ভাবসিলাম লেখা লেখি কইরা দেশ , জাতি উদ্ধার করুম। আসলে কিছুই হয় না। কে সুনে কার কথা? তয় মনের ভিতর কথা রাখতে পারি না, এই একটা রোগ জ্বালায় আমারে।
আমার ব্যাগ আর মোবাইল ছিন্তাই হইল মলম পার্টির হাতে, পরে সেই রাত্রে আবার পার্টী ধরাও পড়লো। পরদিন সকালে ঘটনা চক্রে পুলিশ আমারে খুইজা বাইরও করল। কইল আপস না কইরা মামলায় সাক্ষি হয়ে যান , এদের ছাইরেন না, বিচার না হলে এরা পার পেয়ে যাবে আরও কত বানীচিরন্তনী।
চক্ষের সামনে আমার ব্যাগ, আর তার ভিতরে থাকা আমার অতি কষ্টে কেনা aircraft engineering principle এর একটা কপি, আর নতুন টি শার্ট !! উদ্ধার কইরাও আমারে ব্যাগ দিল না পরদিন , কইল কেস কোর্টে যাবে, আমরা আপনারে ফোন দিব আপনি আইসা নিয়া যাইয়েন।
পিলখানা বিদ্রহ যেমন আমার কাছে আজোও অমীমাংসিত লাগে তেমনি আমার ব্যাগ না ফিরে পাওয়ার কাহিনি টাও। কিসের বিচার কিসের কি আইজ পর্যন্ত আমি এই হারানো জিনিস গুলা পাইলাম না।
ভাই বুনেরা আপনারা যদি কেউ মলম পার্টির হাতে পরেন তাইলে বুঝবেন আমার কষ্ট টা কেমন ছিল। ( আশা করি পরবেন না)
এমন হাজারও উদ্ধার হয়েও হইল না বিচার টাইপ ব্যাপার গুলো আমারে খুব ভাবায়। আমি নিজের মনরে বুঝাই _____________________
 তুই কোন রাজার পুত ? দেখ ইলিয়াস আলি গেল গা আর ফিরা আইল না , তুই তো জানে বাইচা আইছস।
 আরে দেখ পলার সাধ বিচার চায় আবার , পার্টী রে ধরসে এইটা তো টর সাত জন্মের ভাগ্য, তুই তো শেষ পর্যন্ত তোর অনিষ্টকারি দের চেহারা টা দেখতে পারলি, দেখ সাগর ভাই , আর রুনি আপুর আততায়ীরা আজোও ধরা পরে নি।
 বেশি লাফাইস না , মজা লইস না পুলিশ গো লগে, দেখছস না লিমনের কি হাল?
 মাঝ রাতে খুন হয় ডাক্তার, তুই তো বাইচা আছস।
জি আমি বেঁচে আছি, হয়তো থাকব, তবে আমার একটু জানতে ইচ্ছা করে কত বড় ক্ষমতাবান হলে আমি নিজে ভয়হীন একটা দিন একটা রাত পার কোর্টে পারব?
আমি বেঁচে আছি, হয়তো থাকব কোনও কথা না বলে। হরতালে আমার গাড়ি ভাঙবে আমি চেয়ে থাকব, কোর্টে গেলে আমার বিচার হবে না, আমারে ভোটে যোগ্য লোক নির্বাচিত হবে না।
হয়তো আমার মাথায় লাল সবুজের পতাকাটা দিয়ে কেউ জুতা মুছে গেলেও আমাকে নির্বাক চেয়ে থাকতে হবে।