“বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে। আমার মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে, রক্ত দিয়ে তা রক্ষা করবে” - বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় প্রত্যয় ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
রক্ত বাংলার মানুষ তখনো দিয়েছে- স্বাধীনতাকে পাবার জন্য , এখনো দিয়েই যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবীতে।
একেকজন আলোচিত অপরাধীর রায় ত্বরান্বিত হয় - শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষ দুনিয়ার বুকেই জাহান্নামের আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। সবাই জানে এবং আমিও আমার দৃঢ় ধারণা থেকেই বলছি, মুজাহীদ এবং সাকা চৌধুরীর রায়ের আগে দেশে অরাজকতা আর ত্রাস সৃষ্টি করার প্রক্রিয়ার নির্মম শিকার হলেন প্রকাশক শ্রদ্ধেয় দীপন ভাই, পুলিশ কনস্টেবল মুকুল, পুরান ঢাকায় তাজীয়া মিছিলে ১০০ জন আহত সহ নিহত হলেন ২ জন, ২ জন বিদেশীও।
মাননীয় সরকার প্রধান এবং দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি , “দ্রুত” এবং “ স্বচ্ছ বিচার” দেবার স্বদিচ্ছা রেখে অনুগ্রহ পূর্বক বার বার ক্ষমতায় আসার তুরুপের তাস হিসেবে “যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার” বিষয়টাকে ব্যবহার করে আর তিক্ত কলঙ্কিত করবেন না। অন্তত মুক্তিযুদ্ধ এবং অদ্যাবধি এই বিচারের প্রক্রিয়ায় জল্লাদের হাতে রাস্তায় , ঘরে , অফিসে সাধারণ শ্রমজীবি মানুষের শহীদ হয়ে যাওয়া প্রাণগুলিকে আর অসন্মান করবেন না, জাতির পিতার প্রত্যয়কে অসন্মানিত করবেন না ।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বেড়ালও কিন্তু বাঘ হয়ে যায়। দয়া করুন- শেষ করুন এই বিচার। মানুষ দু`বেলা মরার আগে একবারেই মরতে চায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