somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নৈশ শিকারী
জীবন সংগ্রামে হেরে যাওয়ার মাঝে কোনো বীরত্ব থাকেনা; তাই জীবনের এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহসীকতার সাথে লড়াই করার মাঝেই জীবনের প্রকৃত বীরত্ব লুকিয়ে থাকে, আর ভাগ্য সবসময় সাহসীদের পক্ষেই কাজ করে।

বিজ্ঞান পবিত্র কোরআনকে সত্যায়ন করতে পারেনা; বরং কোরআনই বিজ্ঞানকে সত্যায়িত করেছে।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সূধী পাঠক,
মহান গবেষকদের অনেকেই পবিত্র কোরআনের বিজ্ঞান ভিত্তিক বাণীগুলোকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান কর্তৃক অনুমোদন দাণে সচেষ্ট হয়েছেন,তারা অনেক আায়াশ ও মেধাবিন্যাসের মাধ্যামে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন যাতে পবিত্র কোরআনের বাণীবদ্ধ আয়াতগুলোর মর্মকথা বিজ্ঞানের আধুণিক আবিস্কারের সাথে মিলে যায়। তারজন্যে পবিত্র কোরআনের তরজমায় ব্যবহৃত শব্দবলীকেও আধুনিকায়নে প্রবৃত্ত হয়েছেন,প্রয়োজনে সার্থক ভাবে তা করে নিয়েছেন।উদাহরণ স্বরূপ ‘ইয়াওম’ শব্দটি দ্বারা পবিত্র কোরাআনে দিন বুঝিয়েছে।আমরা জানিনা মহান আল্লাহ এই শব্দটি দ্বারা যে দিবস বুঝিয়েছেন তার পরিসর কোথায় কতটুকু বেঁধে নিয়েছেন; এ ক্ষেত্রে বিখ্যাত গবেষক গন বিজ্ঞান আবিস্কৃত ‘ইরার’ সাথে মিলাবার জন্যে বহু পরিশ্রম করে স্থির করেছেন যে,পবিত্র কোরআনে ব্যবহৃত ‘ইয়াওম’ শব্দটি দ্বারা সময়ের বিশাল পরিসরকে বুঝানো হয়েছে।

সেই ভাবে পবিত্র কোরআনের তরজমায় শব্দের নতুন রূপ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করেছেন।তেমনি পবিত্র কোরআনে ব্যাবহৃত সাত সংখ্যার হিসেবকে ভাষার অলঙ্কারিত্বে নতুন রূপ দিয়েছেন,বলেছেন যে,ভাষা সাহিত্যে সাত সংখ্যা দিয়ে যেমনি অধিক সংখ্যাকে বুঝানো হয়ে থাকে তোমনি পবিত্র কোরআন সাতকে অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করেছে।আর সেইভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করে কোরআনের বাণীকে বিজ্ঞান দ্বারা অনুমুদিত করিয়েছেন। আমরা ধরে নেব এটি অত্যান্ত সাহসিকতার কাজ; পবিত্র কোরআনকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে এর অভ্যন্তরীণ গ্রূঢ় মর্মবাণীকে উন্মোচনের চেষ্টা করা হয়েছে।কিন্তু সমস্যা হল,আমরাতো প্রকৃষ্টভাবে জানিনা,মহান আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন।আমরা শুধু আধুনীক চিন্তাধারা ও ফলাফলের সাথে মিলিয়ে ভাবতে পারি,মিলেগেলে এ ক্ষেত্রে বলতে পারি,কোরআনের বাণীকে বিজ্ঞান উন্মোচিত করেছে, আর না মিললে ধরে নিতে হবে পবিত্র কোরআন অন্যকথা বলতে চেয়েছে। লক্ষ্য করুন মহান আল্লাহ এ প্রসঙ্গে কি; সূরা বণী ইসরাইলে মহান আল্লাহ বলছেন,

ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﻒُ ﻣَﺎ ﻟَﻴْﺲَ ﻟَﻚَ ﺑِﻪِ ﻋِﻠْﻢٌ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ
ﻭَﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺃُﻭﻟـﺌِﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْﺆُﻭﻻً

17:36 যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। সূধী পাঠক,আসুন আমরা আমাদের আলোচ্য বিষয় নিয়ে একটু চিন্তা ভাবনা করি।

