somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

ইসলামের দৃষ্টিতে খাদ্যে ভ্যাজাল প্রদান ও মুনাফার উদ্দেশ্যে তা গুদামজাত করা জঘন্যতম অপরাধঃ

০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ অন্তর্জাল।

ইসলামের দৃষ্টিতে খাদ্যে ভ্যাজাল প্রদান ও মুনাফার উদ্দেশ্যে তা গুদামজাত করা জঘন্যতম অপরাধঃ

ইসলাম শান্তি, শৃঙ্খলা এবং মানবিকতার সর্বোত্তম আদর্শ। বৈরাগ্যবাদের স্থান ইসলামে নেই। কুমারজীবন, দুনিয়াবিমুখতা ও সংসার-বিরাগ ইসলাম সমর্থন করে না। এখানে গিরিগুহা কিংবা মসজিদে বসে আল্লাহর নাম জপ করায় পৌরুষ নেই। বরং, কোলাহলময় জীবনের ব্যতিব্যস্ততা, নিরবচ্ছিন্ন কর্মমুখরতা, বাজারের শোরগোল, কারবারের ব্যস্ততা ও সংসার জীবনের অবিরাম দায়িত্ব পালনের মধ্যেও আল্লাহ তাআ'লাকে ভুলে না যাওয়া প্রকৃত পৌরুষ এবং মহত্বের পরিচয়। ইসলামে কেবল আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর ইবাদতের কথাই বলা হয়নি; বরং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত নামাজের পরপরই হালাল জীবিকা অন্বেষণের প্রতিও উৎসাহিত করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের ভাষায়-

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ

অতঃপর 'নামাজ সম্পন্ন হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অনুসন্ধান করো। -সুরা জুমুআ, আয়াত ১০

নামাজের পর যে দুআটি রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি পড়তেন, তা হলো-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

'হে আমাদের প্রভু! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দান করুন, আর আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। -সুরা বাকারা, আয়াত ২০১

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআ'লা বলেন,

وَابْتَغِ فِيمَا آتَاكَ اللَّهُ الدَّارَ الْآخِرَةَ وَلَا تَنسَ نَصِيبَكَ مِنَ الدُّنْيَا وَأَحْسِن كَمَا أَحْسَنَ اللَّهُ إِلَيْكَ وَلَا تَبْغِ الْفَسَادَ فِي الْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُفْسِدِينَ

পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে যা দান করবেন, আপনি তা অনুসন্ধান করুন। কিন্তু পার্থিব জীবনে আপনার ন্যায্য অংশের কথা আপনি ভুলে যাবেন না। আপনি অনুগ্রহ করুন, যেমনভাবে আল্লাহ আপনার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করতে প্রয়াসী হওয়া থেকে নিবৃত্ত হোন। নিশ্চয় আল্লাহ অনর্থ সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না। -সুরা কাসাস, আয়াত ৭৭

এক হাদিসে এসেছে-

নিজ হাতে সৎভাবে উপার্জনকারীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল কাসিবু হাবিবুল্লাহ, অর্থাৎ, ‘শ্রমজীবী আল্লাহর বন্ধু’। -বায়হাকি

নিজ হাতে কামাই-রোজগার ও হালাল উপার্জনের নির্দেশ কেবল সাধারণ মুসলমানদেরই দেওয়া হয়নি; বরং যুগে যুগে সব নবী-রাসুলগণ এ ব্যাপারে আদিষ্ট ছিলেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআ'লা বলেন,

يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ

হে রাসুলগণ! আপনারা পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করুন এবং নেক কাজ করুন। আপনারা যা করেন সে বিষয়ে আমি পরিজ্ঞাত। -সুরা মুমিনুন, আয়াত ৫১

নিজ হাতে উপার্জিত খাবার থেকে উত্তম কোনো খাবার নেইঃ

নিজ হাতে হালালভাবে উপার্জিত খাবারই সর্বোত্তম। ইসলাম এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যুগে যুগে এ নির্দেশনা মোতাবেক সম্মানিত নবী-রাসুল এবং অলি আউলিয়াগণ নিজেদের জীবন পরিচালনা করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ কয়েকজনের নাম করা যায়। যেমন,

আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাইহিস সালাম কৃষিকাজ ও তাঁতের কাজ করেছেন। শিকারও করতেন তিনি।

হযরত শীষ আলাইহিস সালাম পেশায় ছিলেন বস্ত্রবয়নকারী। তুলো ও রেশমগুটি থেকে সুতো কেটে কাপড় বানাতেন। চাষবাসও করতেন।

