

মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চালাইবেন বলিয়া যিনি ঘোষনা দিয়াছিলেন সেই মহান মহিয়সী নেত্রী স্বয়ং হযরত শায়খ হাসিনা আলাইহাস সালামসহ তাহার যে সমস্ত এমপি, মন্ত্রী এবং উহাদের চ্যালা চামুন্ডা রহমাতুল্লাহি আলাইহিম বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরিয়া বঙ্গদেশের খেদমত করিতে করিতে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করিয়া দিয়াছেন, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচার করিতে করিতে দেশের স্বাস্থ্য হালকা বানাইয়া দিয়া দেশটারে ডায়েট কন্ট্রোল করিতে অভ্যস্ত করিয়া তুলিয়াছেন, শেয়ার বাজার, ব্যাংক বীমা, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করিয়া, উন্নয়নে দেশকে যাহারা প্রায় চতুর্থ আসমানের কাছাকাছি তুলিয়া ফেলিয়াছেন বলিয়া দাবি করিতেন, তাহাদের প্রতি বর্তমান ছাত্র জনতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সদয় আচরণ করিবে - এতটুকু অন্ততঃ আমরা আশা করিতেই পারি। আমরা দেখিতে পাইয়াছি, ইতোমধ্যে খবর রটিয়াছে যে, গতকল্য ১৩ আগস্ট ২০২৪ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হযরত শায়খ হাসিনা আলাইহাস সালাম এর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বিশিষ্ট ধর্মব্যবসায়ী হযরত সালমান এফ রহমান রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে এই সরকার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়াছেন। এই অতি মহত কাজটি সম্পাদন করিবার কারণে বর্তমান সরকার একটি ধন্যবাদ পাইতেই পারে। কিন্তু এই সরকারকে এখনও পুরোপুরি ধন্যবাদ দিতে পারিতেছি না, কারণ, তাহারা যথাযথ উদ্যোগ নিতে অতিশয় বিলম্ব করিয়া ফালাইতেছেন বলিয়া মনে হইতেছে। সালমান দাঁড়ি কাটিয়া নওজোয়ান সাজিয়াছে দেখিয়া অনেকে বেওকুফ বনিয়া গিয়াছেন। বলি, বেওকুফ বনিয়া যাইবার ভান ধরিতেছেন কেন? যৌবন কে না চাহে? মুখ টিপিয়া হাসিয়েন না, সালমানের মতন এমন চান্স পাইলে, আমি নিশ্চিত, আপনিও এই কাম করিয়া নিজেরে তাগড়া প্রমান করিতে দ্বিধাবোধ করিতেন না।
বিগত ১৫ বছর ধরিয়া মোমবাতির মত তিল তিল করিয়া যাহারা নিজেদেরকে বিলাইয়া দিয়া বিভিন্ন দেশে সম্পদের পাহাড় গড়িয়া তুলিয়াছেন, কমপক্ষে তাহাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের প্রতি যদি এই সরকার সম্মান প্রদর্শন করিতে বিন্দুমাত্র কসুর করে তাহা হইলে আমরা ছাত্র জনতাকে সঙ্গে লইয়া এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মাঠে নামিতেও দ্বিধা করিব না। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে যাহাদের নাম এই মুহূর্তে মনে পড়িতেছে, মহামতি আসাদুজ্জামান কামাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি, কাউয়া কাদের রহমাতুল্লাহি আলাইহি, জাহিদ মালেক রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ব্রেশিয়ারেস্টার তুরিন আফরোজ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সহিত এমপি নির্বাচন করিয়া যিনি হারিয়া গিয়াছেন সেই হাসানুল হক ইনু রহমাতুল্লাহি আলাইহি, কওমি আলেম ওলামাদের বিপথে পরিচালিত করিতে যাহার ভূমিকা অবিস্মরণীয় সেই কাল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বিচারপতিদের বুড়িগঙ্গায় চুবানোর কথা বলিয়া যিনি বিয়াফক মজা উদগীরন করিতেন সেই মেয়র তাপস রহমাতুল্লাহি আলাইহি, যুবলীগ নেতা নিক্সন রহমাতুল্লাহি আলাইহি, বাংলাদেশ পিছলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী, বিখ্যাত মুরগী চোরা শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ওরফে গোবিন্দ চন্দ্রসহ অপরাপর তেলবাজ আতেল আলাইহিমুস সালামগণকে অতি শিঘ্রই মহা সাড়ম্বরে রাষ্ট্রীয় মেহমান বলিয়া গণ্য করিয়া বিশেষ হেফাজতে নেওয়ার জন্য তীব্র দাবি জানাইতেছি।
আর হ্যাঁ, নেত্রী বলিয়া কথা! এই তিলকওয়ালী তো, ক্ষণেই আবার তছবিহ জপার কত সঙই না তিনি এই জাতিকে দেখাইলেন! তিনি দেশের বাহিরে থাকিবেন, তাহা কি করিয়া হয়? তাহার একটা সম্মান আছে না? তাহাকেও দেশে আনিতে হইবে! প্রয়োজন হইলে ইন্টারপোলের সহযোগিতা লইতে হইবে, কিন্তু দেশে ফিরাইয়া তাহাকে আনিতেই হইবে! শুধু ফিরাইয়া আনিলেই হইবে নাম, যথাযথ পুরষ্কারেও তাহাকে ভূষিত করা জনগণের এখন প্রাণের দাবি! এইভাবে পলাতক প্রতিটি কীট পতঙ্গকে খুঁজিয়া খুঁজিয়া সসম্মানে ফিরাইয়া আনিয়া আরাম আয়েসে তাহারা যাহাতে খাইতে পারে, অবিলম্বে তাহার ব্যবস্থা করা হউক।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