সূধী পাঠক, আমরা একে একে দেখব পবিত্র কোরআন কিভাবে বিজ্ঞানের তত্ত্বকে অনুমোদন দিয়েছে-বিজ্ঞানের বিষ্ময়কর তত্ত্ব বিগব্যাঙ বা মহাবিশ্বের সৃষ্টির প্রারম্ভিকা মহাবিস্ফোরণ তথ্যকে মুদ্রিত করে রেখেছে নিম্ন বর্ণিত আয়াতে,

"২১:৩০ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীগণ কি প্রত্যক্ষ্য করেনা যে পৃথিবীসমেত মহাবিশ্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল একটি অতিশক্ত ঘনিভূত ও গলানো উপাদানে পরস্পর পরস্পরের সহিত সন্নিবিষ্ট ছিল পিণ্ডাকৃতিতে,অতঃপর আমি উহাকে খণ্ডায়িত করিয়াছি এক বিস্ফোরনের দ্বারা।"

কিন্তু কোরআন বিজ্ঞানের পরিমাপকৃত শূণ্য সময়ের ও তাবৎ শক্তিভরের প্রায় শূণ্য আকৃতিতে ঘণায়নের সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা প্রধান করেনা আর এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের নিজস্ব অভিমতের মধ্যেও রয়েছে নানা ব্যাখ্যা শূন্যতা বা প্রাকৃতিক নিয়মের লংঘন। বিজ্ঞান নিজেও সন্ধিগ্ন, খোদ বিজ্ঞানই বলছে বিগব্যাঙ তত্ত্বে ‘যদি কোন পরিবর্তন আসে এবং তা গ্রহন যোগ্য হয় তবে নতুন করে সেজে উঠবে আজকের সৃষ্টি তত্ত্ব’- যা এখন ভবিষ্যতের দিন গুণছে। তাই বলা যায় যেখানে প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে সেখানে জোর করে সাজিয়ে বিজ্ঞানের অনুমোদন লাভের চেষ্টা করার প্রয়োজন কোন জরুরী বিষয় নয়। বিজ্ঞানের চারটি ইরাকে কোরআন ছয়টি সময়কালে বর্ননা করেছে অত্যান্ত সুশৃঙ্খল ভাবে। আমরা একে একে তার বর্ণনা দেখবো। তার আগে বলা প্রয়োজন,এই জায়গায় এসে বিজ্ঞান কোরআনের মুখোমুখি হয়েছে ,বলেছে কোরআন স্ববিরোধী, সে ব্যাখ্যাহীনতায় পড়ে গেছে। কিন্তু অর্বাচীণ বালক পরিমাপ করতে পারেনি তার গুরুর বিজ্ঞতা। যদি পারতো নতজানু হয়ে তার সামনের প্রশ্নবোদক চিহ্নগুলোকে আগে পরিশুদ্ধ করে নিত।

অকুতুভয়ে স্পর্দা দেখাতোনা। যাই হোক হালে এসে পালে বাতাস লেগেছে, আজকের জগৎবিজ্ঞানীগণ বুঝতে পেরেছেন যে,একদম শূণ্য হতে সৃষ্টি-যা বাস্তবে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রচলিত নিয়ম কানুনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়;তাও সম্ভব,যদি এই সৃষ্টির পিছনে এক অতিন্দ্রীয় মহাশক্তিধরকে যোগানদাতা হিসেবে দাঁড় করানো যায়। বিগ ব্যাঙ সম্পর্কে মহামতি জাহান মিয়া "আলকোরআন দ্য চ্যালেঞ্জ" গ্রন্থে যে ঐতিহাসিক পটভুমি তুলে ধরেছেন তা থেকে আমরা কিছুটা আলোচনা করছি, প্রায় ১৫ শত কোটি বছর আগে এই মহাবিশ্ব বলতে কিছুই ছিলনা তখন এক সুক্ষ্যাতিসুক্ষ সময়ে সংগঠিত হয় এই বিগব্যাঙ;আর এই বিস্ফোরণের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু। সৃষ্টিক্ষণে আদি মহাবিশ্ব ছিল সুখ্যাতিসুক্ষ পরমাণুর চেয়েও অনেক সুক্ষ ভ্রূণাবস্থায়; তখন তার ব্যস ছিল ১০-৩৩ সে মি। এই ক্ষুদ্র মহাবিশ্বটি জন্মাতে সময় নিয়েছিল ১০-৪৩ সেকেন্ড। আর সেই জন্ম লগ্নে উদ্ভব হয়েছিল মহাবিস্তার উত্তাপ, তা ছিল ১০৩২ কেলভিন। যুগপথভাবে শুরু হয়ে যায় মহাবিস্তার বা সম্প্রসারণ আর ছুটে চলেছে অজানার পথে। যে ক্ষণটিতে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়েছিল তাকে ‘টাইম জিরো’ বলাহয় আর সেই সময়ে শক্তিপুঞ্জের সমাবেশে যে ক্ষুদে ভ্রূণ জন্ম নিয়েছিল তাকে বলা হয় আদি অগ্নি গোলক।