হযরত ইদরিস আলাইহিস সালাম প্রথম সুঁইয়ের ব্যবহার করেন। শীস আলাইহিস সালাম থান কাপড় বানাতে জানতেন। আর ইদরিস আলাইহিস সালাম তা সেলাই করে জামায় রূপান্তরিত করেন।

হযরত নূহ আলাইহিস সালাম জীবিকার দিক দিয়ে ছিলেন কাঠের জিনিস তৈরির শিল্পী।

হযরত হুদ আলাইহিস সালাম ব্যবসার সূচনা করেন। পশুপালনও করতেন তিনি। অনেকটা জেনারেল স্টোর জাতীয় দোকানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবসা করতেন।

হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম খামারি ও মিল্ক প্রোডাক্ট তৈরির কাজের সূচনা করেন। উট পালন এবং এর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।

হযরত লুত আলাইহিস সালাম মৎস্য শিকার ও কৃষিকাজ করতেন।

হযরত হুদ আলাইহিস সালাম ব্যবসায়ী ছিলেন।

হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম কৃষি পেশা গ্রহণ করেছিলেন। হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম স্থপতি এবং নির্মাতাও ছিলেন। হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামও পিতা ইবরাহিমের মত একই পেশায় ছিলেন। সেইসঙ্গে শিকারও করতেন।

এতদ্ব্যতিত হযরত শুয়াইব আলাইহিস সালাম পশু লালন পালন করেছেন এবং বাজারে এগুলোর দুধ বিক্রি করতেন। হযরত শুআইব আলাইহিস সালাম কৃষক ও পশুপালনকারী ছিলেন।

হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম লৌহ ও ইস্পাতের ব্যবহারে নানা ধরনের যন্ত্র এবং যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতেন।

হযরত ইসহাক আলাইহিস সালাম ছিলেন মেষপালক ও শিকারী।

হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালামও ছিলেন পশুপালনকারী ।

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কৃষি, অর্থ ও পরিকল্পনা দফতরের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মিসরের শাসকের দায়িত্বও পালন করেন।

হযরত আইয়ুব আলাইহিস সালাম এর পেশা ছিল কৃষিকাজ।

হযরত মুসা আলাইহিস সালাম পশুপালনকারী ছিলেন। তিনি হযরত শুআইব আলাইহিস সালাম এর পশু চারণকর্মী হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন।

হযরত হারুন আলাইহিস সালাম পেশায় দাপ্তরিক কর্মকর্তা ছিলেন।

হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বাধিক ক্ষমতাবান শাসক ছিলেন।

হযরত যুল-কিফল আলাইহিস সালাম বেকারি কর্মী ছিলেন।

হযরত ইলিয়াস আলাইহিস সালাম টেক্সটাইল, রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসা আর কৃষিকাজ করেছেন।

হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম তাঁর পিতার মতই মৎস্য শিকারী ছিলেন। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

হযরত উযাইর আলাইহিস সালাম গার্ডেনার ছিলেন।

হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম ছিলেন কাঠশিল্পী।

হযরত ইয়াহিয়া আলাইহিস সালাম এর পেশা ছিল শিকার ও বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ।

হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম জীবিকা হিসেবে শিকারকে বেছে নিয়েছিলেন। আল্লাহর ওয়াস্তে রোগীর চিকিৎসাও করতেন।

আমাদের প্রিয় নবী, খাতামুন্নাবিয়ীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চাচাতো ভাইদের সাথে উট ছাগল ভেড়া দুম্বা চড়িয়েছেন। সম্মানীর বিনিময়ে অন্যের ব্যবসায়িক কাফেলার তত্বাবধানের দায়িত্বেও নিয়োজিত হন। অবশ্য নবুওয়ত লাভের পর আল্লাহর দীনের কাজে পরিপূর্ণরূপে আত্মনিবেদিত থাকেন। জীবনের শেষ তেইশ বছর উপার্জনের চিন্তা বা চেষ্টা করার মতো অবস্থায় তিনি ছিলেন না। আল্লাহর হুকুমে তখন নিজের জন্য নবুওয়তের দায়িত্বপালন করাই ছিল তাঁর একমাত্র কাজ।

