আমার বড় ভাই ঢাকা কলেজে পড়ে অনার্স ৪র্থ বর্ষে ইংরেজি বিভাগে। কয়েকদিন আগে তাদের ৩য় বর্ষের রেজাল্ট বের হয়েছে। কিন্তু প্রকাশিত রেজাল্ট সম্পর্কে সে যা জানালো, তা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারি নি। পরবর্তীতে যখন প্রমাণ বের করলো, তখন তো হা হয়ে গেলাম। এও কি সম্ভব???
কি আপনাদের বিশ্বাস হচ্ছে না কি বলছি? ঠিক আছে, কিছু প্রমাণ দেখুন।
১. ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৬১২০৫০ রোলধারী শিক্ষার্থ্রী ২০০৮ সালের ৩য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫১, ৫০, ৫২, ৬২, ৫৫ ও ২০(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)। প্রাপ্ত নম্বরগুলোর ক্রম দেখলেই বোঝা যায় এগুলো কতটা সূক্ষ্মভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নম্বর বন্টন করেছে! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
অথচ, এই শিক্ষার্থীর ২০০৭ সালের ২য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ২০, ১৬, ১১, ৪৬, ৪০, ১৪(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়) ও ২০(৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায়)! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
একই শিক্ষার্থীর ২০০৬ সালের ১ম বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ৩৩, ০৮, ৩১, ৪৭ ও ১৬(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)। বিস্তারিত ফলাফল:
View this link
২. ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৬১২০৫২ রোলধারী শিক্ষার্থ্রী ২০০৮ সালের ৩য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫১, ৫০, ৫১, ৫৬, ৫৪ ও ১৪(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
অথচ, এই শিক্ষার্থীর ২০০৭ সালের ২য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ৪৪, ১৫, ১৫, ৪৩, ৫২, ১১(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়) ও ২০(৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায়)! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
একই শিক্ষার্থীর ২০০৬ সালের ১ম বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ৩৭, ২১, ৩৯, ২৩ ও ১২(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)। বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
৩. এই কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৬১২০০৯ রোলধারী শিক্ষার্থ্রী ২০০৮ সালের ৩য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৫, ১৪(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)। প্রাপ্ত নম্বরগুলোর ক্রম দেখলেই বোঝা যায় এগুলো কতটা সূক্ষ্মভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে নম্বর বন্টন করেছে! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
অথচ, এই শিক্ষার্থীর ২০০৭ সালের ২য় বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ৪১, ১৮, ৪২, ৪৯, ৫১, ১৪(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়) ও ২৮(৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায়)! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
একই শিক্ষার্থীর ২০০৬ সালের ১ম বর্ষের ফলাফল হলো ১০০ নম্বরের মধ্যে যথাক্রমে ৩৭, ২৮, ৩০, ৪২ ও ১০(২৫ নম্বরের টিউটোরিয়াল পরীক্ষায়)! বিস্তারিত ফলাফল:
Click here
এগুলোই যথেষ্ট নয়। এভাবে হয়তো আরো অন্যান্য বিভাগের অনেকেই আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন করেছে। কেননা, তার অনেক বন্ধুরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত, তারাও একই ধরনের দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাই উপরি উক্ত রোল নম্বরসহ বাকি রোল নম্বর যাদের অন্তত পূর্ববর্তী ফলাফল বিপর্যয় আছে, তাদের পরীক্ষার খাতা পূনঃমূল্যায়ন কিংবা পরীক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত নম্বর ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল মিলিয়ে দেখলেই আসল কারসাজিটি ধরা যাবে। তাছাড়া, এসব অসদুপায়বলম্বনকারী শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মূল হোতা ও সহযোগীদের ধরা যাবে। আর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করে দুর্নীতিবাজ ও অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নিকট আবেদন করছি।
নতুবা, এভাবে যদি পড়াশোনা ব্যতিরেকে আর্থিক লেনদেন কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ ভালো ফলাফল অর্জন করে, অদূর ভবিষ্যতে আমাদের অর্জিত সনদপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠা অস্বাভাবিক কিছুই হবে না। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানদের উপর। তাই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, এই ভয়াবহ ব্যাধি অঙ্কুরেই বিনাশ করে আমাদের শিক্ষার প্রকৃত মান রক্ষা করা ও জাতীয় মেধা সংরক্ষণে সচেষ্ট হ্ওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


