ফেবু এবং কিছু সাইট থেকে সংগ্রহকৃত পোষ্ট ,যাহা পড়িলে হ্নদয় আন্দোলিত হইবে বলিয়া অনেকে মতামত প্রকাশ করিয়াছেন ।
১।“প্রিয় সাকিব আল হাসান,
কোথা থেকে যে শুরু করব, বুঝতে পারছি না।ঠিক কবে যে তোমার প্রেমে পড়েছি, আজ আর মনে করতে পারি না।যা-ই হোক, একটা ছোট্ট ঘটনা বলি, আমার মা প্রায়ই আমাকে বিয়ে করতে বলেন আর তার ঘটকালির ঝোলায় সবসময়ই কোনো না কোনো তথাকথিত সুপাত্র থাকে।তো কিছুদিন আগে এক ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের কথাবললে আমি মাকে তোমার কথা বলি।আর বলি, তোমার চেনাজানা কারও সঙ্গে মায়ের পরিচয় আছে কি না।
আমার মা কথাটা হেসে উড়িয়ে দিল।ভাবলো, আমি আমার স্বভাবজাত দুষ্টুমি করছি।কিন্তু আমার মা জানেনা যে আমি কতটা সিরিয়াস তোমার প্রতি।আমার স্বপ্নের রাজকুমার প্রিয় সাকিব আল হাসান।তোমার হাসি, লাজুক চোখ, জয়ের উচ্ছ্বাস, পরাজয়ের গ্লানির যে প্রকাশ, সমস্তই আমাকে চরমভাবে আকর্ষণ করে।আইপিএলের পর দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে যখন গাড়ি ড্রাইভ করে যাচ্ছিলে, আমার শুধু বারবার মনে হচ্ছিল—ইশ্! যদি আমি পাশে থাকতে পারতাম!!
পেপারে যখন তোমাকে নিয়ে কোনো ফিচার বা তোমার ছবি দেখি কিংবা টিভিতে তোমার কোনো খবর শুনি, আমার হূদয়ে তোমার জন্য এক টুকরো মেঘ কেঁদে ওঠে আর বলে, এ বড় অসম ভালোবাসা, অলীক স্বপ্ন।
৭ জুলাইয়ের ‘ছুটির দিনে’ পড়ে সকালবেলায় আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করল, আমি পড়েছি কিনা।আমি বললাম, মাগুরা যাব, গিয়ে নানি ছায়েরা বেগমকে (সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, তোমার নানির নামের সঙ্গে আমার নানির নামের অনেকটা মিল আছে।আমার নানির নাম ছায়া বেগম।হিঃ হিঃ) পটাব।শুনে আমার বন্ধুটি হাসে, কিন্তু আমি জানি, এ আমার জন্য অসম্ভব কিছু নয়।আমি অপেক্ষায় আছি সেই দিনটির, যেদিন তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে আর আমি তোমার সামনে হাঁটুমুড়ে বসে বলব—উইল ইউ ম্যারি মি?
২।স্মৃতির পদচিহ্নের বুকে ফেলে যাওয়া দৃষ্টি রক্তিম হবার পূর্বেই
ভাবতে থাকি পানকৌড়ির রক্তে ঝলসানো একটি রঙিন স্বপ্নের কখা ।
স্রোতময় জলধারা ছুটে চলে অজস্র বিষাদময় দিনগুলি দ্রবীভূত করে!
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিষন্ন সন্ধ্যা সংগীত এর আঁকা সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতুর পথ ধরে !
রাত নামে মেঘ বৃষ্টি আলোর ঝলকানিতে ।
রাত তো নয় যেন অবিনাশী অন্ধকার,
অন্ধকারে তারার ছায়ারেখা ধরে ভেসে বেড়ায় সহস্র বছরের শব্দঝংকার! চোখের ভাজে ধরা পড়ে অগণিত শুন্যতার শব্দদল! সে এক তীব্র ছায়াপুত্তলিকা ঘেরা স্মৃতির ঘোর !
স্রোতের বিপরীতে বয়ে চলা হাওয়া গায়ে মেখে, সমস্ত অন্ধকার মুঠোয় বন্দী করে আমি হারাই নৈঃশব্দ ঘুমে!