কেবল হযরত সুলাইমান, হযরত ইউসুফ আর হযরত হারুন আলাইহিমুস সালাম ব্যতীত বাকি সব নবীদের জন্য আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন সাধারণ জনগণের বা আম মানুষের জীবিকা। আর এ জন্যই ইসলামে নীচু পেশা বলে কোনো বিষয় নেই। আর্থিক অবস্থা বা পেশার কারণে কাউকে অবজ্ঞা করাটা ইসলামে হারাম ও মারাত্মক কবিরা গুনাহের কাজ।

প্রকৃতপক্ষে প্রায় সমস্ত নবীর জীবিকা এইরকম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল যেন তারা সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত আর অনগ্রসর মানুষকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন। তাদের সাথে মিশতে পারেন এবং মূলতঃ তাদের অধিকার ও প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন হয়ে তাদেরকে মহান মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআ'লার সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে পারেন।

বস্তুতঃ আগেই বলেছি, ইসলামী শরিয়তে নিজ হাতে উপার্জিত খাবার গ্রহণে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'নিজ হাতে উপার্জিত খাবার থেকে উত্তম কোনো খাবার নেই; আল্লাহর নবী দাউদ আলাইহিস সালাম নিজ হাতে উপার্জিত খাবার খেতেন।' -বুখারি : ২০৭২

অন্য হাদিসে এসেছে, 'ঈমান আনার পর হালাল উপার্জন অন্যতম কর্তব্য।' -শুআবুল ইমান : ৮৩৬৭

কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করেছেন প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামঃ

মানবজীবনে অর্থ-সম্পদের প্রয়োজনীয়তা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের কারণেই রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হালাল উপায়ে অর্থোপার্জনের যত পথ ও পন্থা আছে, সেগুলো অবলম্বনে উৎসাহিত করেছেন। কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চমৎকারভাবে উৎসাহ প্রদান করে একটি হাদিসে বলেছেন,

'কোনো মুমিন যখন গাছ লাগায় অথবা কৃষিজ ফসল ফলায়, অতঃপর তা থেকে কোনো পাখি, মানুষ বা পশু আহার করে; সেটি তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে।' -বুখারি : ২৩২০

সৎ ব্যবসায়ীগণ কিয়ামতে নবী, সিদ্দিক ও শহীদগণের সঙ্গী হবেনঃ

ব্যবসার ক্ষেত্রে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'সততা ও সত্যবাদিতা নিয়ে যারা ব্যবসায় পরিচালনা করবে, তারা কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে উঠবে।' -তিরমিজি

ইসলাম পার্থিব উন্নয়ন অগ্রগতিকেও উৎসাহিত করেঃ

শুধু কৃষি উৎপাদনেই নয়, শিল্প ও সৃষ্টির ক্ষেত্রে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নানাভাবে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। সে কারণেই আমরা দেখতে পাই, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় সাহাবায়ে কেরামের একটি বিরাট দল ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, কৃষি ও শিল্পে নিজেদের দক্ষতার গুণে বিপুল ধনৈশ্বর্যের মালিক হতে পেরেছিলেন। রাসূলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের এসব কাজে বাধা তো দেনই নি, বরং নিরন্তর উৎসাহ যে দিয়েছেন, তার প্রমান পাওয়া যায়, এসব সাহাবিদের কারও কারও রাসুলের জবান থেকে জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্তির মাধ্যমে। হযরত আবু বকর রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। মুসলিম উম্মাহর প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি কাপড়ের ব্যবসা করেন। খলীফা হওয়ার পরে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী গোটা জাতির মাথাপিছু গড় আয়ের সমপরিমাণ জীবন ধারণ ভাতা গ্রহণ করতেন।

হযরত উসমান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, আবদুর রহমান ইবনে আউফ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু, সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুসহ অনেক সম্পদশালী সাহাবির নাম ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে, যারা ব্যবসা বানিজ্য এবং উৎপাদনমুখী নানা পেশায় যুক্ত ছিলেন।

বস্তুতঃ এসব দৃষ্টান্ত থেকে ইসলামের অন্যতম যে সৌন্দর্য্য আভা উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তা হচ্ছে, বৈষয়িক কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নয়, বরং হালাল উপায়ে সম্পদসম্ভার উপার্জন করে আল্লাহ তাআ'লার নির্দেশিত পথে পার্থিব জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনয়ন এবং অর্জিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পারলৌকিক জীবনে সফলতার ভিত্তি গড়ে তোলাই প্রকৃত ধার্মিকতা। কারণ, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 'দুনিয়াকে আখিরাতের শস্যক্ষেত্র' অভিহিত করেছেন। তাই অর্জনের স্থান এই পার্থিব জীবনই। পরকালে নাজাত বা মুক্তির পাথেয় অর্জনেরও ক্ষেত্র এটাই।