শূণ্য সময়ে একেবারে শূণ্য অবস্থা থেকে বিস্ফোরণে জন্ম নেওয়া এই মহাবিশ্বের ধারণা সর্ব প্রথম পেশ করেন জর্জ ল্য মেইড্র (১৮৯৪-১৯৬৬ সাল)। ১৯২৭ সালে প্রদত্ব তত্ত্বে মহাবিশ্বের জন্মকাল নির্ধারনে ভূল হওয়ায় পরে তা বাতিল হয়ে যায়। ১৯৬০ সালে দূর্বল বেতার ধ্বনি মহাবিস্ফোরণ ঘটনার তত্ত্বকে জোড়ালো করে তোলে। ১৯৬৫ সালে ব্যাক-গ্রাউন্ড রেডিয়েশন আবিস্কারে ফলে বিজ্ঞানবিশ্ব বিগব্যাঙের সত্যতা নিয়ে এক নিশ্চিত সমাধানে পৌঁছায়। বিগব্যাঙের প্রবক্তাগন বিশ্বসৃষ্টিকে চারটি পর্যায়ে বিভক্ত করেছেন, আমরা তার সংক্ষিপ্ত আলোচনা আগেই জেনেছি, আমরা দেখেছি হাইড্রনিক ইরায় জন্ম নিয়ে অতি উত্তপ্ত মহাবিশ্বের তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে, মহাজাগতিক সকল বল তখন একত্রিভূত ছিল। এই পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে শক্তি রূপান্তরিত হয়ে বস্তুকণার সাংগাঠনিক মূল কোয়ার্ক কনার আবির্ভাব ঘটে। এই ঘটনাগুলি ঘটে অতি ক্ষুদ্র সময়ে। যার বাস্তবতা একেবারেই রহস্যময়। দেখাযাক কোরআন এই সময়কালের কি ব্যাখ্যা দিয়েছে,

ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻜُﻢُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﻓِﻲ
ﺳِﺘَّﺔِ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﻳُﻐْﺸِﻲ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ
ﺍﻟﻨَّﻬَﺎﺭَ ﻳَﻄْﻠُﺒُﻪُ ﺣَﺜِﻴﺜًﺎ ﻭَﺍﻟﺸَّﻤْﺲَ ﻭَﺍﻟْﻘَﻤَﺮَ ﻭَﺍﻟﻨُّﺠُﻮﻡَ
ﻣُﺴَﺨَّﺮَﺍﺕٍ ﺑِﺄَﻣْﺮِﻩِ ﺃَﻻَ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖُ ﻭَﺍﻷَﻣْﺮُ ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺭَﺏُّ
ﺍﻟْﻌَﻠَﻤِﻴﻦَ

৭ম সূরার ৫৪তম আয়াতে মহান প্রভু বলেন, (৭:৫৪) আল্লাহ্ই আেমাদের প্রভু যিনি আকাশ সমুহ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন ছয় দিবসে;অতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্তায় যে,দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড়, স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ,তারই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ,বরকতময় যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক।

উপরিউক্ত আয়াত সহ আরো অনেক আয়াতে ব্যাবহৃত ‘ইয়াওম’ শব্দটির ব্যাবহার বিষ্ময় কর, বিভিন্ন আয়াতে এই শব্দ দ্বারা সময়ের বিভিন্ন পরিসরকে বুঝিয়েছেন যা থেকে এমন কোন স্থির সিন্ধান্তে আসা যায়না যে,ইয়াওম বলতে অতি সূক্ষসময়, একঘন্টা না এক দিবস বুঝায়। প্রকৃত পক্ষে কোরআন এক অতি উন্নত বিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। এটি সর্বকালের সর্বজ্ঞানের সনদ। এটি একক ভাবে না কোন বিজ্ঞান পুস্তিকা না শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুশাসন সমৃদ্ধ নির্দেশিকা। সম্ভবত বিজ্ঞান মনীষার চেতনাকে ক্ষুরধার করার লক্ষেই কোরআন ইয়াওম শব্দটিকে নানাভাবে ব্যবহার করেছেন। শব্দটিকে কোন উপায়েই পরিমাপের আদর্শ হিসাবে ধরা যায়না ফলে বিতর্কের আর কোন সুযোগ থাকেনা। ডঃ মরিস বুকাইলি তার বিখ্যাত ‘বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান’ গ্রন্থে ইয়াওমকে একটি বিশাল সময়কাল বলে স্থির করেছেন- যা কোরআন বিরুদ্ধ। কাজী জাহান মিয়া, ৬:১১৫(তোমার প্রভুর বাণী সমুহ বাস্তবতায় ও মধ্যম পন্থায়য় পরিপূর্ণ) আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রসঙ্গে বিজ্ঞান উদ্ধৃত সময়কালের মধ্যে পরিসরের যে ভিন্নতা রয়েছে তার একটা গ্রহন যোগ্য সমাধান করা যায়, তাই তিনি ইয়াওম বলতে সূক্ষ মধ্যম ও বিস্তৃত সময়কাল হিসেবে ধরে নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থার নিরসন করার প্রয়াস পেয়েছেন। আমরা তহলে দেখি ৬:১১৫আয়াত কি বলছে,

