আজ আকাশের দিকে তাঁকিয়ে মনে হলো, চাঁদের দেশে রুপোলী আলোর যে বাঁধটি আছে, সেটি ভেঙে চৌচির হয়ে গ্যাছে! আর সেই কারণে চাঁদের দেশের সবটুকু মায়াবী আলো আজ এই পৃথিবীতে এসে আছড়ে পড়েছে। আজ সেই পাগল করা 'চান্নিপসর' রাত। অপার রহস্যে পূর্ণ সেই দুধের চাদরে পৃথিবীর সকল মানুষ কে আজ মঙলময় সৃষ্টিকর্তা মুড়ে দিয়েছেন ভালোবেসে।
আমাকেও কি? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি। এমন রাত এলে শুভ্র বলতো, 'আচ্ছা পরী, চাঁদের জায়গায় তোমাকে বসিয়ে দিলেও তো হয়। তখন চাঁদের এর চাইতে বেশি কোমল হতো বলে আমার বিশ্বাস'। আহারে পাগল! শুভ্র তুমি বড্ড অসময়ে চলে গেলে। আমি যে বড় একা, বড় একা। আমার শরীর ছুঁয়ে জলের ফোঁটা মাটিতে গড়িয়ে পরে।
আকাশের দিকে তাঁকালে মুহুর্তে বিভ্রম সৃষ্টি হয়ে মনে হচ্ছে, মস্ত থালার মত চাঁদটি আসলে একটি 'রুপোলী আলোর দীঘি'! সেই মস্ত দীঘি থেকে তরল রুপো উপচে উঠে ছড়িয়ে পড়ছে সমস্ত মাঠ-ঘাট, প্রান্তর জুড়ে।
আহারে চান্নিপসর রাত। হাত ভর্তি হয়ে আসিস ঠিকই কিন্তু ধরতে গেলে কোথায় যে উধাও হয়ে যাস। এভাবে কেউ কাউকে ফাঁকি দেয়? ঠিক আমার শুভ্র'র মত। শুভ্রও যে হাত গলে আলগোছে বেরিয়ে কোথায় যে চলে গ্যালো, ধরতে পারলাম না।
'আমার মনে বেজায় কষ্ট, হো ও ও, আমার মনে বেজায় কষ্ট, সেই কষ্ট হইলো পষ্ট, দুই চোক্ষে ভর করিলো আঁধার'- দূরে কোথাও গান বাঁজছে।
এই অবাক জোছনা জীবনে যদি একটিবার ধরতে পারতাম, মাত্র একটিবার, তবে জীবনটিকে বড় কোমল আলোয় সাজিয়ে নিতাম আমার শুভ্র'কে সাথে নিয়ে। আহারে!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