পণ্যে ভেজাল মেশানো প্রতারণাঃ

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর ইবাদত তথা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চা এবং দ্বীনি দাওয়াতের জন্য মদিনায় মসজিদ নির্মাণ করেছেন, তেমনি মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মদিনায় তিনি ইসলামী বাজার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বনু কায়নুকার বাজারটির পরিচালনার দায়িত্বভার তিনি নিজেই নিয়েছিলেন। এ বাজারটির বৈশিষ্ট্য ছিল- এখানে কোনো রকম ধোঁকা-প্রতারণা, ঠকবাজি, মাপে কম-বেশি করার বা পণ্যদ্রব্য মজুদ অথবা আটক করে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগই ছিল না।

নবীজীর বানী- যে ব্যক্তি কাউকে ধোঁকা দেবে সে আমার উম্মত নয়ঃ

হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন এক বিক্রেতার খাদ্যের স্তূপের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাঁর হাত ওই খাদ্যের স্তূপে প্রবেশ করান, এতে তাঁর হাত ভিজে গেল এবং অনুপযুক্ত খাদ্যের সন্ধান পেলেন। তখন রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, 'হে খাদ্য বিক্রেতা! এগুলো কী?' তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! খাদ্যগুলো বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন, 'তুমি এই ভেজা খাদ্যগুলো ওপরে রাখোনি কেন, যাতে সবাই তা দেখে নিতে পারে? যে ব্যক্তি কাউকে ধোঁকা দেবে সে আমার উম্মত নয়।' -মুসলিম : ১০২

খাদ্যে ভেজাল দিয়ে যে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করা হয়, তা অবৈধ পন্থায় অর্জিত। অবৈধ পন্থায় অন্যের সম্পদ ভোগ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পবিত্র কুরআনুল হাকিমে ইরশাদ করা হয়েছে,

وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ

‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না। ’ -সুরা আল বাক্কারাহ, আয়াত: ১৮৮

ওজনে কম দেওয়ার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,

وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ الَّذِينَ إِذَا اكْتَالُواْ عَلَى النَّاسِ يَسْتَوْفُونَ وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ أَلَا يَظُنُّ أُولَئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ لِيَوْمٍ عَظِيمٍ يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ

'যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য রয়েছে বহু দুর্দশা, যারা মানুষের কাছ থেকে নেওয়ার সময় পূর্ণ মাত্রায় নেয়, আর যখন অন্যকে ওজন করে দেয় তখন কমিয়ে দেয়। তারা কি চিন্তা করে না, তাদের এক মহা দিবসে জীবিত করে ওঠানো হবে? যেদিন সব মানুষ রাব্বুল আলামিনের সামনে দাঁড়াবে।' -সুরা মুতাফফিফীন, আয়াত : ১-৬

যে খাদ্য-পণ্যে ভেজাল দেয় সে মহাপাপীঃ

ব্যবসা বানিজ্যকে ইসলাম নিরন্তর উৎসাহিত করেছে। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামগণের আচরিত আদর্শ হিসেবে ব্যবসাকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ব্যবসা করা ইসলামে সুন্নত ও সৎকর্ম বলে গণ্য হলেও সব ধরনের ব্যবসা ইসলামে বৈধ নয়। যে ব্যবসায়ে জুলুম, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, ঠকবাজি, মুনাফাখোরি, কালোবাজারি এবং হারাম জিনিস যেমন- মাদকদ্রব্য, শূকর, মূর্তি, প্রতিকৃতি ইত্যাদির মিশ্রন রয়েছে, সেসব ব্যবসা ইসলামে হারাম। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সালাতের জন্য বের হয়ে দেখতে পেলেন, লোকজন কেনাবেচা করছে। তখন তিনি তাদের ডেকে বলেন, 'হে ব্যবসায়ী লোকেরা! কিয়ামতের দিন কিছু ব্যবসায়ী মহাপাপী হিসেবে উঠবে; তবে তারা নয়, যারা আল্লাহকে ভয় করবে, সততা এবং বিশ্বস্ততা সহকারে ব্যবসা করবে।' -তিরমিজি, হা. ১২১০

