somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

ফ্যাসিবাদের দোসর মিছবাহুরকে রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানানো হোক; সালমান আনিসুলদের মত...

১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ফ্যাসিবাদের দোসর মিছবাহুরকে রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানানো হোক; সালমান আনিসুলদের মত...

ছবি, অন্তর্জাল হতে সংগৃহিত।

আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। নামের আগে আলহাজ্ব লকব লাগানো এই জঘন্য ইতর লোকটি হাসিনার পা চাটা গোলামদের অন্যতম। ২০২৪ সালের বিরোধী দল বিহীন নির্বাচনসহ স্বৈরশাসক হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত বিগত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এই প্রতিটি ভূয়া নির্বাচনে এই দুশ্চরিত্র দুরাচার স্বৈরাচার হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এই দেশকে ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছুতে সর্বোচ্চ অপচেষ্টা চালাতে সামান্য কার্পন্য করেনি। বিএনপিসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল যখন শেখ হাসিনার অধীনে ভূয়া এবং পাতানো একতরফা একদলীয় নির্বাচন বর্জন করেছে, তখন এই নষ্ট নরকের কীট নেমকহারাম শুধুমাত্র নিজের ভাগ্য বদলের ধান্ধায় ফ্যাসিবাদের প্রতিটি অপকর্মে শেয়ালের মত হুক্কাহুয়া ররে জিগির তুলে হাসিনা বন্দনায় আপাদমস্তক মগ্ন, নিমগ্ন ও নিমজ্জিত ছিল। মূলতঃ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের অতি ক্ষুদ্র স্বার্থ চরিতার্থ করার হীন মানসে এইসব ইতর বদমায়েশরাই হাসিনার চূড়ান্ত অধপতনে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মূল ক্রিড়নকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহী এই কুলাঙ্গারদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর এখনই সময়। এই ভয়ঙ্কর হায়েনাদের যথার্থ পাওনা পরিশোধের উপযুক্ত সময় এখনই।

এই বদমায়েশ কখনও কখনও নিজেকে কওমির লোক দাবি করলেও বাস্তবিকপক্ষে এই জালিম কওমি ঘরানার কেউ নন। এই ব্যক্তিটি সত্যিকারার্থে একজন টাউট ছাড়া আর কিছুই নন। নামের আগে মাঝে মাঝে মাওলানা শব্দ ব্যবহার করতে দেখা গেলেও বস্তুতঃ এই লোকটি আলেম নন। ফ্যাসিবাদের চামচামি এবং দালালি করা ছাড়া এর আর কোনো যোগ্যতাও বিগত দেড় দশকে আদৌ দেখা যায়নি। এই অসভ্য লোকটিকে বিভিন্ন সময় বলে বেড়াতে দেখা গেছে, জামায়াত ও মিত্ররা ক্ষমতায় এলে দেশ না কি কসাইখানা হবে। এরে এখন সসম্মানে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করা দরকার, এই দেশকে সত্যিকারের কসাইখানা কারা বানিয়েছে? হাজারও ছাত্র জনতাকে খুন করে মানবতাবিরোধী অপরাধ কারা করেছে? জামায়াত ও তার মিত্র বিএনপিসহ অন্যান্য দল? না কি, তার প্রিয় দল নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদ আওয়ামী জাহিলিয়াত?

তার নিজের কোনো দল আছে কি না, জানা যায়নি তবে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। তবে এখানেও রয়েছে কিন্তু। তিনি কাদেরকে নিয়ে, অর্থাৎ, কোন কোন ইসলামী দল নিয়ে যে জোট গঠন করেছেন, তা একমাত্র আল্লাহ তাআ'লা মা'লূম। সাধারণত: কোনো একটি জোট গঠন করতে হলে একাধিক বা অনেকগুলো দল মিলেই তা করা সম্ভব। এইক্ষেত্রে আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান পরিচয় দিলেও তার নিজের আদৌ কোনো দল আছে বলে জানা যায় না এবং তার এই নামকাওয়াস্তে ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারে আসলেই কোনো ইসলামী দল যে আদৌ নেই, তা বিশ্বস্ত সূত্রে বিশদ যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রকৃতপক্ষে, আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী আগাগোড়াই একজন প্রতারক। অকাঠ মূর্খ এই লোকটি বিগত প্রায় ১৫ টি বছর ধরে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের দালালি করে বাগিয়ে নিয়েছেন বহুবিধ সুবিধা। সরকারি দপ্তরগুলোতে ছড়ি ঘুরানো ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। নিতান্ত কাঠমোল্লা টাইপের স্রেফ মূর্খ হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র তেলবাজি ও চামচামির কারণে বাগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড গভর্ণরের অতি লোভনীয় পদ। এই পদে আসীন হয়েই তিনি গোটা ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কায়েম করেছিলেন নিজের একচ্ছত্র রামরাজত্ব।

স্বৈরাচারের পাছায় তেল মর্দনকারী ভয়ঙ্কর এই রাষ্ট্রদ্রোহী কুলাঙ্গারকে অবিলম্বে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে উপযুক্ত স্থানে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হোক এখনই।

তেলবাজ মিছবাহ যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড গভর্ণর বাগিয়ে নিয়েছিলেন তার প্রমান

নির্বাচনে অংশ নেবে মিছবাহুর রহমানের ইসলামী ঐক্যজোট

জামায়াত নিষিদ্ধ করে সরকার বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়েছে: ইসলামী ঐক্য জোট

জামায়াত ও মিত্ররা ক্ষমতায় এলে দেশ কসাইখানা হবে: মিছবাহুর রহমান চৌধুরী
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×