
আমাদের একজন ব্লগার বন্ধু তার একটি পোস্টে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে বোধগম্য না হওয়ায় সঠিক তথ্য জানার জন্য ভাবলাম যে, একটি পোস্ট দিয়েই বিষয়টি সম্মন্ধে জানতে চাওয়া উত্তম হবে। সে কারণেই মূলতঃ এই পোস্টের অবতারণা।
বলা বাহুল্য, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, যিনি কি না আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যিনি কি না ইতোপূর্বে যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, এবং যিনি কি না, তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন প্রসিকিউটরও ছিলেন। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোনো বংশধর আওয়ামী বর্বর খুনীদের দলীয়/ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করতে পারেন- এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর।
সুমন নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর- এর গ্রহণযোগ্য কোনো প্রমান তার কাছে আছে কি? অনুগ্রহ পূর্বক যদি তিনি অথবা, অন্য ব্লগার বন্ধুরা (যাদের জানা আছে) এখানে শেয়ার করেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হবো।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশের কোথাও কোথাও সৈয়দ, মীর ইত্যাদি বংশীয় লকবধারী কিছু কিছু লোককে নিজেদেরকে নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর দাবি করতে দেখা যায়। আর এই দাবির পেছনে সাধারণ মুসলমানদের গভীর সিম্প্যাথি, শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা এবং আন্তরিক অনুগ্রহ লাভ করার একটা উদ্দেশ্য যে লুকায়িত থাকে, বলারই অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এইসব দাবি যারা করে থাকেন, তাদের অধিকাংশই যে ধোঁকাবাজ এবং প্রতারক তা বহুভাবে বহুবার বিভিন্ন লোকের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই প্রমানিত হয়েছে। এই কারণেই সঠিকভাবে বিষয়টি অবগত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
আরেকটি কথা, সত্যিকারার্থে যারা নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশধর, তারা নিজেদের পরিচিতি সকলকে জানিয়ে দিতে এত প্রচার প্রচারণা এবং পাবলিসিটি পছন্দও করেন না। তারা দুনিয়ার শান শওকত পছন্দ করেন না, বরং বেশিরভাগই নিরবে নিভৃতে পরকালমূখী জিন্দেগী যাপন করে থাকেন। উম্মাহর ঈমানী এবং আমলি তরক্কি নিয়ে ফিকির করেন। ইলম এবং আমলের সুন্নতি জিন্দেগী বেছে নেন।
ব্যারিস্টার সুমনরা কোন জিন্দেগীর অধিকারী?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


