somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ৪র্থ পর্ব

০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ১ম পর্ব

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ২য় পর্ব

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ৩য় পর্ব

................................................................
হাঁটতে হাঁটতে ওরা একেবারে শহরের এক প্রান্তে পৌঁছে গেল। পাহাড়ের প্রান্তে বিশাল একটি প্রাসাদ (Palacio Real de Madrid) ও তার পাশেই একটি ক্যাথিড্রাল। ক্যাথিড্রালটি একদমই নতুন তৈরী হয়েছে। ঠিক পাশেই শুরু হয়েছে খাড়া ঢাল। ওখানে পৌছে নিও বুঝতে পারল কেনো মাদ্রিদ এত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো! উঁচু পাহাড়ের উপর থেকে বহুদুর পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে! এখান থেকে শত্রুর অস্তিত্ব একদিন আগেই টের পাওয়ার কথা!

পাহাড়ের প্রান্তে আমরা। দূরে দিগন্ত!


Palacio Real de Madrid স্পেনের রাজার সরকারী বাসা, কিন্তু এটি কেবল রাজকীয় উৎসবের সময়ই ব্যবহার করা হয়। কিং জুয়ান কার্লোস এবং রাজকীয় পরিবার এই প্রাসাদে বসবাস করেন না, ব্যস্ত এলাকা বলেই হয়ত। প্রাসাদের ছবি দেখে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে যে রাজা এখন বাসায় নাই!।দেখেনতো আপনারা ধরতে পারেন কিনা?


ঠিক উল্টাপাশেই ক্যাথিড্রাল
Santa María la Real de La Almudena Cathedral


ক্যাথিড্রালের পাশে রেস্ট নেয়ার ফাঁকে শুরু হলো ইসাবেলার লেকচার। প্রাসাদ আর ক্যাথিড্রালের ইতিহাস। মুসলিম সভ্যতার ইতিহাস, তার পতন ও খ্রীস্টীয়দের পত্তনের কাহিনী। রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিনান্ডের X(( কাহিনী। মেজাজ গরম হলেও শুনে গেলো সে। কাহিনীর চেয়ে কাহিনীর চরিত্রগুলোরX( জন্য বেশী। তাদের প্রতারনা ও এপ্রিল ফুলের ইতিহাসের জন্য। নিও অবাক হয়ে ভাবে যে কিভাবে আমরা এপ্রিল ফুলের ইতিহাস জানার পরও ফি বছর তা কত নির্লজ্জভাবে পালন করে যাই!

যাই হোক মুল চত্বরে প্রচুর লোকের সমাগম। আজকে আবহাওয়াটা খুবই চমৎকার।সামার হওয়ায় ভালো রোদ উঠেছে, কিন্তু সীলেভেল হতে বেশ উচুঁতে হওয়ায় রোদের ঝাঁজ খুব একটা নেই।বলা যায় বেশ মিষ্টি রোদ।
আমাদের ঠিক পাশেই আরেকটি গ্রুপ কিন্তু তাদের মধ্যে যুবকদের মধ্যে মনে হয় আমাদের গ্রুপের প্রতিই মনোযোগ বেশী! আমাদের মেয়েরা বেশ আগ্রহী হলেও বেশ ভাব বজায় রাখল!

রাস্তা ক্রস করে ওরা বিশাল এক চত্বর কাম বাগানে (Palacio De Oriente) এসে উপস্হিত হলো। চত্বরের একপাশের রাস্তায় এক সারি স্টাচ্যু। মেয়েগুলোর অনুরোধে এখানে ওদের কয়েকটা ছবি তুলে দিলো নিও। স্টাচ্যুগুলোর ব্রীফিং শেষ করে ইসাবেলা ঘোষনা করল যে ট্যুর আজকের মত এখানেই শেষ। কারও কোনো প্রশ্ন থাকলে জিগ্গেশ করতে পারে। অন্যথায় খুদাপেজ। এখানকার ভালো মিউজিয়ামগুলো সম্পর্কে নিও কিছু প্রশ্ন করল। এখানে সবচেয়ে বিখ্যাত মিউজিয়াম হচ্ছে Prado Museum (Museo del Prado) এবং Thyssen-Bornemisza Museum (Museo Thyssen-Bornemisza)। এর মধ্যে Thyssen-Bornemisza Museum আসলে ব্যক্তিগত কালেকশন ও নিও'র কাছে পরবর্তীতে এই মিউজিয়ামটাই বেশী ভালো লেগেছিলো। সুন্দরীরা ইসাবেলাকে প্রশ্ন করল ধারে কাছে কোথাও কোনো ইয়োথ গেদারিং আছে কিনা!:P নাইট পার্টির জন্য কোথায় যাওয়া যায়? নিও'র এই ভেবে হাসি পেলো যে, ইংরেজি ভাষায় এত ফাকঁফোকর যে অনেক কিছু ইনডাইরেক্টলি জিগ্গেশ করা বা বলা যায়! এতে ভদ্রতাও রক্ষা হয় আবার প্রাইভেসিও রক্ষা পায়। যাকে বলে ইউফেমিজম। বাংলায় এই সুবিধাটা কম।

এবার বিদায়ের পালা। নিও'র সময় কম হওয়ায় সে এখনি রওয়ানা দিবে নেক্স্ট মাদ্রিদ এট্রাকশনের দিকে।মেয়েগুলো রওয়ানা দিলো একটি পাবের দিকে। নিও ইচ্ছে করলে পাবে ওদের সাথে জয়েন করতে পারে, কিন্তু বিদেশের এই ড্রিংক সংস্কৃতির সাথে ও এখনো নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে নাই। কেউ হয়ত ব্যাকডেটেড বলে গালি দিতে পারে, কিন্তু ওর পক্ষে এখনো ড্রিংক করা সম্ভব হয় নাই!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×