somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের বুয়া মঞ্জুরা...

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেকদিন আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম সিনেমার নাম "তিন কন্যা"। এই তিন কন্যা সিনেমার মত আমারও মাঝে মাঝে লিখতে ইচ্ছে করে "তিন বুয়া" নামে কোনো গল্প বা সিনেমা। এছাড়াও আমার প্রায়ই মনে হয় আহা আমাদের সকলের প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ যদি আমাদের বাসার এই তিন বুয়ার দেখা পেতেন তবে কি মজাটাই না হত। যাইহোক আমার আজকের লেখাটি আমাদের এই তিন বুয়াদের এক বুয়া মঞ্জুরাকে নিয়ে। বাকী দুজনের নাম বলে রাখি। দিলজান আর সুফিয়া। সুফিয়া অবশ্য কমন নাম কিন্তু দিলজান আর মঞ্জুরা নাম শুনে আমি মুগ্ধ। গ্রামে এত সুন্দর সব নাম রাখা হয় জেনে আমি আসলেই বিস্মিত এবং পরম মুগ্ধ। ওহ দিলজানের বোন রুপজান । এই নামটাও খুবই সুন্দর এবং সেও আমাদের বাসার ছুটা বুয়া আর এই তিনজন পারমানেন্ট। যাইহোক মঞ্জুরার আশ্চর্য্য রকম সব কাহিনীগুলি দেখে আমি অবাক হই, বিস্মিত হই, মুগ্ধ হই এবং মাঝে মাঝে ক্ষুব্ধও হই, তবে বেশি ভাগ সময় কৌতুকে ফেটে পড়ি।

সুফিয়া সবচাইতে পুরান বুয়া এবং এ বাসার অন্যান্য সব বুয়া, দারোয়ান, ড্রাইভার, মালী, ক্লিনার সব্বারই লিডার। মানে সুফিয়ার পদবী টিম লিডার কাম মেইন কুক। সে একজন অতি বিচক্ষন বিচারক ও গুড ইনস্ট্রাক্টর। আর দিলজানের কাজ শুধুই ফুপির ফাই ফরমাস খাঁটা, তার সাথে থাকা, তার সকল যন্ত্রনা ( বকবক এবং বকবক এবং অবান্তর কথোপকথন )সহ্য করা, তার মিনিটে মিনিটে ভুলে যাওয়া ফোন, কানের দুল, চশমা, খবরের কাগজ, টিভির রিমোর্ট, এসির রিমোর্ট, ফ্যানের রিমোর্ট হাতের কাছে গুছিয়ে দেওয়া, রোজ সাড়ে চারটায় টিভিতে তার জি বাংলা ছেড়ে দেওয়া, তার ওষুধ খুলে দেওয়া, পানি তুলে দেওয়া, মাথার চুলে রং করে দেওয়া, নখ কেটে দেওয়া, রাতে ঘুমুবার পরেও তার ডাকে উঠে তার কাছে বসে থাকা, হাত, পা, মাথা ম্যাসাজ ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। আমার মতে এই বাসার সকল কাজের মানুষগুলোর মাঝে সবচাইতে কঠিন কাজটি সেই করে। এবং সারা দিনমান এবং রাতভর এসব সহ্য করার সকল ধৈর্য্যশক্তি আল্লাহ যে তাকে দিয়েছেন তাহা দেখেও আমি মুগ্ধ হই। যাইহোক এবারে আসি মঞ্জুরার কথায়। সে টিম লিডার কাম মেইন কুক সুফিয়ার এসিসট্যান্ট। কাটাকাটি, বাটাবাটি, শাক সব্জী, মাছ মাংস ধোয়া এবং হাড়ি পাতিল ধোয়া তার কাজ তবে রান্না করার অধিকার তার নাই। নট ইভেন এক কাপ চা। সে সবই করে থাকে মেইন কুক সুফিয়া বা মাঝে মধ্যে দিলজান। মঞ্জুরা এসেছে মাস তিনেক। সে আবার দেখতে চিকনচাকন হলে কি হবে বিশাল খাদ্যবিলাসী মানুষ। তো-

