মেয়েদের ধর্ষন হওয়ার ক্ষেত্রে একটা কথা খুবই বেশি প্রচলিত যে "খাবার খোলা রাখলে তা দেখে লালা তো ঝরবেই"
এই বাক্যেটি অনেকেই কম বেশি ব্যাবহার করে। কিন্তু কথাটি কি কখনও বিশ্লেষণ করে দেখেছেন
আচ্ছা রাস্তার ডাস্টবিনেও তো অনেক খাবার খোলা থাকে তা দেখে কি আপনার আমার লালা ঝরে? নিশ্চই ঝরে না তাই না কিন্তু রাস্তার কুত্তার(কুকুর) কিন্তু ঠিকই লালা ঝরে। এবং তারাই সেই খাবার খাওয়ার জন্য ডাস্টবিন এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করে এবং সু্যোগ পেলেই সেই খাবার খেয়ে নেয়।
এখানে যে সকল মেয়েরা রাস্তায় বেপারোয়া হয়ে সোজা কথা দেহের ৬০ ভাগ খোলা রেখে রাস্তায় চলাফেরা করে তাদেরকে ডাস্টবিন এর খাবার এবং সেই খাবার খাওয়ার জন্য যারা তাদের পিছনে ঘুরে তাদেরকে কুকুরের সাথে তুলনা করা হইছে।
হ্যা আমি একজন পুরুষ এবং আমার মেয়েদের প্রতি আকর্ষন থাকবেই তাই তো আমরা বিয়ে করি। আমাদের বিয়ে করানোর অন্যতম কারনই হচ্ছে যাতে আমরা ঐসকল কুকুরদের মত আচরণ না করি।
হ্যা এখন অনেকেই বলতে পারেন যে তাহলে অবুঝ শিশু কিংবা ভালো মেয়েরাও তো ধর্ষন হয় এর কারন কি? এর একটাই কারন আমরা ধর্ম থেকে দিন এর পর দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের লজ্বা স্থান, এবং ইন্দ্রিগুলো কন্ট্রোল করতে ব্যাহত হচ্ছি। সোজা কথা বলতে গেলে আমাদের নষ্ট হওয়ার পিছে অন্যতম কারন হচ্ছে ইন্টারনেট। আমাদের ধর্মে যে বিষয়গুলো না করার জন্য বলা হচ্ছে সেগুলো বেশি করছি। ধর্মের প্রতি অপারগতা।
আমি নির্বাক বিশ্বাস করি আমরা যদি ধর্মকে সম্পূর্ণভাবে পালন করি এবং এর বিধি-নিষেধগুলো মেনে চলি তবে এই সমাজে আর একটাও এই ধরনের নিকৃষ্টতম কাজ সংঘটিত হবে না।
জানিনা আমি পুরো বিষয়টিকে গুছিয়ে লিখতে পেরেছি না পারিনি তবে চেষ্টা করেছি। আমার এই লেখা হয়তো অনেকের চিন্তা ধারনা পালটে দিবে হয়তো আবার নাও পাল্টাতে পারে।
কিন্তু আমার স্থান থেকে আমি ধর্ষনের বিপক্ষে। হোক সে মেয়ের দোষ। আমাদের ধর্ম আমাদেরকে কখনও এই শিক্ষা দেয় নি। আর প্রত্যেক নারী-পুরুষ এর উচিৎ ধর্মের বাহিরে না যাওয়া। হ্যা আমিও হয়তো ধর্মের পুরোপুরি আদেশ-নিষেধ মানতে পারি না তবে চেষ্টা তো করি। হয়তো এই চেষ্টাই একসময় আমাকে পুরোপুরিভাবে ভালো করে দেবে।
কোথাও কিছু ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