ঢাকা এসেছিলাম কোন কারনে। ভাইগ্না টিপু নিয়ে চললো ওর বন্ধুর বাসায়। ট্রাফিক সিগনালের সবুজ লাইট জ্বলার অপেক্ষায় ট্যাক্সিতে বসে আছি। জানালা খোলা থাকায় ওল্ড ইজ গোল্ড মডেলের একটা গোল্ডেন গান কানে ভেসে এল " মানুষ মানুষের জন্য " পাশে তাকিয়ে দেখি গাড়িতে ভদ্র মহিলা কোলে রাখা কুকুরটাকে আদর করছে আর গানটা শুনছে। ভদ্র মহিলার রুচি দেখে না বলা ধন্যবাদ পেয়ে গেল। কিন্তু আর রইলো না সে ধন্যবাদ, কারন যখন দেখলাম একজন ভিক্ষুক এক টাকা চেয়েও খালি হাতে ফিরে এল। কিছু মানুষের গরিবের প্রতি সহানুভুতি শুধু মুখেতেই সীমাবদ্ধ। কাজে কর্মে কিছু নেই। উপদেশ সবাই দিতে জানে,সেটা পালন সবাই করতে পারে না। যারা পারে তারাই ব্যাতিক্রমি মানুষ। আর এরাই শ্রেষ্ট মানুষ হিসেবে পৃথিবীর বুকে আজও বেঁচে আছে।
মাদার তেরেসা কে আজ সবাই মনে করে থাকে। কোন ধর্মিয় দৃষ্টিকোন থেকে নয়, ভাল মানুষ হিসেবেই এরা পরিচিত।সমাজের সাধারন মানুষের দুঃখ গুলো কে তারা দেখেছে নিজের দুঃখ হিসেবে। পাশে দাঁড়িয়েছে আপনজন হয়ে।
( পুরনো কথার যের ধরে ) সম্পদ আর গরিবের প্রতি সহানুভুতি বিপরিত মুখি। )আমার যখন সম্পদ থাকবেনা তখন হয়তো ভাববো, আমার যদি অধিক অর্থ সম্পদ থাকতো তাহলে এই দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাড়াতাম। ওদের দুঃখ গুলোকে শেয়ার করতে পারতাম। আমার এ ভাবনার শীগ্রই পরিবর্তন হবে যখন অঢেল ধন সম্পত্তি আমার হস্ত গত হবে।
সমাজের বিত্তবানদের ঐ নিচ তলার মানুষদের কথা ভাববার সময় হয় না। কেও খেয়ে অতিরিক্ত খাবার ফেলে দিচ্ছে আবার কেও না খেয়ে উপবাস থাকছে। এ বিষয়টা হয়তো প্রিন্সেস ডায়নার ভাল লাগেনি। হয়তো হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছে বিষয়টা তার। তাইতো ডায়না পাশে এসে দাড়িছেন সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে।চেষ্টা করছেন তাদের দুঃখ কে লাঘব করতে। পেরেছেন কি? হয়তো বা। যদিও পেরেছেন,তবুও সুদূর প্রশারি কোন ফল বয়ে আসেনি তাতে। কারন এ ভাল মানুষ গুলোর কর্ম কান্ড থেমে গেছে তখনই, যখন তাদের নিঃশ্বাস এ পৃথিবী ছেরেছে।
এ ধরার সৃষ্টির লগ্ন থেকেই ভাল মানুষের সাথে সাথে খারাপ মানুষও এসেছে। খারাপ না থাকলে ভাল'র কোন সম্মানই থাকতো না। এই ভাল খারাপের প্রার্থক্যকে বুঝে ভালকে গ্রহন করার জন্যই হয়তো স্রষ্টা খারাপের জন্ম দিয়েছেন। নিজের ভাল আর পরের ভাল, এ দুটি থেকে নিজের ভালটা সবাই চায়। পরের ভালটা সবাই ভাবে না ,যেমনটা ভাবে না পরের দুঃখ টা।
আমাদের দেশে ড. মোহাম্মদ ইউনুস এটা ভেবেছেন একটু অন্য ভাবে। যেভাবেই ভাবুক, তিনি ভেবেছেন সেটাই বড়। কিছু দুখি মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে উনার ভাবনায়। যা অন্য কেউ ভাবেনি। ড. মোহাম্মদ ইউনুস কে সুদ ব্যাবসায়ী বা সময়ের সদ ব্যাবহার কারী সহ যা-ই বলেন না কেন আমি উনাকে সমর্থন করবো। ুক্ষুদ্র ঋনের মাধ্যমে তিনি দারিদ্র বিমোচনের চেষ্টা করছেন।আংশিক সফলও হয়েছেন।
আমাদের দেশে কোন প্রতিষ্টিত লোককে দেখা হয় তার সাময়িক যোগ্যতা দিয়ে। সে আগে কি ছিলো বা কেমন ছিল,সেটা তেমন একটা দেখা হয়না। এখন সে কেমন বা কি হয়েছে সেটাই মুখ্য বিষয়। আমাদের দেশের কেও নবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে সেটাই আমার কাছে অনেক বড় মনে হয়েছে। যারা বাংলাদেশকে চিনতো না,জানতো না, তাদের দেশের টিভি চ্যানেল বা পত্র পত্রিকাতে দুদিনের জন্যে হলেও ড.মোহাম্মদ ইউনুস কে ও বাংলাদেশকে স্বরন করেছে। একজন প্রবাসি হিসেবে আমার কাছে যা অনেক বড় একটা গর্ভের বিষয় বলে মনে হয়েছে।
(প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হয়নি )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