ঘটনা নং ১- মঞ্জুরা ও ঘন ডাল, পাতলা ডাল - একদিন মেইন কুক সুফিয়া বুয়া তার ভায়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন কালাচাঁদপুর। দিলজান ডাল রান্না করছে। মঞ্জুরা থালাবাসন ধুচ্ছেন। আমি কিচেনে ঢুকে দেখি দুজনের মহা ঝগড়া। দিলজান বলে-
দিলজান - ঐ তুই বেশি জানোস? খালা পাতলা ডাল ছাড়া খান না...... ব্লা ব্লা ব্লা....
মঞ্জুরা- ঐ তুই চুপ থাক। বেশি কতা কইবি না, কালা কায় না তো আমার কি লো? আমিও ঘন ডাল ছাড়া কাইতে হারি না ...... অং বং চং
দিলজান(পরম বিস্মিত হয়ে) - বাবা রে !!!! কতা কি লো বেডির! তুই কি গিতান হইছৎ? শুন গিতান যা খাবু তুইও তা খাবু.... ব্লা ব্লা ব্লা উপদেশ....
আমি- কি হয়েছে?
দিলজান- দেহেন আপা। আমি কই্তেছি খালা পাতলা ডাইল ছাড়া খায় না আর হে কইতেসে ডাইল ঘন কইরা রাঁনতে! চিন্তা করেন কত্ত বড় তত্ত বড় ...... ব্লা ব্লা ব্লা........
আমি- ওকে নো প্রবলেম। মঞ্জুরা তোমার যদি ঘন ডাল খেতে ইচ্ছা করে তুমি একশোবার খাবে কিন্তু নিজে রেঁধে নেবে। আমরা পাতলা ডালই খাবো (ভালোমানুষ আমি) কাজেই নো নিড টু ডু মাতবরী!!!!! ( আমি মনে মনে রেগে মেগে মাতবরী দেখে)
মঞ্জুরা থালা বাসন ধোঁয়া স্টপ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনছিলো। তার মুখ ভয়াবহ রাগত, চোখ কুচকে এবং দাঁত কিড় মিড় করে সে বললো,
- দেহেন আপা আধা পট ডাইলে তিন বাটি হানি দিসে। এইডা কুনো ডাইল অইলো!!!!!!!
দিলজান- (রাগের চোটে নেচে কুঁদে উঠে)- এই রে লবাবের বেডি আইসেন। তিন বাটি হানি দিসি.... ঐ ঐ ঐ লবাবের বেডি বলি তোর বাড়িতে ..... আমি তাদের নাচ গান আর আচমকা রাগান্বিত ভাষা শুনে হাসতে হাসতে শেষ। আমার হাসি দেখে তাদের রাগ আরও বেড়ে গেলো। দিলজান ভাবলো এটা আমার আস্কারার হাসি আর মঞ্জুরা ভাবলো তাকে তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। যাইহোক আমি অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বললাম,
-হইসে থামো, মঞ্জুরা শোনো, দিলজান তিন বাটি পানি দিক আর চার বাটি দিক তোমাকে দেখতে হবে না। ওকে ওর মত রাঁধতে দাও। দিলজান তুমি পাতলা ডালই রাঁধো আমরা আজ দুপুরে মচমচে রুই মাছ ভাজা আর ডাল খাবো। আর মঞ্জুরা এত দুস্কের কিছু নাই। তুমি তোমার মত মনের সাধ মিটিয়ে ঘন ডাল রেঁধে খাও। আমি কিচেন থেকে বেরিয়ে এলাম।