ﻭَﺗَﻤَّﺖْ ﻛَﻠِﻤَﺖُ ﺭَﺑِّﻚَ ﺻِﺪْﻗًﺎ ﻭَﻋَﺪْﻻً ﻻَّ ﻣُﺒَﺪِّﻝِ ﻟِﻜَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ
আয়াতের প্রচলিত তরজমায় বলা হচ্ছে,

১.আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম।তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তণ নেই তিনি শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।

2. And the word of your Lord has been fulfilled in truth and in justice. None can alter His words, and He is the Hearing, the

ﺻِﺪْﻗًﺎ শব্দের অর্থ হল (in) truth বা সত্য। এর সাথে বাস্তবতার সম্পর্ক থাকলেও মধ্যম পন্থার কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়না আবার ﻋَﺪْﻻً শব্দটির অর্থ হল ‘ন্যায়’; ﺗَﻤَّﺖْ শব্দটির অর্থ হল ‘পরিপূর্ণ’। আবার, আয়াত ৫৫:২৯ এ ﻳَﻮْﻡٍ দ্বারা ‘সর্বদাই’ বুঝানো হয়েছে আয়াত ১০:৯২ তে ﻳَﻮْﻡَ দ্বারা ‘আজকের দিনে’ বুঝানো হয়েছে আয়াত ২২:৪৭ এ ﻳَﻮْﻣًﺎ দ্বারা একদিনকে হাজার বছরের সমান ধরা হয়েছে। আয়াত ৩২:৫ এ ﻳَﻮْﻡٍ দ্বারা একদিনকে হাজার বছরের সমান ধরা হয়েছে। আয়াত ৭০:৪ এ ﻳَﻮْﻡٍ দ্বারা একদিনকে ৫০হাজার বছরের সমান ধরা হয়েছে। আাল্লাহ চাহেনতো আমরা ধীরে ধীরে ‘ইয়াওম’ শব্দের এই বিভিন্ন পরিসর গুলোর ব্যাখ্যা খুঁজতে চেষ্টা করবো); উপরোক্ত আয়াত গুলিতে ইয়াওম শব্দের ভাবধারা লক্ষ্য করুন। এখানে বিগব্যাঙ প্রসঙ্গে বিজ্ঞান কর্তৃক প্রাক্কলিত সূক্ষাতি সূক্ষ সময়ের আবাস দেওয়া হয়নি। ব্যবহৃত শব্দটির ভাবধারার যে সীমা রেখা তাতে তাকে সময়ের নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বাঁধার কোন উপায় নেই। এটিও সেই সপ্ত আকাশ,সাতসমুদ্র তেরনদী ইতাদি শব্দের মতই প্রায়োগিক মূল্য দিতে হবে।

ফলে আমরা সময়ের যে পরিমাপ শূণ্যতায় পরেছি তা একমাত্র দয়াময়ই ভাল জানেন। এই উদ্ভূত সমস্যা থেকে পরিত্রানের একমাত্র পথ আমরা যদি এই ‘ইয়াওম’ শব্দটিকে সাধারণভাবে তরজামা করি অর্থাৎ ‘প্রয়োজনীয় সময়কাল’ হিসাবে গ্রহন করি। এবার দেখাযাক বিজ্ঞান কতৃক নির্ধারিত চারটি সময়কালের মধ্যে কি পবিত্র কোরআন বর্নিত ৬টি সময়কাল মিশে আছে? না ভিন্ন কিছু। ৬ আর ৪ দিবসের ধূম্রজালকে খুব সুন্দর ও সহজবোধ্য করে সমাধান করেছেন। আমরা সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে এ নিয়ে একটু আলোচনা করবো। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে অনেক গুলো আয়াতের অবতারনা হয়েছে তন্মধ্যে আমরা প্রথমেই এই আয়াতেই দেখব,

ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻖَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻓِﻲ ﺳِﺘَّﺔِ
ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺛُﻢَّ ﺍﺳْﺘَﻮَﻯ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﻓَﺎﺳْﺄَﻝْ ﺑِﻪِ
ﺧَﺒِﻴﺮًﺍ

২৫:৫৯,এখানে দয়াময় বলছেন,‘ তিনিই আসমান সমুহ,পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মাঝখানে যাহাকিছু রহিয়াছে তাহা সৃষ্টি করিয়াছেন ছয়টি সময়কালে অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি পরম দয়াময়;তার সম্পর্কে যিনি অবগত তাকে জিজ্ঞেস কর’। অর্থাৎ এই বিশ্ব সংসারের তাবৎ সৃষ্টিতে দয়াময়ের সময় লেগেছে মোট ছয়টি সময়কার এবার লক্ষ্য করুন সূরা ফযিলাত এর আয়াত সমুহ,

৪১:৯ (আল্লাহ তাঁর নবীকে বলছেন) ‘বল,তোমরা কি তাহাকে অবিশ্বাস করিতেছ যিনি দুই সময় কালের মধ্যে পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন? তোমরা তাঁহার সাথে অন্যকে শরীক করিতেছ? তিনিইতো বহু জগতের প্রতিপালক প্রভু। একেবারে স্ফটিকের মত পরিস্কার,এই আয়াত খানিতে শুধুমাত্র পৃথিবী সৃষ্টি ও তাকে আবাসযোগ্য করে তোলার জন্যে দয়াময়ের প্রয়োজন হয়েছে দু’টি সময় কাল। এবার মোট ৬ টি সময়কাল থেকে এই দুটি সময়কাল বাদ দিলে যে চারটি সময়কাল থাকে তা হল মহা বিশ্ব সৃষ্টির বিজ্ঞান প্রস্তাবিত চারটি সময়কাল। এখানে গোলক ধাঁধার আর সুযোগ রইল কোথায়? আছে বিরুদ্ধ বাদীদের হাতে যে অস্ত্রটি রয়েছে তা হল নিম্নের আয়াতটি-

৪১:১১ অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনযোগ দিলেন তখন উহা ছিল ধোঁয়া। তিঁনি উহাকে এবং পৃথিবীকে বলিলেন,‘আসো,ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।’ তাহারা বলিল,‘আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত ভাবে আসিলাম।’ আয়াতটি প্রকৃতই ধূম্রজাল সৃষ্টিকারী,যা সেই লোকদের জন্যে আল্লাহ্ পাক নাযিল করেছেন যারা চিন্তাভাবনা করে। সূধী পাঠক আসুন আমরা্ও তাবৎ জগৎবিজ্ঞানীদের সাথে একবার ভেবে দেখি দয়াময় আমাদেরকে কোন ধূঁয়ার মধ্যে ফেললেন।

২১:৩০ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীগণ কি প্রত্যক্ষ করেনা যে পৃথিবীসমেত মহাবিশ্ব ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল একটি অতিশক্ত ঘনিভূত ও গলানো উপাদানে পরস্পর পরস্পরের সহিত সন্নিবিষ্ট জমাটবদ্ধ পিণ্ডাকৃতির অবস্থায়,অতঃপর আমি উহাকে খণ্ডায়িত করিয়াছি এক বিস্ফোরনের দ্বারা।’

৪১:৯ (আল্লাহ তাঁর নবীকে বলছেন) ‘বল,তোমরা কি তাহাকে অবিশ্বাস করিতেছ যিনি দুই সময় কালের মধ্যে পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন? তোমরা তাঁহার সাথে অন্যকে শরীক করিতেছ? তিনিইতো বহু জগতের প্রতিপালক প্রভু।

৪১:১০ তিনিই(পৃথিবীতে) পহাড়গুলিকে দৃঢ়ভাবে অবস’ান দিয়াছেন। উহাকে করিয়াছেন কল্যাণকর তিঁনি চারটি সময়কালের মধ্যে সামগ্রি দিয়াছেন প্রয়োজন মত যাহার যাহা চাহিদা তদনুসারে।

