- ঠিক আছে ঠিক আছে, আপনি আপনার ঘটনাটা শুরু করুন।
- ধন্যবাদ রাসেল ভাই। আসলে ঘটনাটা বলার আগে আমি যে বাড়িতে তখন থাকতাম সেটার বর্ণনা দিয়ে দিতে চাই। ঐ বাড়িটা খুবই সুনসান টাইপের বাড়ি ছিল। দোতলা টাইপের একটা বাড়ি। এবং আমি যেই রুমটাতে থাকতাম সেখানে একটা টেবিলও ছিল।
- টেবিলটা কি বাড়ির ভিতরেই ছিল?
- জি রাসেল ভাই, টেবিলটা বাড়ির ভেতরেই ছিল এবং পাশে একটা বসার জন্য...লাইক; চেয়ার টাইপের একটা ইয়ে ছিল। তো ঐদিন আমি ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসার দিকে আসছিলাম। তখন রাত প্রায় ৮ টা বাজে। আমি যখন বাড়ির কাছে আসলাম, জাস্ট বাড়িতে ঢুকবো। তখনই আমার হঠাত কেমন জানি লাগলো। আমি আস্তে আস্তে বাড়িতে ঢুকলাম। দেখলাম আব্বা বসে বসে টিভিতে খবর দেখছে, আম্মাও বসে আছে। তো আমি আমার রুমে ঢুকলাম জাস্ট।
- টেবিলটা এগজেক্টলি যেই রুমে, ঐ রুমেই...
- জি রাসেল ভাই, ঠিক ঐ রুমেই। আমি যখন ঐ রুমে ঢুকলাম তখন আমি খুবই টায়ার্ড ছিলাম। খুব পিপাসা লাগছিল। আমি তখন নরমালিই পানি খেতে চাইলাম, যেখান থেকে আমি রেগুলার পানি খাই। তো, আমি পানি খাওয়ার জন্যে যখন টেবিলের কাছে গিয়ে জগটা শুধু তুলেছি। রাসেল ভাই, ঘটনাটা তখনই ঘটলো। মানে তখন আমার সাথে যেটা ঘটলো রাসেল ভাই, সেটা দেখার জন্যে আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। আপনি কল্পনাও করতে পারবেননা কী ঘটলো। আমি জগ থেকে গ্লাসে পানি পানি ঢালতে গিয়ে দেখি জগে পানি নাই!!! রাসেল ভাই, আমি এইটা দেখেই সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। এরপরে কী হয়েছে তা আর আমি জানিনা। আজকে ঘটনাটার দুই বছর হয়ে গেছে, কিন্তু আমি এখনো বুঝে উঠতে পারিনাই যে এইটা কেমনে হলো।
- আপনি কি স্পষ্ট দেখেছিলেন যে, ঐ জগে পানি ছিলনা?
- ভাই আমি একেবারে নিজের চোখে দেখছি! এবং আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, ঐ ঘটনার পর থেকে আমি আর ওই জগটা ইউজ করিনা। এখন আমি বোতল দিয়ে পানি খাই।
- ধন্যবাদ আপনাকে। ঘটনাটা আসলেই অনেক ভয়ঙ্কর ছিল। ইভেন, আমি নিজেও অলরেডি মুতে স্টুডিও ভিজাই ফেলসি। আপনি নিশ্চয়ই একটা গন্ধ পাচ্ছেন। এবং আমাদের লিসেনার্সদের কাছ থেকে অসংখ্য এসএমএস আসছে। তার মধ্যে কয়েকটা আমি এখন পড়বো। বরিশাল থেকে মাসুম লিখেছেন, “ঘটনাটা শুনে আমি ভয়ে পানি খেতে পারছিনা। রাসেল ভাই, এই ঘটনাটা আমার লাইফে সবচেয়ে ভয়ের।” রংপুর থেকে কল্লোল লিখেছেন, “ভাই এই ঘটনাটা শুনে ভয়ে আমার এক কাজিন হার্ট ফেইল করে হসপিটালে গেছে।” ধানমন্ডি থেকে শারমিন লিখেছেন,.....................