এসে ফুপির সাথে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দিলজান হাতে ডালের ডাবুটা নিয়ে দেখি আমাদের দিকে ছুটে আসছেন। সেই ভয়াবহ ভঙ্গী দেখে চা খাওয়া রেখে আমি আৎকে উঠলাম।
দিলজান- দেহেন আপা, দেহেন আপা, কত্ত বড় সাহস বেডির!!!!!!! আপনে বইলা আসলেন না পাতলা ডাইল রাঁনতে, আপনি বাইরাইটে না বাইরাইতেই মঞ্জুরা থালা বাটি ধোয়া ছাইড়া বেসিন থেইকা একটা কড়ুই (কড়াই) তুলে নিয়ে এক কড়ুই পানি ডাইলের মধ্যে ঢেইলে দিসে!
এই কথা শুনে আমার চক্ষু ছানাবড়া! মুখ গোল্লা! আমার বাক রোধ! আমি অনেক কষ্টে বললাম - কে ....ন.....নো.....ও .....ও
দিলজান- কেনো আবার! কইসে, হাতলা ডাইল খাবি! খা তাইলে বালা মত হাতলা ডাইল। তিন বাটি হানি চাইর বাটি হানি না? হুধা চাইর বাটি কেন খা চাইর কড়ুই হানি!
আমি - কি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আমার কি শুনে এইবার ফুপি আৎকে উঠলো! আমি ততক্ষনে দাঁড়িয়ে গেছি! এইবার আমার চোখ গোল্লা গোল্লা। মাথায় রাগের ভূত, মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে! আমি ধাপধুপ পা ফেলে কিচেনের দিকে ছুটলাম। আমাকে দেখ ফুপী চিল্লায়- থাম থাম যা হইসে হইসে তুই অনর্থ করিস না! দিলজান তুই কেনো বলতে গেলি আরেক পাগলীকে! আমি ঘুরে দাঁড়ালাম! আমি পাগলী! তাইলে আমি একাই পাগলী থাকবো এই বাড়িতে।
আমি- মঞ্জুরা কেনো পানি দিয়েছো! আমার রাগ দেখে সে ভেবেছে তাকে বুঝি ধরেই মারবো। সে কিচেন ছেড়ে তার নিজের রুমে। আমিও সেখানে গেলাম।
- বলো কেনো পানি দিয়েছো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মঞ্জুরা তখন তার স্বভাব সিদ্ধ পাগলা ডায়ালগ বের করলো-
- হানি? হানি কিতা? হানি দিসি? আমি কি কইচ্ছি!!
- চুউপ! কি কইচ্চ মানে!!!!!!!!!!!কি কইচ্চো জানোনা না!!!!!! কেনো ডালের মধ্যে পানি দিলে!!!!! আবার বলেছো, হুধা চাইর বাটি কেন খা চাইর কড়ুই হানি খা!!!!!!!!!!!!!!
- কিতা কইন! আমি এই কতা কই নাই। ডাইল হিদ্ধ হইসে না তাই হানি দিয়া দিসি! নাইলে ডাইলে আমি হানি দিবো কেলা? দিলে দিবো লবন। মানে নুন...... বরিশালের একটা প্রচলিত কথন আছে- ও মনু ডাইলে লবন দিসো আর আমাদের মঞ্জুরাকে আমি কিনা বলি ডালে হানি দিসো!!!!


ঘটনা নং ২- মঞ্জুরা যখন কুহু আপা রন্ধন স্পেশালিস্ট - এ ঘটনাটাও সুফিয়া বুয়ার অনুপস্তিতিতেই ঘটেছিলো। সুফিয়া বুয়া থাকাকালীন সময়ে মঞ্জুরা কিছুটা কন্ট্রোলে থাকে। কিন্তু যখনই সুফিয়া বুয়া বাড়ির বাইরে যায় তখনই সে যেন কেমন দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। তো সেবার সুফিয়াবুয়া গ্রামে গেলো ৩ দিনের জন্য বিশেষ প্রয়োজনে। যাবার আগে সে গরুর মাংস ভূনা, মুরগীর রোস্ট, এমনকি মুরগী কষিয়ে এবং সব্জী নিরামিষ বানিয়েও ডীপ ফ্রিজে রেখে গেলো। যেন আর কোনো রন্ধন বিশারদের কেরামতীতে আমাদের না পড়তে হয় তাই।

তো আমি সেদিন স্কুলে গেছি। বাসায় ফুপী একা। যাবার আগে বলে গেছি আজ ঐ কষানো মুরগীর মাংসটা আলু দিয়ে ঝোল বানাবে, আর ঢেড়স ভাজি আর ডাল বানাবে। কাজটা পড়লো দিলজানের ঘাড়ে। দিলজান মোটামুটি কিছু বুঝিয়ে দিলে বুঝে এবং সেভাবেই কাজ করে। তো সে বললো, আচ্ছা কোনো চিন্তা কইরেন না আমি ঠিক ঠাক করে রাখবো সব কিছুই।

যথারীতি দুপুরে বাসায় ফিরেছি। দেখলাম ডাইনিং টেবিলের উপরে সুন্দর করে ম্যাট পেতে প্লেট সাজানো, ঝকঝকে তকতকে গ্লাসে করে পানি ঢেলে রাখা, হটপটে জুঁইফুলের মত গরম ভাত, আরেক হটপটে গরম ডাল (পাতলা ডাল ওরফে মঞ্জুরার ভাষার হাতলা ডাইল), কচকচে সবুজ ঢেড়স ভাঁজি এবং মন কাঁড়া রঙের মুরগীর ঝোল। নিজের অজান্তেই মুখ ফুটে বেরিয়ে এলো- বাহ!

