somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কুড়িয়ে নিয়েছি, তোমার চরনে দিয়েছি। লহ লহ করুণকরে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে ভাবি তুমি না থাকলে খুব কি একঘেয়ে মনে হত জীবনটা?আমার তো একঘেয়ে জীবন ভাবার কোনোই কারণ নেই।সকাল থেকে সন্ধ্যে রুটিন বাঁধা জীবন। এতটুকু অবসরেরও কখনও হেলে পড়িনা আমি। নিত্য নতুন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করে রাখতে জানি।এ শুধু নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যই ব্যাস্ত রাখা নয়। নিজেকে ব্যস্ত রাখাটা আমার নিজের কাছেই এক বিনোদন।

ছেলেবেলায় পুতুলের বাক্স নিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতাম।কখনও বা একি গল্পের বই ১০/ ১২ বার পড়তাম। কখনও একাকিত্ত বা এমনকিছু কাছে আসতে দেইনি। সব সময় সযতনে অনেক অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম আমার না পাওয়ার বেদনা, একাকিত্ত বা যেকোনো অপ্রাপ্তিকেই। আমি ও আমার নিজের জন্য গড়ে তোলা জগৎ টি ছিলো আমার সংগী।আমার সর্বক্ষণের সাথী।

হঠাৎ শৈশব কৈশোর পেরিয়ে জীবনের এক ক্রান্তিকালে এক ঝলক খোলা হাওয়ায় ভেসে এলে তুমি।বদ্ধ কপাট ভেঙে একরাশ দমকা ঝোড়ো হাওয়া যেন। আমি ভেসে গেলাম সে হাওয়ায়। দূর থেকে দূরে। মেঘের রাজ্যে, স্বপ্নের দেশে, সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে ভেসে চললাম আমি। অজানার পথে।

(মন মোর মেঘেরো সংগী,উড়ে চলে দিকদিগন্তের পানে)
গুন গুন করে গানটি গাই। কানে বাজে অবিরাম এই সূর। তুমি মেঘ আমি তার সংগী। অথবা আমিই মেঘ তুমি উতল হাওয়া। ভাসিয়ে নিয়ে চলেছ আমাকে দেশ থেকে দেশান্তরে।
শুধুই কি ভেসে চলা?ময়ূরপংখীর পাখায় ভর করে নিশ্চিৎ নিভর্রতায় উড়ে চলা।সবকিছুর পরেও নিজেকে মূল্যহীন মনে হত একসময়। তুমি জানিয়ে দিলে মুল্যহীনতার বৈপরীত্য।

(আমারে তুমি অশেষ করেছো এমনি লীলা তব)
তুমি আমাকে জানিয়ে দিলে জীবন কখনও ফুরিয়ে যায়না। এমনকি মৃত্যুর পরেও তা অবিনশ্বর।ভালোবাসাগুলি আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখে যুগে যুগে।

এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে,
আমি কুড়িয়ে নিয়েছি তোমার চরণে দিয়েছি,
লহ লহ করুণ করে।

অনেক দিয়েছো আমাকে তুমি। তোমার দেও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না কখনও আমার পক্ষে।বিনিময়ে কিছু দেবারও নেই তোমাকে আমার হয়তো। শুধু আমার ভালোবাসার মুকুলগুলি তোমার চরণে দিয়ে গেলাম। আমার ভালোবাসার অর্ঘ্য।

(এ লেখাটি পড়ে অনেকের মনেই হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে কে এই তুমি?
কে এই তুমি তার উত্তর আমি দেবোনা।হতে পারে নাম না জানা কোনো এক তুমি, নতুবা আমার আত্মার আত্নীয় কোনো এক তুমি অথবা আমাদের সবার প্রিয় এই সামহয়্যার ইন ব্লগটিই)

প্রিয় গানটির লিন্ক নিচে দিলাম

Click This Link

এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে
আমি কুড়িয়ে নিয়েছি তোমার চরণে দিয়েছি,
লহ লহ করুণ করে।

যখন যাবো চলে ওরা ফুটবে তোমার কোলে
তোমার মালা গাঁথার আঙুলগুলি মধুর বেদন ভরে
যেন আমায় স্মরণ করে।

বউ কথা কও তন্দ্রা হারা
বিফল ব্যাথায় ডাক দিয়ে হয় সারা
আজি বিভোর রাতে।

দুজনের কানাকানি কথা
দুজনের মিলনবিহ্বলতা।
জ্যোছনা ধারায় যায় ভেসে যায় দোলের পূর্ণিমাতে।
এই আভাসগুলি পড়বে মালায় গাঁথা কালকে দিনের তরে।
তোমার অলস দ্বিপ্রহরে।

গানটির কথাগুলো আমার অনেক অনেক প্রিয়। যেন আমারি কথা। তোমার চরণে নিবেদিত আমার এ অর্ঘ্য।ভালোবাসার ঝরে পড়া মুকুলগুলি, আমার অবর্তমানেও তোমার কোলে ফুল হয়ে ফুঁটে উঠুক। সে ফুলে মালা গাঁথবার কালে আমাকে স্মরণ করো তুমি।(দুজনের কানাকানি কথা,দুজনের মিলনবিহ্বলতা।জ্যোছনা ধারায় যায় ভেসে যায় দোলের পূর্ণিমাতে।
এই আভাসগুলি পড়বে মালায় গাঁথা কালকে দিনের তরে।তোমার অলস দ্বিপ্রহরে।।)এত গান এত সূর ভেসে যাবেনা কখনো, কোনোদিন।সামনের দিন গুলোতে হয়তো আমি রইবোনা, কিন্তু এই আভাসগুলো পড়ে রইবে, আমার স্মৃতি হয়ে।



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৩
৬৪টি মন্তব্য ৬৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×