৪১:১১ অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনযোগ দিলেন তখন উহা ছিল ধোঁয়া। তিঁনি উহাকে এবং পৃথিবীকে বলিলেন,‘আসো,ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।’ তাহারা বলিল,‘আমরা স্বেচ্ছায় অনুগত ভাবে আসিলাম।’

৪১:১২ পরে তিনি দুই সময়কালের মধ্যে সাত আসমানকে নিয়মিত করিলেন এবং প্রতি আসমানকে ওহীর মাধ্যামে নির্দেশ দিলেন;এবং আমরা নিম্ন আকাশকে তারকা রাজিদ্বারা সজ্জিত করিলাম-এবং উহাকে দিলাম এক পাহারাদার। মহা পরাক্রান্ত ও মহাজ্ঞানবান আল্লাহর দেওয়া বিধান এইরূপ। উপরের চারটি আয়াতকে নিবির ভাবে লক্ষ্য করুন,

১. ৪১:৯ আয়াত বলছে দুই সময়কালের মধ্যে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন,অর্থাৎ দুই সময় কালের কোন এক সময়ে,দুই সময়কাল জুড়ে নয়।

২. ৪১:১০ আয়াতের নীল রঙের অংশটুকু নিতান্তই পরিস্কার,আগের আয়াতের ধারাক্রম এখানেই পৃথিবীকে সাজিয়ে কল্যাণকর করার কথা বলা হয়েছে এবং প্রক্রিয়াটি চলেছে সম্ভবতঃ নির্দিষ্ট চার পর্যায়ের মধ্যে। এই আয়াতের পরবর্তী অংশে নির্দিষ্ট চার পর্যায়ের মধ্যে কি পৃথিবীকে সাজানোর কথা বলা হয়েছে? আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। এখানে যাহার যা চাহিদা শব্দ দু’টি দিয়ে এই অংশটুকুকে এই আয়াত থেকে পৃথক করে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থাকে বুঝিয়েছেন। সম্ভবত এই চারটি সময়কালে মহাজগৎকে সাজিয়ে ঘুছিয়ে আজকের স্বরূপে আনা হয়েছে। এখানে ষ্টেলার ইরার কার্যক্রমকে বুঝানো হয়েছে।

৩. এবার আয়াত ২১:৩০ এর দিকে তাকান, বিস্ফোরণ তত্ত্ব অর্থাৎ প্রথম ইরা শুরু। এবং এটি সম্ভবতঃ আয়াত ৪১ঃ৯ এর প্রথম সময়কালের পারম্ভিক অবস্থা।

৪. ৪১:১১ আয়াতের দিকে লক্ষ্য করুন,অতঃপর অব্যয়টি দ্বারা আয়াতটি ২১:৩০ এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ বিস্ফোরনের পরবর্তী পক্রিয়ায় তিঁনি আকাশকে সাজিয়েছেন যখন উহা ছিল ধূঁয়া। এটি ছায়াপথ সমুহ সৃষ্টির ধাপ।

৫. ৪১:১২ আয়াতটিও ৪১:৯ এর সাথেই সংযুক্ত। কারণ এটি একই ঘটনার ভিন্ন বর্ণনা। তাহলে দেখা যাচ্ছে ১ম পর্যায়কালে বিস্ফোরণ দিয়ে মহাবিশ্বের যাত্রা শুরু,এবং ছায়াপথ সমুহ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু; দ্বিতীয় পর্যায় কালে ছায়াপথ সমুহ সৃষ্টির পূর্ণাঙ্গতা দান এবং যুগপৎভাবে পৃথিবী সৃষ্টি করণ। সম্ভবত এই সময়কালটি বিস্ফোরণ থেকে ৫০০ শত কোটি বছরের মধ্যেই ছিল,কারণ বিজ্ঞান নানা পরীক্ষা নীরিক্ষায় বিজ্ঞান সূর্যের জন্ম বিস্ফোরণ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি বছর পরের ঘটনা বলে স্থির করেছে। পরবর্তী চার পর্যায়ে মহাবিশ্বের সমগ্র সৃষ্টিকে সুস্থিত করণ এবং পৃথিবীকে আবাস যোগ্যতা দান। এই ছয় পর্যায় কালের আলোচনা শেসে আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে স্বকৃতজ্ঞ চিত্তে ক্ষমা প্রর্থনা করছি অনিচ্ছকৃত ত্রুটির জণ্য যদি হয়ে থাকে কারণ এই পর্যালোচনা সম্পূর্ণই সংগৃহিত আয়াতের তরজমা ও দয়াময় প্রদত্ত নগন্য অনুভূতি থেকে। আমার সীমিত জ্ঞানের গণ্ডি থেকে এতবড় স্পর্ধা না জানি কোন ভুলের দিকে নিয়ে যায়? দয়াময় যেন এই মহা পাতক হওয়া থেকে রক্ষা করেন! আমরা মহাবিশ্বের সৃষ্টি তত্ত্বে বৈজ্ঞানিক মতামতের কি কি ধারাবাহিকতা দেখতে পাই,

