
ওবায়দুল কাদের। মিথ্যা কথন, ভূয়া তথ্য প্রদানে তাহার অতি পারঙ্গমতায় মুগ্ধ হইয়া আদর করিয়া সবাই তাহাকে ডাকিতেন কাউয়া কাদের নামে। কেউ কেউ অবশ্য ওকাও বলিয়া থাকেন। তবে এই কাউয়া নামে তাহার নামকরণের পেছনে অনেক কারণ থাকিলেও ইহার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, কাউয়া অর্থাৎ, কাক, অর্থাৎ, কালো দাঁড় কাকের মত অনবরত কা কা করিয়া যাইতে তাহার পারদর্শিতা ও পারঙ্গমতা ছিল এককথায় অতুলনীয়। আর তাহার অধিকাংশ কথাই যে মিথ্যা এবং ভূয়া হইতো তাহা তো একেবারেই প্রমানিত সত্য। বস্তুতঃ পলাতক স্বৈরাচার খুনী হাসিনার পরেই মিথ্যাবাদিতায় তিনি নিজের কৃতিত্বকে প্রমান করিতে পারিয়াছিলেন বলিয়াই তাহাকে মিথ্যা বুলি অবিরত আওড়াইয়া যাওয়ার মহান এই দায়িত্বটি দেওয়া হইয়াছিল। তাহাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রয় করিয়া চলা দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছিল। তিনিও এই দায়িত্ব অবিচলতা এবং অতি নিষ্ঠার সহিত পালন করিয়া গিয়াছেন। একেবারে পালাইয়া যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পালন করিয়াছেন।
তাহাকে দেখা যাইতো, তিনি মিথ্যা আওড়ানোর এই গুরু দায়িত্ব পালন করিতে যাইয়া নিজেকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতেন। কখনো কখনো মিথ্যা বলিতে বলিতে তাহার হাসি আসিবার উপক্রম হইলেও তাহা অতি নিখুতভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতেন। তাহার ভাবনায় হয়তো ইহাই থাকিত যে, মিডিয়ার সামনে কথা বলিতে বলিতে যদি নিজেই হাসিয়া দেন, তাহা হইলে তো সর্বনাশ। লোকেরা তাহার মিথ্যাবাদিতা ধরিয়া ফেলিবে। তাই তিনি অন্ধের মত আচরণ করিতেন। কে কি বলিলো না বলিলো সেই দিকে আদৌ ভ্রুক্ষেপ না করিয়া কাউয়া সম্প্রদায়ের সত্যিকারের কাউয়ারা যেমন কা কা রবে এলাকা মাতাইয়া তুলিয়া থাকে, কাউয়া কাদেরও একইরকম প্রতিবন্ধী টাইপের আচরণ প্রদর্শন করিতেন।
এই কাউয়াটার জন্য খুব চিন্তা হয় এখন। কারণ, কাউয়া দীর্ঘ দিন ধরিয়া বিএনপি, জামাতে ইসলামিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নামে অনবরত মিথ্যা বলার যে অভ্যাস গড়িয়া তুলিয়াছিল তাহাতে হঠাৎ করিয়া ছেদ পড়িয়া যাওয়ার কারণে ইহার পেটের ভাত কি করিয়া এখন হজম হইবে, ইহাই এখন বড় চিন্তার কারণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


