বাজরাঙ্গি ভাইজান আর বাহুবালি দ্য বিগিনিং এই দুই সিনেমা বিশ্বের কোটি মানুষের মত আমার হৃদয়কে পুলোকিত করে ছেড়েছে। একদিকে বাজরাঙ্গির মানবিক আবেদন আর চমৎকার গল্প অবলম্বনে অসাধারণ রূপায়নের ধামাকা অন্যদিকে মিথেডলজি আর ফিকশনের নিপুণ কারিশমা বারবার টেনে নিয়ে গেছে ছবিগুলো পুনরায় দেখতে।
প্রথমেই ধন্যবাদ দিবো সাল্লু আর কবির খানকে। দুটো ভিন্ন ধাঁচের চলচ্চিত্র দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে দুইজনের রসায়নটাও। এক থা টাইগারের পরে ২০১৫ সালের বড় ধামাকা বাজরাঙ্গি ভাইজান। এ নিয়ে টানা চারবার দেখেছি কিন্তু ছবি দেখার আগ্রহ কমছে না বরং বেড়েই চলছে জ্যামিতিক হারে। বাচ্চাটার অভিনয় ছিল লাজবাব। সাল্লু ভাই তার তথাকথিত একঘেয়ামি চরিত্র (শোল্ডার ম্যান) থেকে বেরিয়ে এসে সরলতার নতুন এক অধ্যায় রচায়ন করেছেন যা এককথায় অসাধারণ আর প্রশংসার যোগ্য। সিনেমার সবগুলো চরিত্র খুবই নিখুতভাবে ফুঁটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক। সেজন্য তিনি বাহবা পাওয়ার যোগ্য। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িকতা ঝেড়ে ফেলে পরিচালক এক অনন্য ভাতৃত্ববোধকে কি সুন্দরভাবে চলচিত্রায়ন করেছেন। বাচ্চা বোবা মেয়ের মধুর হাসির সাথে সাল্লুর সরলতার রসায়ন অবাক করেছে আমাকে। এমন চলচ্চিত্র আরো চাই সাল্লুর কাছে।
বাহুবালি নিয়ে বলার কিছু নাই। এক কথায় অস্থির। প্রভাসের অভিনয় আগে থেকেই পাগল করে দেয় আমায়। রেবেলের পরে তার এই সিনেমা তাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে তাকে। রামচরণের মাগাধিরার পর প্রভাসের বাহুবালিও মন কেড়েছে কোটি দর্শকের। ২০১৬ সালে এই ছবির সিকুয়্যাল দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি। কি হবে পরের পার্টে?
আমাদের দেশে হবে এই ছবি কবে? যদিও বাজেটের বিষয় থাকে। তবুও আশা রাখতেই পারি। কারণ এই দেশ থেকেই বিশ্ব দরবারে ভাল ভাল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছে দেশের পরিচালকরা। আশা করবো এমন ছবি আমাদের দেশেও নির্মাণ হবে। প্রত্যেক সিনেমা হলে সকল শ্রেণীর মানুষের উপচে পড়া ভীড় হবে। বদলে যাবে দেশের সিনেমাজগৎ। এই আশা আমরা বাঁধতেই পারি ....