এক হাদিসে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'হে ব্যবসায়ীরা! তোমরা মিথ্যা কথা ও মিথ্যা কারবার থেকে অবশ্যই দূরে থাকবে।' -তিবরানি

খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার একটি সহজ অর্থ হলো- সত্যের সঙ্গে মিথ্যার সংমিশ্রণ। ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশেল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَلاَ تَلْبِسُواْ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُواْ الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

‘তোমরা সত্যের সঙ্গে অসত্যের মিশ্রণ ঘটাবে না। জেনেশুনে সত্য গোপন করো না। ’ -সুরা বাকারা, আয়াত: ৪২

পণ্যে ভেজাল মেশানো গর্হিত কাজঃ

বলতে দ্বিধা নেই, পণ্যে ভেজাল মেশানো আমাদের দেশের অন্যতম সামাজিক অপরাধ। ভেজাল বলতে কেবল পণ্যসামগ্রীতে বর্জ্য পদার্থ, ভিনজাতীয় পদার্থ বা বিষ মেশানোকেই বোঝায় না; বরং ব্যবসায়িক লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয়ে বস্তুর দোষত্রুটি গোপন করা, ওজনে কম দেওয়া, মিথ্যা তথ্য দেওয়া, ধোঁকা দেওয়া, আসল কথার বিপরীত করা, ভালোমানের পণ্যে নিম্নমানের পণ্য মিশ্রণ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করাই নয়; বরং এই জাতীয় যত প্রকার দোষ ত্রুটির বিষয় ব্যবসা বানিজ্যের সাথে থাকতে পারে, ইত্যাদি সকলকিছুই ভেজালের অন্তর্ভুক্ত। আর সব ধরনের ভেজাল মিশ্রণ ইসলামে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেন,

يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تَلْبِسُونَ الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُونَ الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

'হে আহলে কিতাবগণ! কেন তোমরা জেনেশুনে সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে সংমিশ্রিত করছ এবং সত্যকে গোপন করছ।' -সুরা আলে ইমরান : ৭১

রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি কাউকে ধোঁকা দেবে সে আমার উম্মত নয়।' -মুসলিম : ১০২

তিনি আরো বলেছেন, 'যদি তোমার পণ্যদ্রব্যে কোনো দোষ থাকে, তবে তা কখনো গোপন করবে না। কেননা, তা গোপন করলে ব্যবসায় বরকত আসে না।' -বুখারি ও মুসলিম

অন্য হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম করে পণ্য বিক্রি করে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে ফিরেও তাকাবেন না।' -সহিহ বুখারি

মজুদদারি ও মুনাফাখোরি সম্পর্কে ইসলামের বিধানঃ

সাধারণভাবে মজুদদারি ও মুনাফাখোরিকে ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসাথে এটি ক্ষতিকর বিধায়, এ থেকে বেঁচে থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। খাদ্যদ্রব্য মজুদ করা অথবা তা বাজার থেকে তুলে নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো এবং অধিক মুনাফার প্রত্যাশা করাকে ইসলাম অবৈধ করেছে। হানাফি মাযহাব মতে এটি মাকরূহে তাহরিমি (হারাম সমতুল্য ঘৃণিত) হলেও অন্যান্য মাযহাব মতে এটি হারাম। এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অনেক মানুষকে দুর্গতির মধ্যে নিপতিত হতে হয়। মোট কথা, এটি এমনই একটি নিন্দনীয় গর্হিত কাজ, যা মানুষের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। তাই ইসলাম এই ধরণের কাজকে হারাম ঘোষণা করেছে। এ প্রসঙ্গে রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, 'যে ব্যক্তি মুসলমানদের খাদ্যশস্য মজুদ রাখে, আল্লাহ পাক তার ওপর দারিদ্র্যতা চাপিয়ে দেন।' -আবু দাউদ : ৫৫

এ ছাড়াও ব্যবসায়িক পণ্য বিক্রি না করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বর্ধিত মুনাফা আদায়ের প্রচেষ্টা একটি সামাজিক অপরাধও বটে। রাসুলে কারিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য এক হাদিসে ইরশাদ করেছেন, 'যে খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অভিশপ্ত।' -ইবনে মাজাহ

তিনি আরো বলেন, 'যে ব্যক্তি ৪০ দিনের খাবার মজুদ রাখে, সে আল্লাহর জিম্মা থেকে বেরিয়ে যায়।' -মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ২০৩৯৬