আমার চিন্তাজগতে তখন তোমার দুরন্ত পদচারণা যেন মরিশাস পোর্টের মুখর একটি দিন ।
৩।যা কিছু চাই ভুল করে চাই, আর যা চাই তা পাই না ।রবি ঠাকুরের কখাটা বড়ই খাঁটি। চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে যদি এত বড় ব্যবধান থাকে তাহলে অনেক না পাওয়া শূণ্যে মিলিয়ে যায় । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাললাগার মধ্যে ছিল দিবা আপু ।প্রথম দিন দিবা আপু কে দেখে আমার খুব ভাল লাগল । আপুকে জানাতেই হবে । যেই চিন্তা সেই কাজ । গোলচত্বরের কাছাকছি ছোট একটা গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে আপুকে বললাম ‘ভালবাসি’ আপু বলল কাকে ?? ফুলকে না আমাকে । আমি একটু আস্তে বললাম ফুল ভাললাগে আর সেই সাথে আপনাকেও । ফুল নিয়ে কেমন যেন একটা আনন্দের ভঙ্গিতে..….ঠিক আছে, তুমি 4th Batch না ,আর আমি 1st Batch ……….. তোমার দেওয়া ফুলটা যদি চার দিন পর্য়ন্ত ভাল থাকে তাহলে তোমাকে ভালবাসব ।তারপর আমি চার দিন পর জানতে চাইলে আপু জানাল, ফুল তো মইরা ভূত !!!! তুমি আমার জন্য আর একটা ফুল নিয়ে আস ।এরপর থেকে যখনই দেখা হত ফ্রি তে ফুল যোগার করতে পারলে দিতাম। কোন ফুল চার দিন বাঁচে নাই । 2nd Batch এর জন্য আয়োজিত আড্ডা আলাপ অনুষ্ঠান শেষে আবার বললাম ‘ভালবাসি’ এবার আপু বলল কাকে ?? আমার কিছুই বলার ছিল না ।পরে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে হলের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আপু জানাল তার বিয়ে হয়েছে । আমি বললাম আমার দেওয়া কোন ফুল কি চারদিন বাঁচল না ?? আপু এবার হাসতে হসতে আমাকে বলে সেটা জেনে এখন কোন লাভ নেই । আমি বুঝলাম লাভ আসলে কোন কালেই ছিল না ।
৪।ফয়সাল আমিন পলাশ ক্লাসের সবচেয়ে রহস্যময় ছেলে তুমি। তোমার মনোভাব বিশ্লেষন করতে গিয়ে ঝানু মনোবিদও খেই হারিয়ে ফেলতে পারে। তুমি কেন সব সময় সিরিয়াস থাক কেন? তাই ভয় লাগে তোমাকে। শুনেছি তুমি linkin park এর গান ভালবাস। তোমার গুনের শেষ নেই। তুমি একজন এক্সপার্ট ফটো এডিটর। কেঊ কেউ আবার তোমাকেই এডিট করতে চায়। তুমি তো কাউকে পাত্তাও দাও না। তাই মনের কথা তোমাকে বলতে ভয় হয়। তোমাকে নিয়ে ছড়া লিখেছিঃ দেখতে তুমি চরম স্মার্ট দারুন তোমার সব, তোমায় নিয়ে খাদিজা হলে চলে কলরব। জানি, তোমার মত হিট কারো সাথে আমি ফিট হব না। আমি শুধু তোমার সব রহস্যের সমাধান করতে চাই। ভাল থেক সব সময় ।
৫।"তনু" যতই বলো ফাজিল আমায় যতই চোখের বালি, তুমিই আমার নয়নতারা -গোলাপ ফুলের কলি। তুচ্ছ আমি তোমার কাছে তুমিই স্বপ্নছবি, তোমার ভালবাসার আমি অন্ধ কোনো কবি। থাকবো বেঁচে দেখবো শুধুই তোমার সুখের হাসি, মন বোঝেনা তবুও তোমায় পাবার আশা রাখি। ভালবাসি শুধুই তোমায় বলছি কসম কেটে, বেঁচে আছি শুধুই তোমায় ভালবাসবো বলে। আমার অবুঝ মনটা শুধুই তোমায় খুঁজে-ফিরে, দেখতে পারো কষ্ট তুমি বুকটা আমার চিরে। তোমার প্রেমে জ্বলছি আমি করছি স্বপ্নহত্যা, তুমিই আমার বেঁচে থাকার ..অনুক্ত সত্যতা। বাসি ভালো -বাসবো ভালো -তুমি শুধুই তুমি, এত ভালো বাসবেনা কেউ ..ঠিকই জানো তুমি। ...তোমার ভালবাসার আমি অন্ধ কোনো কবি। ...সারা জীবন বলবো শুধুই- "তোমায় ভালোবাসি!" (লাভ ইউ ফর এভার ..লাভ ইউ ..লাভ ইউ
৬।যাকে নিয়ে লিখব,ফলিত গনিত বিভাগের নাইমা , জানিনা আল্লাহ্ তোমাকে কি দিয়ে বানাইছে। তোমার সব ই সুন্দর, কিন্তু তোমার চুলের কথা কি বলব!!!!!!!!!!!!!!! ক্যাম্পাসের প্রথম দিন তোমাকে নিজের মত করে দেখতে পারিনি কারন তুমি বোরখা পরেছিলে। কিন্তু ২য় সেমিস্টার পরীক্ষার শেষ দিন তোমার straight করা চুল দেখে মনে হল স্বর্গের হুর পরী কে দেখলাম। হয়তো তোমাকে কখনও মুখ ফুটে বলতে পারব না। কিন্তু তোমার সৌন্দর্য আমাকে চিরদিন বিমোহিত করবে
৭।"নুশু, একগাদা ভালবাসার কবিতা গিলে ফেলে একদিন সাহস করে তোর সামনে দাঁড়াব ভেবেছিলাম। সেই সাহস আর আমার হয়ে ওঠেনি। ফোলা ফোলা গাল আর নাকের উপর চশমা চাপিয়ে তুই যখন ক্লাসে আসিস আমার বুকে তখন যে ভিসুভিয়াসের প্রলয় শুরু হয় সেটা তোকে কিভাবে বোঝাই বল তো। তোর প্রতিটি নিঃশ্বাসে আমি মিশে থাকতে চাই, তোর কথায়-হাসিতে-শব্দে-বাহুতে-রাগে-অভিমানে-কান্নায়-বিশ্বাসে-চপলতায় আমাকে বেঁধে নে একটাবার। কথা দিচ্ছি তোকে সব ভুলিয়ে দেব, একদম বদলে যাব শুধু তোর জন্য......শুধুই তোর জন্য.
