বিডিআর বিদ্রোহ যখন পিলখানায় শুরু হয় তখন বিএনপি জামাত নেতৃবৃন্দের টিকিটি খুজে পাওয়া যায়নি মিডিয়া বা অন্য কোথায়ও। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এর ফলপ্রাপ্তি আশা করছিলেন। ভেবেছিলেন এইতো, এইতো এক্ষুনি সেনা অফিসাররা রওয়ানা করবে যমুনা ভবনের দইকে হত্যা করবে শেখ হাসিনা কে। খালেদা জিয়া ও তার চোরা পুত্ড় তারেক স্বপ্নে বিভোর, এতো চুরি, অত্যাচার, খুন, রাহাজানি দুর্নিতি করেও আবারও ক্ষমতায় যাবেন। ভেবেছেন আওয়ামিলীগের শীর্ষনেতৃবৃন্দকে আবারও হত্যা করে আজীবনের জন্য ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবেন।
কিন্তউ বিধি বাম, শেখ হাসিনার সাহসিকতা, তার বুদ্ধিমত্তায়, এবং কৌশলের কাছে বিডিআর বিদ্রোহকে যখন দমন করা হলো তখনই বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ গাড়িতে করে ক্যান্টন মেন্ট ত্যাগ করেন চোরের মত। ৭ দিন লুকিয়ে ছিলেন। মির্জা আজম, নানকরা যে সাহসিকতা নিয়ে সেদিন পিল খানায় প্রবেশ করেছে তা উদাহরন হয়ে থাকবে অবশ্যই।
পরিস্থিতি অনুকুল বুঝে গুহা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ধীরে ধীরে মুখ খুলতে থাকেন এবং সেই পুরোন কৌশলে গোয়েবলসীয় কায়দায় প্রলাপ বকছেন। সাথে চেলা চামুন্ডা গুলাও।
কারা সেই নিহত সেনা অফিসার? বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে তাদের আওয়ামীলিগের তকমা লাগিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো ডেপুটেশনে বিডিআরে। এই অফিসারদের পারিবারিক ইতিহাস দেখলে পাওয়া যায় তাদের পরিবারে অনেকে আওয়ামিলীগের রাজনীতি সাথে জড়িত, কেউ বা জড়িত ছিলেন। অনেকেই চৌকষ মুক্তিযোদ্ধা অফিসার ছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা নিজামির সরকার তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ আনতে পারেন নাই বলে চাকুরি থেকে বিতাড়িত করতে পারেন নি।
শেখ হাসিনার এরুপ সাহসী মোকাবেলার পর তিনি ক্যান্টনমেন্টে সেনা অফিসারদের সাথে বৈঠকে গেলেন ২/৩দিন পরই। এখানেও তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি জানি না অন্য কেউ হলে তো সেনা অফিসারের মারা যাওয়ার পর এত বড় রিস্ক নিতেন কিনা? তিনি ওখানে কুট কৌশলের ক্ষোভের মুখে পড়েন এবং খুবই সুন্দর ভাবে তাদের ক্ষোভ মোকাবিলা করেন। এটা পেরেছেন শেখ হাসিনা বলেই।
এই সাহসিকতা কোন কুটনি বুড়ির কাছ থেকে আমরা আশা করি হয়তো, কিন্তু নিশ্চিত তিনি তখন জিটিভি আর স্টার প্লাসে হিন্দি সিরিয়ালে শাড়ি, ফ্যাশন, আসবাব দেখে স্বভাব সুলভ পুলকিত হতেন।