অন্য হাদিসে এসেছে : 'যে ব্যক্তি খাদ্যশস্য গুদামজাত করে সে অপরাধী।' -আল মু'জামুল কাবির : ১০৮৬

তবে গুদামজাত পণ্য যদি মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তু না হয় কিংবা মানুষ এর মুখাপেক্ষী না হয় অথবা এসব পণ্য চাহিদার অতিরিক্ত হয় বা গুদামজাতকারী বর্ধিত মুনাফা অর্জনের অভিলাষী না হয়, অথবা, বস্তুটি এমন ধরণের হয়ে থাকে, যা সংরক্ষন না করে সাধারণ মানুষের সারা বছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়- তাহলে এই ধরণের কিছু পরিস্থিতিতে পণ্য মজুদ রাখা বৈধতা রয়েছে। শুধু বৈধতাই নয়, এসবের কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্য মজুদের মাধ্যমে বরং সাওয়াবেরও অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে যায়।

মিথ্যা কসমকারী বিক্রেতাদের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলবেন নাঃ

বলা বাহুল্য, মিথ্যা কসম করতে সেইসব ব্যবসায়ীগণই বেশি ভালোবাসেন, যারা অধিক পরিমানে প্রতারক। আমাদের বাজার-ঘাটে সাধরণতঃ দেখা যায়, যারা খাদ্যে ভেজাল মেশান, তারা অনেক সময় মিথ্যা কসম করেন। পণ্য বিক্রি করতে শপথ করে বলেন, ‘আল্লাহর কসম! এটি একদম খাঁটি’ ইত্যাদি। এভাবে মিথ্যা কসম করে পণ্য বিক্রয়কারী সম্পর্কে হাদিসে ভয়ঙ্কর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না। তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না ও তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রয় করে। ’ -মুসলিম, হাদিস নং: ১০৬

সত্যিকারের মুমিন অন্যকে কষ্ট দিতে পারেন নাঃ

যারা খাদ্যে ভেজাল মেশান, তারা মানুষের ও দেশের ক্ষতিকারক-দুশমন। কারণ খাদ্যে ভেজাল মেশালে শুধুমাত্র মানুষের মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিই হয় না; বরং ক্ষেত্রবিশেষে মানুষ ফরমালিন, কার্বাইড ইত্যাদি বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত খাবার খেয়ে বিভিন্ন জটিল অসুখে আক্রান্ত হতে পারেনা। আবার অনেক সময় অভাবী ও অসহায় মানুষ চিকিৎসা না করতে পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেও পারেন।

আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বর্ণিত এক হাদিসে প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘মুসলমান বলা হবে ওই ব্যক্তিকে, যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে এবং মুমিন হলো ওই ব্যক্তি, যার পক্ষ থেকে অন্য মানুষের প্রাণ ও সম্পদের কোনো শঙ্কা না থাকে। -বুখারি, হাদিস নং: ১০; মুসলিম, হাদিস নং: ৪০

পরিশেষেঃ

বস্তুতঃ বর্তমানে আমাদের সমাজের সর্বোস্তরে ভেজালের সয়লাব চলছে। অপ্রতিরোধ্য প্লাবনের মত ভেজালের মহামারিতে আক্রান্ত আমরা। জগতের কোন বস্তুটি যে ভেজালমুক্ত, সেটা খুঁজে বের করাই এখন রীতিমত দূরুহ। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন করে বা শাস্তির বিধান পাশ করাই যথেষ্ট নয়। এর জন্য দরকার মানুষের নৈতিকতাবোধকে বিকশিত করা এবং পরকালীন জবাবদিহিতার বিশ্বাসকে জাগ্রত করা। একজন সত্যিকারের মুমিন খাদ্যে ভেজাল মেশাতে পারেন না। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খাইয়ে মানুষকে অসুস্থ করতে পারেন না। অন্যকে কষ্ট দিতে পারেন না। অন্যের কষ্টের কারণ কখনোই হতে পারেন না।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্য পানীয়কে সহজলভ্য করে দিন। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের খাদ্য এবং পানীয় উৎপাদনকারীগণের প্রত্যেককে মানবিক দৃষ্টিকে প্রসারিত করে ব্যবসার সাথে সাথে মানুষের সুস্থ থাকার অধিকারটিকেও উপলব্ধি করার জ্ঞান দান করুন। ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত খাদ্য পণ্য প্রস্তুত করার প্রতি প্রত্যয়ী হওয়ার তাওফিক দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×