৮।অভি ভাইয়া , আপনাকে আমি চিনতামনা, প্রথম দেখলাম এন.এস.টি.ইউ ডিবেট ফেস্টিভাল এ..প্রথমদিনে আপনি আঞ্চলিক বিতর্কে নোয়াখালীকে রিপ্রেজেন্ট করলেন,হাসতে হাসতে বান্ধবীদের গায়ে গড়ায় পড়ছিলাম..এরপর দেবদাস হয়ে পার্বতীর পাশে রম্য বিতর্কে..ধুতি পরা অবস্থায় আপনাকে একদম অন্যরকম লাগছিল,ভাবলাম বলেই আসবো আপনি এখন থেকে ধুতি ই পরবেন..ধুতি পরা চোখে ভারি চশমার দেবকে আমার অতিরিক্ত রকম পছন্দ হয়েছে..আপনার আরেকটাও গুন আছে আমি জানতাম ই না!আপনি গান ও গাইতে পারেন!!!গিটার হাতে যখন 'বেলা বোস' গাইলেন আমি তখন পুরাই নিজেকে হারিয়ে ফেললাম..একটা মানুষের এত গুন একসাথে কিভাবে থাকতে পারে বলবেন প্লিজ?এরপর প্রায় ই দেখতাম ভার্সিটির যে কোন প্রোগ্রামে আপনি এঙ্কোরিং এ আছেন..আচ্ছা আপনাকে কি এই কথাটা আগে কেউ বলেছে আপনার ভয়েস অনেক সুন্দর?না বলুক এটাই চাই কারন এই কথাটা আমি বলেছি তাই..আপনার সম্পর্কে আরেকটু জ্ঞান অর্জন করতে যেয়েই জানলাম একটা আপুর প্রেমে আপনি হাবুডুবু খাচ্ছেন..মেজাজটা কিঞ্চিত্ খারাপ হল এই ভেবে যে আমি তাহলে চন্দ্রমুখী! যাইহোক আপনাকে কখনো একা হাঁটতে দেখিনাই,সবসময় ৫-৬জন থাকতোই...ভাইয়াদের সামনে মাথা নিচু করে হাঁটলেও আপনাকে ঠিক ই দেখে নিতাম...কিছু বলার আগেই যে সব হারায় তার মত দুঃখী বোধয় আর কেউ নাই..আপনি এম.এস করছেন জানি,একটা ভালো জব ও করছেন তাও জানি..সব খবর ই রাখি নিজেকে হারিয়ে...থাকনা কিছু না পাওয়া..সব যে পেতেই হবে এমনতো কোন কথা নেই তাইনা???
৯।ফারজানা জাহান ঝুমি , এক দিন সন্ধ্যায় টং এর রাস্তায় ফার্স্ট দেখি তোমায়। তখন নাম জানতাম না। পরে শুনেছি। তুমি নাকি ক্লাসে ঘুমাতে? :- p তোমার সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনেছি, শুনেছি রাগলে তুমি মানুষ তুলে আছাড় মারো এ ভয়ে আর যোগাযোগ হয়নি , হা হা হা জাস্ট কিডিং। যোগাযোগ করে লাভ নাই তাই করিনি। তুমি তো জানোই কেনো । তুমি ভালো থেকো।
১০।konikon ভাইয়া সেদিন তুমি একটা লাল টি শার্ট এর সাথে নীল ট্রাউজার r কেড্স পরা ছিলা।মনে হয় খেলতে গেছিলা,আমার সাথে রাস্তায় দেখা! ভাইয়া বিশ্বাস কর সেদিন থেকেই আমার চোখের পাতা এক হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে । অনেক দিন তোমার সাথে কথা বলতে গিয়েও পারিনি, অভাগিনী আমি শুধু দূর থেকে তোমার সবকিছু খেয়াল করে গেছি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে গেছি । ভাইয়া তোমাকে সত্যিই অনেক ভালবাসি..
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০১