও তিনি কঠোর ভাষা প্রয়োগ করতেন না। প্রতিশোধপ্রবণতা তাঁর মধ্যে আদৌ ছিল না। মন্দের প্রতিবাদ তিনি মন্দ দিয়ে করতেন না, বরং মন্দের বিনিময়ে তিনি উত্তম আচরণ করতেন। সব বিষয়েই তিনি ক্ষমাকে প্রাধান্য দিতেন। তিনি এতটা বিনয়ী ও নম্র ছিলেন যে কথা বলার সময় কারও মুখমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করে কথা বলতেন না। কোনো অশোভন বিষয় উল্লেখ করতেন না।’

জীবনে চলার পথে অনুকূল প্রতিকূল কতরকমের পরিস্থিতিরই না মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। আমাদেরও কি এমন উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান হতে চেষ্টা করা উচিত নয়? তবে, এই ঘটনার সাথে মিলিয়ে নিয়ে কেউ আবার ভুল করে বসবেন না যেন! কেউ আপনাকে গালি দিল, আর আপনি তার প্রতিবাদে গালি না দিয়ে সদাচরণ প্রদর্শন করলেন এবং আশা করে থাকলেন যে, নিশ্চয়ই আপনিও রূপবতী, গুণবতী কোনো কন্যাকে বিয়ে করার প্রস্তাব কিছুক্ষণের মধ্যেই পেয়ে যাবেন! এমনটা কালেভদ্রে কারও ভাগ্যে জুটলেও জুটতে পারে। এমন কোনো প্রস্তাবের গ্যারান্টি আমি দিতে পারছি না বলে দুঃখিত! :)

তবে ভাগ্যের শিকে যাদের এখনও ছিঁড়েনি, হাল ছেড়ে দেয়া তাদের সম্ভবতঃ কোনোভাবেই উচিত হবে না। আর এমন উত্তম আদর্শ আপনার চরিত্রে ধারণ করতে পারলে আপনিও যে আলোকিত মানুষের ভেতরে পরিগণিত হবেন, তা কি আর বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন আছে?

সূত্র: আরমোগান বাংলা সাইট, আওয়ার ইসলাম ডট কম।

পোস্টটি পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×