১.হাইড্রনিক ইরাতে বিগ ব্যাঙের মাধ্যামে অতি ঘন ও অতি উত্তপ্ত ভ্রূণ ভ্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি হয়;এ সময় মহাবিশ্বের তাপমাত্রাছিল ১০৩২ কেলভিন। আর ঘনত্ব ছিল ৩ x ১০৯৩ গ্রাম/ সিসি । বিস্ফোরণের সময়টি ছিল ১০-৪৩ সেকেন্ড এবং তা অতি দ্রুত সম্প্রারিত হতে শুরু করে ফলে খুব দ্রুত তাপের বিকিরণ ঘটে। একটা বিষ্ময়কর সংক্ষিপ্ত সময় অর্থাৎ ১০-৩২ সেকেন্ড সময়ে তাপমাত্রা ও ঘণত্ব কমে যথাক্রমে ১০১২ কেলভিন ও ১০১৪ গ্রাম/সিসি তে দাঁড়ায়। উপরে বর্ণিত হিসেবে যে আদি ঘনত্ব দেখানো হয়েছে তা আপাত দৃষ্টিতে অপ্রাসঙ্গিক;কারণ বিজ্ঞান বলছে শূন্য থেকে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। আর যদি বলা হয় অসীম শক্তি-ভর ঘণায়নের মাধ্যামে প্রাপ্ত প্রায় শূন্য অবস্থা থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল,তবে অবশ্যই একজন শক্তির যোগানদাতাকে এনে দাঁড় করাতে হয়। তাহলেতো কোরআনের সাথে আর কোন বিরোধই থাকেনা।

২. দ্বিতীয় পর্যায়কাল ল্যাপটনিক ইরার ব্যাপ্তিকাল আমাদের হিসাবে অতি ক্ষুদ্র কাল যা ১০-৪ থেকে দশম সেকেন্ড পর্যন্ত। এই পর্যায়ে তাপমাত্রা ১০১২ থেকে নেমে ১০১০ কেলভিন হয় এবং ঘনত্ব হ্রাস পেয়ে ১০৪ গ্রাম/সিসি হয়। এই সময় ক্ষুদে মহাবিশ্বে পজিট্রনের আবির্ভাব দেখা দেয়।

৩. তৃতীয় পর্যায়কাল বা রেডিয়েটিভ ইরার ব্যাপ্তি কাল ছিল ১১তম সেকেন্ড থেকে ১০ লক্ষ বছর পর্যন্ত। এ সময়ে বিকিরণ শক্তি হতে পদার্থ আর পদার্থ থেকে বিকিরণ যুগপৎ ঘটতে ছিল। এ পর্যায়ে হাইড্রোজেন পরমানু সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে প্রায় সমুদয় শক্তি পদার্থে রূপান্তরিত হয় এবং যাকিছু অবশিষ্ট থাকে তা বিকিরণ হিসাবে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

