somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হ্যাকিং এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস !

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৬০ সালে এআইটি ল্যাবের কিছু ছাএ
একটি প্রোগ্রামের কিছু শটকার্ট বের
করেন তারপর থেকে তখন তাদের
কে হ্যাকার বলা হতো। এরপর ১৯৭০
সালে জন ড্রেপার টেলিফোন সিস্টেম
হ্যাক করে বিনামূল্যে প্রচুর টেলিফোন করেন আর তখন থেকেই মুলত
হ্যাকিং ব্যাপারটা জোরে শোরো শুরু হয়
এই হ্যাকিংয়ের জন্য তাকে Captain Crunch
নামে উপাধি দেয়া হয়েছিলো । Captain
Crunch নামে খ্যাত জন ড্রেপার
বেচারা হ্যাকিংয়ের দায়ে ওই বছরই গ্রেপ্তার হন ।
তবে হ্যাকিংয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য
১৯৮৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Wargames
মুভিটিকে অনেকেই দায়ী করেন । ১৯৮৩
সালে ৪১৪ নামে ছয়জন টিনএজ
আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের সিস্টেম অকেজো করে দেয় তবে তারা খুব
তাড়াতাড়িই পুলিশের
হাতে ধরা পডে এবং wargames
মুভিটি দেখে তারা হ্যাকিং এর
ব্যপারে উৎসাহিত হন বলে স্বীকার
করেন। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশ হয়
হ্যাকারদের ম্যাগাজিন ২৬০০। ১৯৮৬ সালে University of California এর
অধিকাংশ হিসেবে ভুল আসার পর তদন্ত
করে দেখা যায় এটা হ্যাকার দের কাজ
পরবর্তীতে University of California
তে হ্যাকিং এর দায়ে ৫ জন
জামার্নকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৮৬ সালে আমেরিকায় হ্যাকিংয়ের
বিরুদ্ধে আইন করা হয়। ১৯৮৭ সালে হার্বাট জিন নামের ১৭ বছর
বয়সী হাইস্কুল ছাত্রকে ১৯৮৬ সালের
হ্যাকিং আইনে গ্রেফতার করা হয়
এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবের তথ্য চুরির
অভিযোগে। ১৯৮৮ সালে Cornell University এর রবার্ট
মরিস একটি ইন্টারনেট ওয়ার্ম এর
সাহায্যে ৬০০০
নেটওয়ার্ককে থামিয়ে দেয়
তবে তিনি খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হন এবংতার
৩ বছরের জেল সাথে ১০০০০ ডলার জরিমানাকরা হয় । ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস
একটি রেডিও স্টেশন
একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন
করে যেখানে বলা হয় ১০২তম ফোন
কারীকে তারা গাড়ি পুরস্কার দেবে।
ফেভিন পলসেন রেডিও স্টেশনের টেলিফোন সিস্টেমে হ্যাক করে এমন
ব্যবস্খা করেন যাতে তার ফোন ছাড়া অন্য
কারো ফোন যেন রিসিভ না হয়। ফলাফল
তিনি ঠিকই গাড়ি জিতে নেন। কিন্তু
পরে গ্রেপ্তার হয়ে খাটতে হয় ৫১ মাসের
জেল। এছাড়া Kevin Poulsen, Ronald Austin and Justin Peterson এই তিনজন মিলেও ফোন লাইন
সিস্টেম হ্যাক করে ২০০০০ ডলার
জিতে নেয় তবে বেচারারাও
পরে ধরা খায়। ১৯৯৪ সালে ১৬ বছর বয়সী Richard Pryce
যাকে alias Datastream Cowboy
নামে ডাকা হয় সে প্রায় ১০০
কম্পিউটারের সিকিউরিটি সিস্টেম
ভেংগে ফেলে যার মধ্যে নাসা, কোরিয়ান
পারমাণবিক সংস্হা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সংস্হার নেটওয়ার্ক ছিল। এছাড়া হ্যাকিং জগতে অন্যতম বড়ব্যাংক
ডাকাতি করেন রাশিয়ান গণিতবিদ
ভাদিমির লেভিন। তিনি নিউইয়র্কের
সিটি ব্যাংক থেকে কাস্টামারদের ১০
মিলিয়ন ডলার নিজের
অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ইংল্যান্ডের
হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হন
এবং তিন বছর জেল খাটেন। সব টাকাই
ফেরত পাওয়া যায় তবে ৪০ লাখ ডলার
পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর সব বড় বড় হ্যাকার কারাঃ
ব্লাক হ্যাকারদের মাঝে কেভিন
মিটনিককে বলা হয় হ্যাকারদের গুরু ।তার
হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ
উপাধি দেওয়া হয়।


এই বিখ্যাত হ্যাকিং গুরুর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছিলো তা হল
• Los Angeles এর বাস সিস্টেম
হ্যাকিং করে ফ্রী ভ্রমণ।
• DEC সিস্টেম হ্যাকিং যার
কারনে তাদের ১৬০০০০ ডলার
ক্ষতি হয়েছিলো • Motorola, NEC, Nokia, Sun Microsystems and
Fujitsu Siemens সিস্টেম হ্যাকিং
• এফবিআই এর সিস্টেমে হ্যাকিং এর
চেষ্টা

• IBM এর মাইক্রোকম্পিউটা র
প্রজেক্টে এ্যাটাক এছাড়াও শত শত নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের
চেষ্টা ,ফ্রী কল করার হ্যাকিং,বিভিন্ন
মেইল সিস্টেম হ্যাকিং চেষ্টার শত শত
অভিযোগ ছিল তবে তা প্রমাণ করা যায়
নি।
তাকেও জেলে পাঠানো হয়। ২০০০ সালে কেভিনমুক্তি পান, তবে শর্ত ২০০৩
সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার
ব্যবহার করতে পারবেন না ।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×