ফুপী বলললেন, তাড়াতাড়ি গোসল সেরে খেতে আয়। আমিও তাই তাড়াতাড়ি গোসল সেরে খেতে বসলাম। আজীবন আমি মাংসাশী প্রাণী তাই ফুঁপী ঢেড়স ভাঁজি ডাল দিয়ে শুরু করলেও আমি ডাইরেক্ট মন কাঁড়া রঙ্গের মুরগীর ঝোলে চামচ ডুবিয়ে দিলাম। এক টুকরা রানের মাংস, দু টুকরা আলো আর এক চামচ ঝোল দিয়ে ভাত মেখে মুখে দিতেই মন কাড়া রঙ্গের মুরগীর ঝোলের সাথে মন যে কোথায় উড়ে গেলো! কে জানে! খাওয়া থামিয়ে, চোখ কুচকে বুঝবার চেষ্টা করলাম ঘটনাটা কি! জীবনে মুরগীর ফ্রাই খেয়েছি, রোস্ট খেয়েছি, দোঁপেয়াজা খেয়েছি, মুরগ মুসাল্লাম খেয়েছি, কোরমা খেয়েছি, চিকেন চিলি, অনিয়ন, গারলিক, ক্যাপসিকাম। একে একে সকল স্বাদের মুরগীর স্বাদ মনে করবার ট্রাই করলাম। কিন্তু কোনোটার সাথেই মিলাতে পারলাম না। সে এক অদ্ভুৎ স্বাদ। কড়া ঝালের মুরগীর পাশাপাশি চরম মিষ্টি স্বাদে এক বিদিকিচ্ছিরি গা গুলানো ভাবের সৃষ্টি করেছে। ওয়াক করে বমিই এসে যাচ্ছিলো। ফুপী আমার অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে বললেন, কি হয়েছে! কি হয়েছে আমাকে বল? আমার তখন ঐ বিচ্ছিরি স্বাদে বমি এসে গেছে, চোখে পানি। কোনো মতে থু থু করে মুখ থেকে সব ফেলে দিয়ে আমি দিলজানকে ডাকলাম।
আমি- দিলজান, তোমার মুরগী রান্না খুব খুব ভালো হয়েছে। ( হাসি হাসি মুখে)
দিলজান- থ্যাংক ইউ আপা। (কাঁচুমাচু খুশি খুশি মুখে)
আমি- কি করে করলে এমন ? কি কি দিয়েছো বলোতো? ( অবাক হয়ে)
দিলজান- (গর্ব সহকারে) ভালো কইরে প্যাজ কইষষে নিয়ে, ত্যাল দিয়ে, নুন দিয়ে, তারপর হলি তুমার আঁদা বাডা, রঁসুন বাডা, জিরে বাডা, ধুনা..
আমি- গরম মসলা?
দিলজান- হ হ গরম মসলা দিসি। তারপর তুমার মরিচের গুড়ি, হলুদ, লবন তামাম মমমমমমমমম দিসি।
আমি- ব্যাস! আর কিছুই দাওনি! কিন্তু তোমার ঝোলটা এত সুন্দর গাঢ় থকথকে হলো কি করে? খুবই সুন্দর হয়েছে আর কি দিয়েছো বলো তো?
দিলজান- আর কিছু তো দেইনি আফা। ওহ হো মুনে পড়িছে। ঐ যে ডীপৎ রাখা সাদা সাদা, কোটা ভরি রাখা সাদা সাদা দুধের লাগান উডাও দিসি।
আমি- সেডা কি? ও তাই বলো, এই জন্যই তো এত মজার হয়েছে। আনোতো দেখি তোমার সেই কোটা....
দিলজান এক দৌড়ে সেই কোটা নিয়ে এলো। যা দেখে আমি হাসবো কি কাঁদবো ভেবে না পেয়ে শেষে তীব্র সুরে এক চিল চিৎকার দিলাম। মাথা ঘুরেও পড়ে যেতাম হয়তো কিন্তু তার আগে হঠাৎ মাথায় এক প্রশ্ন এলো দেখি তো জিগাসা করে এই কোটার মধ্যে সে কি ভেবেছে? মানে কি ভেবে সে এই কোটার সাদা সাদা জিনিসটা তার মুরগীতে এ্যাড করলো?
আমার চিল চিৎকারে ভীমরি খেয়ে দিলজান হতচকিত হয়ে গেছিলো। আমি জানতে চাইতেই ডাইরেক্ট উত্তর না দিয়ে, কোনো কৃতিত্বের আশা না করেই নিজের সাফাই গাওয়া শুরু করলো। বললো,
- ও আপা আমার কুনো দুষ নাই। আমি যখন ঝাল, প্যাজ ত্যাল দিয়ে মসল্লা কষাচ্ছিলাম মঞ্জুরা ডীপৎ থেইকা এই কোটা বাইর কইরা আইনা আমার মুরগীর কড়ুইতে ঢেইলে দিসে। বলছে, এইয়া দিয়া রান। আপাও এই জিনিস দিয়ে রানছিলো। বড় স্বোয়াদ হইসিলো। তুইও রাঁন..... ব্লা ব্লা ব্লা ....... আমি বিরশি সিক্কা ওজনের এক ধমক দিয়ে বললাম,
- চুঊুউুপ! মঞ্জুরা দিসিলো!!!!!!!!! তুইও রান !!!!!!!!!!!!!! না!!!!!!!!!!! জানো এটা কি! তুমি কি দিয়ে মুরগী রেঁধেছো?
দিলজান- না আপা কি? কি এডা?
আমি- এটা কুমিল্লা থেকে আনা রসমালাই। অসম্ভব মিষ্টি বলে ফুপী খায়নি। ডীপে রেখে দিয়েছিলো। আর তুমি কিনা তাই দিয়ে মুরগী রেঁধেছো!!!!!!!!!!! রসমালাই মুরগী!!!!!!!!!!! কুহু জারদৌসী হইসো না!!!!!!!!! রসমালাই মুরগী, কাঁচাগোল্লা ইলিশ, লালমোহনের চিংড়িমালাই, ছানার জীলাপীর কাঁচকি এইসবও রাঁধবে কয়দিন পরে তাই না!!!!!!!!!!!!!
দিলজান- ও আপা, রাগ কইরেন না, হুনেন, আমার কুনো দুষ নাই। সব দুষ মঞ্জুরার। উ আমারে বুলিছে এই জিনিস দিয়ে রাঁধলি পরে রান্না বেশি স্বয়াদ হবু..... ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা
আমি - চু উ উ উ উ উ উ উ ঊ প ........ কোথায় মঞ্জুরা!!! কোথায় সে রন্ধন বিশারদ .........