৪.তার পরবর্তীতে শুরু হয় স্টেলার ইরা। এর ব্যপ্তি কাল ১০লক্ষ বছরের পর হতে অদ্যাবদি পর্যন্ত। দ্রুত সম্প্রসারনের কারণে বর্তমানে মহাবিশ্বের গড় ঘণত্ব ১০-২৮ গ্রাম/সি সি তে এসে দাঁড়ায়। বর্তমান গড় তাপমাত্রা ২.৭ কেলভিন। এই ইরার শুরু থেকেই ছায়াপথ সমুহ তৈরী শুরু হয়। এই ২.৭ কেলভিন আরেকটি বিষ্ময়কর জটীলতা। বহু যুগের পরিক্রমাও কিন্তু এই তাপমাত্রা কমছেনা। মহাবিশ্ব প্রতি নিয়তো মহা গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে ফলে বিশ্ব তার বস্তুঘনত্ব হারাচ্ছে ফলে ধারনকৃত তাপের পরিমান কমছে, যার ফলে প্রতি নিয়ত তাপমাত্রা কমে যাওয়ারই কথা, কিন্তু তা হচ্ছেনা বরং উল্লিখিত তাপমাত্রাটি যেন পরিকল্পিতভাবেই সংরক্ষিত হচ্ছে কোন এক অজানা প্রভাবে। বিজ্ঞান আরো ধারনা করছে যে রেডিয়েটিভ ইরাতে এসে মহাবিশ্বের বয়স যখন এক লক্ষ পেড়িয়ে গেল তখন উত্তপ্ত বস্তুপুঞ্জ ও বিকিরণ ছিল সমান সমান ফলে চারিদিকে ছিল বিকিরিত আলোর বন্যা। তাপমাত্রা তখনো প্রায় ১০ হাজার কেলভিন। তখন আলোর ঘনত্ব ছিল পদার্থের ঘনত্বের চেয়েও বেশী। সম্প্রসারণের কারণে আলোকিত বস্তুগুলোর পরস্পর দূরে সড়ে যেতে থাকায় আলোর বন্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে লাগলো। ধীরে ধীরে মহাবিশ্ব নিকশকালো অন্ধকারে ডুবে গেল।

মহাবিশ্বে এত আলোকবর্তীকা থাকা সত্যেও মহাশূন্য একেবারেই ঘটঘুটে অন্ধকারে নিমজ্জিত। আর সেই হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা মহাকালের পরিসরে বিশ্ব স্রষ্টার এক আশীর্বাদ হয়ে পশ্চাতপিঠ বিকিরণ বা Background Radition হিসাবে ২.৭ কেলভিন তাপমাত্রায় মহাবিশ্বের সর্বত্র বিরাজ করছে। আজকের বিজ্ঞান অনুভূতি দিয়ে স্রষ্টাকে খুঁজে পেয়েছে কিন্তু দু’চোখে দেখতে পাচ্ছেনা কোথাও; তাই হতাশায় ভূগছে। বিজ্ঞান উৎকর্ষতার দারপ্রান্তে এসে দোদুল্যমান হয়ে পড়েছে,বলছে বিগব্যাঙের মত অতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে নিছক অনুমান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়না। হয়ত এ ব্যাখ্যার জন্য আরো উন্নত জ্ঞানের অপেক্ষায় পথচেয়ে বসে থাকতে হবে পৃথিবীবাসীকে। হয়তোবা সে জন্যেই বিজ্ঞান আজ মহাশূণ্যের পথে প্রান্তরে কোন এক অতিন্দ্রীয় মহশক্তিকে অহর্নিশী খুঁজে বেড়াচ্ছে তাইতো মহান আল্লাহ্ পবিত্র কোরআনে সূরা আত-তুরে বলছেন,

ﺃَﻡْ ﺧُﻠِﻘُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺷَﻲْﺀٍ ﺃَﻡْ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘُﻮﻥَ
৫২:৩৫‘তাহারা কি কোন স্রষ্টা ব্যতিত সৃষ্টি হইয়াছে অথবা নিজেরাই নিজদিগকে সৃজন করিয়াছে?

ﺃَﻡْ ﺧَﻠَﻘُﻮﺍ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻞ ﻟَّﺎ ﻳُﻮﻗِﻨُﻮﻥَ
৫২:৩৬ না,তাহারা এই গগনমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছে?

ﺃَﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺮَﻭْﺍ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﻬُﻢ ﻣِّﻦَ
ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺇِﻥ ﻧَّﺸَﺄْ ﻧَﺨْﺴِﻒْ ﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺃَﻭْ
ﻧُﺴْﻘِﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻛِﺴَﻔًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀ ﺇِﻥَّ ﻓِﻲ ﺫَﻟِﻚَ ﻟَﺂﻳَﺔً
ﻟِّﻜُﻞِّ ﻋَﺒْﺪٍ ﻣُّﻨِﻴﺐٍ
৩৪:৯‘উহারা কি উহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে,আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা আছে তাহার প্রতি লক্ষ্য করেনা? আমি ইচ্ছা করিলে তাহাদের সহ ভূমি ধসাইয়া দিতে পারি; আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি দাসের জন্য ইহাতে অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। সূধী পাঠক আজ এটুকুই,মহান আল্লাহ চাইলে অন্যান্ন অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করবো।

সূত্রঃ
১. পবিত্র কোরআন
২.আল কোরআন দ্যা চ্যালেঞ্জ- কাজী জাহান মিয়া
৩,বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান- ডাঃ মরিস বুকাইলি

পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×