somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন

০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

৫ আগস্ট ২০২৪। দেশের কঠিন এক ক্রান্তিকাল। একদিকে লক্ষ লক্ষ ছাত্র জনতার বিপুল উপস্থিতি গোট রাজধানী ঢাকার রাজপথজুড়ে। অন্যদিকে লাখো জনতাকে বুলেটের আঘাতে নিঃশেষ করে দেয়ার অব্যাহত হুমকি নিকৃষ্ট স্বৈরচারের। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনী দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষায় আবারও একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি। তারা দেশমাতৃকার ক্রান্তিলগ্নে যথার্থ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এবং আবারও অসাধারণ একটি সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হলেন। মাননীয় সেনা প্রধান উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে স্পষ্টভাবে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন যে, তারা দেশবাসী সাধারণ ছাত্র জনতার দিকে অস্ত্র তাক করবেন না। দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষায় সিদ্ধান্তটি ছিল এককথায় যথার্থ, উপযুক্ত এবং ঐতিহাসিক। আমরা আমাদের সাহসী বীর সেনানীদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। একটি অনাকাঙ্খিত রক্তপাত এড়ানোয় তাদেরকে হৃদয়ের গহীন হতে উষ্ণ অভিবাদন জ্ঞাপন করছি।

সিন্দাবাদের ভূতের মত জাতির কাঁধে চেপে বসা অপশক্তি সেনাবাহিনীকে কঠিন হতে কঠিনতর চাপের মধ্যে ফেলার পরেও তারা বিভ্রান্ত হননি। দেশ ও জাতির পক্ষে নিজেদের অবস্থান শেষ মুহূর্ত পর্যন্তু স্থিরভাবে ধরে রেখেছেন। আর এরই ফলে দেশ ও জাতি মুক্তিলাভ করেছে নিকৃষ্ট ভিনদেশী তাবেদার গোয়েবলসের খোলস পরিহিত ভংঙ্কর স্বৈরাচারের দেড় দশকের চরম দুঃশাসন থেকে। পাপিষ্ট স্বৈরাচার এতটাই জঘন্য পাপে নিমজ্জিত হয়েছে যে, নিজ দেশে অবস্থান করার সৎ সাহসটুকুও তার ভেতরে অবশিষ্ট ছিল না। এক কাপড়ে পার্শ্ববর্তী প্রভূ দেশে পলায়ন করে এই দেশ এবং দেশের মর্যাদা ও গৌরবকে আরেকবার ভূলুন্ঠিত করেছে বিশ্বের দরবারে। বস্তুতঃ একটি জাতিকে গুম, খুন আর নিরন্তর অত্যাচারের স্টিম রোলারে নিষ্পেষিত করে রাখার অপরাধে ভয়ানক এই স্বৈরাচার এবং তার প্রতিটি সহযোগীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। আমাদের প্রত্যাশা, দেশের অগ্রগতি উন্নতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছাত্র জনতার নতুন যে সরকার গতকাল আগস্ট ০৮, ২০২৪ শপথ গ্রহণ করেছে, তারা অবশ্যই এই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না।

বিগত দেড় দশকে এই দেশবাসীকে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক বানিয়ে রাখা হয়েছিল। এখানে কেউ কথা বলতে পারতো না। কথা বললেই গুমের ভয়। কথা বললেই খুনের ভয়। কথা বললেই মামলার ভয় সকলের অন্তরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। পত্রিকাগুলোর মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না। বিচার বিভাগ কুক্ষিগত করা হয়েছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলতে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। পুলিশকে ব্যবহার করা হতো দলীয় ক্যাডারের হিসেবে। রাস্তায় মিটিং মিছিলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। নাগরিক অধিকার বলতে যা কিছু বুঝায়, তার প্রায় পুরোটাই শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট দলের, বাল (BAL) এর কর্মী সমর্থক এবং ক্যাডারদের জন্য নির্ধারিত ছিল। বিরুদ্ধ মত, ভিন্ন মতের কন্ঠকে দমনের নিকৃষ্ট পথ বেছে নেওয়া হয়েছিল মামলা হামলা দিয়ে। মামলার পরে মামলা। গন্ডায় গন্ডায় মামলা। ডজনে ডজনে মামলা। কুড়িতে কুড়িতে মামলা। গন্ডা, ডজন আর কুড়িই শুধু নয়। একেকজনের বিরুদ্ধে শত শত মামলারও নজির রয়েছে কুখ্যাত এই নিকৃষ্ট তাবেদার স্বৈরাচারের।

বিরুদ্ধ মত দমনে এরা গুমকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর স্বীকৃত পদ্ধতির প্রায় কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। এরা গুমের বৈধতা দিতে চেয়েছিল। এরা নামকরণে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিগত কোনো সরকার অন্যদের নাম নিশানা এইরকম ব্যাপকভাবে মুছে দেয়নি। এককভাবে শুধুমাত্র নিজেদের নামই থাকবে, আর কারও নাম সহ্য করা হবে না- এমন নিকৃষ্টভাবে সকল কৃতিত্ব নিজেদের দখলে নেওয়ার নজির এই দেশে ইতোপূর্বে ছিল না। এরা শত শত প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টেছে। সবকিছুর একক কৃতিত্ব শুধুই আমার, এদেশে আমি ব্যতিত আর কারও নাম থাকবে না, থাকতে পারবে না- এই নিকৃষ্ট অন্ধ মানসিকতা তাদেরকে পতনের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এরা নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে জাহির করে নিজেদের সকল অপকর্মকে জায়েজ করতে চেষ্টা করতো। কিন্তু জনতার ক্ষোভের সামনে মিথ্যেবাদীদের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। চোরের বেশে পলায়নপর নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা তাদের অপকর্মের পরিণতি অবশ্যই ভোগ করবে।

পরিশেষে দেশ ও জাতির প্রতি আমাদের ভরসা এবং আস্থার স্থল সেনাবাহিনীর অনন্য দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রেরণা হয়ে থেকে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×