মঞ্জুরা যথারীতি তার ঘরের কোনায় লুকিয়েছে। আমি ঘরে ঢুকতেই শুরু করে দিলো-
- আমি! আমি কি কইচ্চি! কিতা দিছি আমি! কিতা দিসি হ্যাঁ! আমি ইতা কিছু দিসি না! আমি দিমু কেলা হ্যাঁ? আমি রাইন্চি? আমি .... আমি ..... আমি অং বং চং ..........

( কিছুদিন আগে সে আমাকে টকদই দিয়ে মুরগীর রোস্ট মাখিয়ে রাখতে দেখেছিলো। তার সাবস্টিটিউট হিসাবে রসমালাই দিয়েও / রসমালাইকে টকদই ভেবে রসমালাই মুরগী রাঁধা যাবে তার এক্সপেরিমেন্টাল মাইন্ড ধরেই নিয়েছে। এটা আমার ধারণা কিন্তু কোনোভাবেই তার মুখ দিয়ে এই ধারণার সত্যতা আমি স্বীকার করাতে পারিনি। যতই বলি, কেনো দিয়েছিলে বলো? সে বলে - কিতা কি কইচ্চি, আমি কি কইচ্চি, আমি ইতা দিসি না,আমি দিমু কেলা..... আমি রাইন্চি..... আমারে হাগলা কুত্তায় কামড়াইসে.... আমি দিসি না হেয়ই দিসে..... অং বং চং ......... )
ওহ আওর মঞ্জুরা......


