ফ্রেন্ডলি ফ্রেন্ডলি খেলা অতঃপর......... পর্ব-১
কলেজে আমি কখনোই কমলা সুন্দরীর সাথে কথা বলতাম না।কলেজিয়েটের সবচে ফাউল পোলাদের একজন ছিলাম তাই মেয়েদের পিছে ঘুরতেসি দেখলে আমার ইজ্জতের ফালুদা হয়ে যাইতো।
চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাঠের দেয়ালে বসে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।হঠাৎ দেখি ফার্মের মুরগী এক দঙ্গল মেয়ের সাথে হাসাহাসি করতে করতে যাচ্ছে।৫টা মেয়ের সাথে ১টা ছেলে!!!!!!!!
এই মওকা কামে লাগায়ে ওর নাম দিসিলাম "সিক্সটি-ফরটি"।
দূর থেকে কথা শুনে বুঝলাম হাফ-লেডিস বার্ড ডে উপলক্ষে কমলা সুন্দরী এবং তার সখীদের কলেজের পাশে আক্কেল আলীর ফাসফুডের দোকানে খাওয়াইবো।আমি বুদাইটার হাতে আমার জানরে এতোক্ষণে একলা ছাইড়া দেয়ার পোলা না।আমরা ৭/৮ বন্ধু মিলে আক্কেল আলীর দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। দোকানে ডুকেই কমলা সুন্দরীর সাথে একটু হাই হ্যালো করলাম।বসলাম ওদের এক টেবিল পরে।বসে বসে গার্ল টক(সিক্সটি-ফরটি কে মেয়ে হিসেবে হিসেব করসি) গিলতেসিলাম।
ওদের খুনসুটির এক পর্যায়ে দেখি কমলা সুন্দরী বুদাইটারে ভাই কইয়া ডাকতাসে।সিক্সটি ফরটি খুশী হয়ে বললো ভাই বোনের হাত ধরতে পারে।
সুন্দরী মজা করে নাকি আমারে কষ্ট দেয়ার লাইগ্যা ওর হাত ধরলো সেটা আমি আজো বুঝতে পারি নাই।
আমার মাথায় তখন রক্ত উঠে গেসে
।যায় হোক আমার বুদ্ধিজীবি বন্ধুদের কল্যাণে ওখানে কোনো ঝামেলা না করেই বের হয়ে আসতে পারসিলাম।
পরের দিন প্রাইভেট শেষে বের হয়ে যাবো এমন সময় সুন্দরী ডাক দিলো।আমি হেসে সুন্দরীকে বললাম, "শুভকামনা"।
চোখ কপালে তুলে সুন্দরী বললো কেনো?
---সবাই বলাবলি করছিলো তোমার নাকি রাশেদের সাথে রিলেসন হয়েছে।(এটা আমি নিজে বানায়ে কইসিলাম)
----সে অবাক হয়ে বললো, "আরে না, কি যে বলো!!ও আমার ভাইয়ের মতো"
---আমি অট্টহাসি দিয়ে বললাম, রাশেদ তোমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রপোস করবে শিওর থাকো।
ওরে বাপরে এরপর যে ঝাড়িটা খাইসিলাম এটা আমার সারাজীবন মনে থাকবে।
----ছিঃ ছিঃ তুমি এতো মিন।আমাদের এতো সুন্দর সম্পর্ক নিয়ে এটো বাজে কথা বলতে পারলে।
----আমি তখন পুরা বেকুব হয়ে গেসি:।স্কুল লাইফে কোনো পোলা আমার দিকে চোখ তুইল্যা কথা কইতে পারে নাই।আর আজকে স্যারের বাসার বাইরে এক গাদা পোলাপানের সামনে মাইয়া মাইনসের ঝাড়ি খাইলাম।সত্যি বলতে কি সুন্দরীর ঝাড়ি খাওয়ার পরের দিনটা ছিলো আমার জন্য সবচে দূর্বিসহ কারণ সব পোলাপান চান্সে পেয়ে সমবেদনার নামে আমাকে ইচ্ছামতো পিনিক দিসে।
আমার সব রাগ গিয়ে পড়সিলো রাশেদের উপর।চান্সে পাইলে ওর খবর আছে।
নিয়তির লিখন কি আর খন্ডানো যায়!!!!!!!!!!!!
আমার কিসু করা লাগে নাই কারণ "ভাই-বোন" তিন দিনের মাথায় বেকুবটা লাল গুলাব দিয়া প্রপোস কইরা লাইসে।
সে এক বিশাল মজার ঘটনা।পুরা কলেজে সারা পড়ে গেসিলো।আমরা নষ্টছেলের দল ক্লাস ভাঙ দিয়ে কলেজের গোল চত্বরে বইসা আড্ডা দিতাম।দেখি ক্লাস শেষে সবাই বের হইসে মাত্র।ঠিক তখনই রাশেদ অনেকগুলো গুলাব নিয়ে হাজির।সুন্দরীকে ডাকলো।আমি ততক্ষণে কাহিনী যা বুঝার বুঝে গেসি।সুন্দরী ওর সামনে যাওয়ার সাথে সাথে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পুরা সিনেমা স্টাইলে হাটুঁ গেড়ে প্রপোস!!!!!!!রাজি হওয়া তো দূরের কথা কমলা সুন্দরী বেকুটারে কমলার ঝাজঁ বুঝায়ে দিসে।
ছিঃ ছিঃ রাশেদ তুমি এই নোংরা কাজটা করতে পারলে।তোমার ব্যাপারে ১জন আমাকে সাবধান করেছিলো ওকে আমি পাত্তা দেয়নি।কিন্তু তুমি এভাবে আমার বিশ্বাস ভাঙতে পারলে?
আমি রাশেদের চে অদ্ভুদ কান্ড কইরা বইসি।নাচতে নাচতে সুন্দরী কাছে গিয়ে বললাম, "হা হা হা বলেছিলাম না ভাই,বোনকে অতি শীঘ্রই বিবাহ করিতে চাইবে"।
কলেজের যারা সেখানে ছিল,সবাই অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।
(চলবে)
ফ্রেন্ডলি ফ্রেন্ডলি খেলা অতঃপর......... -----শেষ পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১