জীবনানন্দ দাশের মাতা কবি কুসুম কুমারী দাশ একদা লিখিয়াছিলেন , “ আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে..........” । তবে তিনি যদি আমাদের এই ব্লগস্থ এক মহান প্রেমিক কবি ব্লগার যার নামের আদ্যক্ষর “স”, তাঁহাকে যদি দেখিতেন তবে তিনি লিখিতেন “ আমাদের দেশে হবে সেই প্রেমিক কবে , ঝাঁটানোতেও যে না প্রেমে ক্ষান্ত দেবে ।” অদৃষ্টের পরিহাস তিনি আমাদের এই যুগ হইতে বহুকাল পূর্বে গত হইয়াছেন । তাই আমরা আমাদের এই প্রেমিককে লইয়া চিরস্মরণীয় কোন কবিতা পাইলাম না । তবে এতে এই মনে হইতেছে না যে আমাদের প্রেমিক প্রবরের কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ রহিয়াছে । তিনি সকলকে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করিয়া প্রেমের কবিতা লিখিয়া যাইতেছেন । কোন প্রকার প্রতিকুল বিষয় কিংবা কোন প্রকার বাঁধাতে তিনি নিজেকে থামাইতেছেন তো নাই উপরন্তু তিনি বলিয়া যাইতেছেন “ আমি কী কাউরে গণি ?” ।
অলক্ষ্যে শোনা যাইতেছে কেউ বা কাহারা তাকে ব্যান করিবার জন্য তোড়জোর করিলেও তিনি দমিতেছেন না । কী বা আসে যায় এই ব্যানকর্মে ? মনের ভেতরে যে প্রেম ক্রমে বাড়িয়া বাড়িয়া প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর মত আকার ধারণ করিতেছে তাঁহাকে কী করিয়া ব্যান করিবে তাহারা ? তাই তিনি শত ব্যথাকে অগ্রাহ্য করিয়া অনবরত লিখিয়া যাইতেছেন প্রেম কাব্য বলা বাহুল্য উহা লাইলি মজনুর প্রেম কাহীনিকেও হার মানাইবে এবং যে ধরনের অধর্মের কথা কবিতায় মাখিয়া চলিতেছেন তাতে তো শরমে মরম গুটাইয়া যায় । তবুও সংগ্রামী প্রেম বলিয়া কথা , কেহ কী বলিতে পারিবে প্রেমের ক্ষেত্রে কিছুমাত্র অধর্ম নাই ? আলবাত রহিয়াছে, তাইতো প্রেমিক প্রবর থামিতেছেন না, স্বকর্মে তিনি অবিরত পদ্যধর্ম পালন করিতেছেন ।
যাহাহোক , এইবার ভূমিকা ছাড়িয়া মোদ্দাকথাতে আসি । এই কবি হলেন আগামী সকল প্রেমিকদের চিরস্মরণীয় পূর্বসূরী । এই আজকেও তিনি যে প্রেমপদ্য রচনা করিলেন কী কহিব ! নিজেকে আর নিবৃত্ত করিতে পারিলাম না তাঁহাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা আমার মত ব্রাত্যপ্রেমিকের কৃ তব্য বলিয়া মনে করি । তাই আমি সম্ভবত ২০০৭ সনে প্রকাশিত “নিয়মহীন” আলবামের একখানা গীত গিটার সহযোগে পরিবেশন করিলাম । একথা আমি নির্বিবাদে স্বীকার করি যে আমি গাইতেও জানি না বাজাইতেও পারি না । তাহার পরও প্রেমিক প্রবর যেভাবে লিখিয়া যাইতেছেন তাঁহার হইতে অনুপ্রাণিত হইয়া আমি এই দুঃসাধ্য কর্ম করিতে প্রবৃত্ত হইলাম । আশা করি প্রেমিক প্রবর ও প্রেমাস্পদ এবং যে বা যাহারা উহাদের এই স্বর্গনাট্যকে উপহাস করিয়া থাকেন তাঁহারা আমার এই খতরনাক কম্মকে মার্জনাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন ।বলিয়া রাখি যে ঘোড়ার ডাকের মত কণ্ঠে আমার গীতসাধনা শুনিতেছেন উহা কিছু মাস পূর্বের । সাম্প্রতিক সময় আমার কণ্ঠ অশ্রাব্য তস্য অশ্রাব্য হইয়া উঠিয়াছে । সে যাক নিম্নে গানের কথা ক’টি উল্লেখ করিয়া দিলাম ! যে ভিডিও আপনারা দেখিতেছেন উহার ইডিটকারী আবার বিশাল প্রেমিক প্রবর মাঝে সাঝে তিনিও এই ব্লগে ঢুঁ মারেন। যে মডেল বুড়িকে দেখিতেছেন উহাকে চিনিয়া লইবার ভার আপনাদিগকের !!
গীতিকথা:
এতো এতো ভালোবাসি তুমি কেন বাসো না!
আমায় দেখে একটুখানি দাঁত কেলিয়ে হাসো না।
মনের কথা উজার করে আচ্ছামত কাশো না,
আমায় দেখে বারান্দাতে আর কেন আসো না!
ময়না, তোতা, টিঁয়াপাখি কিছুতেই মনে গলে না।
আমার মনের রেলগাড়িটা রাস্তা দিয়ে চলে না।
ফুল ফোঁটাবো তোমার মনে, ড্রেনের নোংরা জলে না।
রাগ করে না বাবুসোনা, আমি ব্রাজিলের দলে না।
বলেই দেখো একবার তুমি, কি করতে পারি!
এক কথায় সিগারেট ছেড়ে টানবো আকিজ বিড়ি!
তুমি ছাড়া ফাঁকা লাগে সব পাংচার আমার গাড়ি
তোমার জন্য কালা কাশেমকে সেদিন দিলাম ঝাড়ি।
ডানে-বামে যত তাকাই শুধু খুঁজি তোমাকে,
সস মাখিয়ে খেয়ে নেবো হাইড্রোজেন বোমাকে।
ঢাকা শহর পুড়ে বানাবো নাগাসাকি-হিরোশিমা,
ভয় পেয়ো না, হবে না কিছুই করা আছে জীবন বীমা।
যতই বলি হাবিজাবি পাত্তা দাও না কি বুঝে!
এ জমানায় আমার মত পাত্র কি পাবে খুঁজে!
গাধা বল, ছাগল বল রাগ করি না লক্ষ্মী।
জানি তুমি আমার হবে পানির তলের পক্ষী।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