ঘটনা নং ৩- মঞ্জুরা ও পানির গ্লাস -মঞ্জুরাকে পানি খাবার জন্য কাঁচের গ্লাস দেওয়া হয়েছে। মেলামাইনের প্লেট, মেলামাইনের বাটি আর স্টিলের চামচ। তবুও মঞ্জুরার সেসব কিছুই পছন্দ হয় না। সে সোজা গামলা কিংবা তার ভাষায় কড়ুইতেই ভাত মাখিয়ে খেতে বসে যায়। সেমাই কিংবা ফিরনী দিলেও সে চামচের ধার ধারেনা সোজা আঙ্গুল বা বাঁকা আঙ্গুলেই সেসব উঠিয়ে খাওয়া শুরু করে। এ জিনিসটা আমার যত না অপছন্দ তার থেকেও বেশি অপছন্দ ফুপীর। তাই সে এই সব কাজ করে বার বার ধরা খেয়ে তিরষ্কৃত হয়। সবচেয়ে আশ্চর্য্য হয়েছি আমি সেদিন কিচেনে ঢুকে দেখি সে আধা কেজি ওজনের "রস" দোকানের মিষ্টির ফেলে দেওয়া পুরান বাটি কুড়িয়ে নিয়ে ধুয়ে মুছে ঝকঝকে করে তাদের র‌্যাকে সাজিয়ে রেখেছে। আমি সেটা নিয়ে বললাম এটা কি? এখানে কেনো? এখুনি ফেলো। আমি ছুড়েই ফেলতে গেলাম। ওমনি তার শত্রু দিলজান কর কর করে বলে উঠলো-
- আপা, ফালাইয়েন না, ফালাইয়েন না এইডা আমরার মঞ্জুরার পানির গ্লাস! আমার তো চক্ষু চড়কগাছ! বলে কি মিষ্টির বাটি গ্লাস হলো কেমনে! দিলজান বলে চলে-
- হ আপনাদের দেওয়া গ্লাস উনার পছন্দ হয় না। বলে দূর ও যা, আমি হেইয়া গ্লাসে খাইতাম না। আমি বললাম-
- মঞ্জুরা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! মঞ্জুরা ভীষন বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো-
- কিতা হইসে ! কি কইচ্চি হ্যাঁ! এত বক্করা কিয়ের? হেইয়া গ্লাস ছুডো আর হেইয়া বাডি বড়। আমার হেইয়া বাডিত হানি কাইতে বালা লাগে....ছুডো মুকোর গ্লাসত হানি কাইতে বালা লাগে না... হেইডা আমার দুষ? দুষ তো গেলাসের, আমার না....
আমি থমকালাম। বুঝলাম যুক্তি আছে। ছোট মুখের গ্লাস তার পছন্দ না তার পছন্দ বড় মুখের গ্লাস। বুঝলাম তার বড় মুখের গ্লাস লাগবে। তাকে আমি আলমারী হতে বের করে দিলাম আধা লিটার ওজনের বড় মুখের একটি পানি খাবার মাগ। নাও মঞ্জুরা ইজ হ্যাপী! :)

ঘটনা নং ৪- মঞ্জুরা ও আমাদের বাসার বেড়া
- মঞ্জুরার বড় বদভ্যাস। সে কথায় কথায় নতুন কালার করা ওয়ালে হাত দিয়ে কথা বলে। ঘর মুছতে মুছতে সে এক হাতে দেওয়াল ধরবে আরেক হাতে মুছবে। দরজা খুলতে গিয়েও সে এক হাতে ওয়াল ধরবে আরেক হাতে খুলবে। তাকে ডাকলেও সে ওয়ালে হাত দিয়ে এসে দাঁড়াবে।
তো আমার আবার অপরিসীম ধৈর্য্য। আমি তাকে বলি শুনো মঞ্জুরা তুমি দেওয়ালে হাত দেবে না। ঘর মুছার সময়, সোফার উপরে হাত রেখে অন্য হাতে ঘর মুছা বা দেওয়ালে এক হাতের ভর রেখে আরেক হাতে মুছার দরকার নেই। তুমি দেখো এই যে আমি মুছছি আমাকে কি দেওয়ালে এক হাত রেখে মুছতে হচ্ছে??? না এই দেখো এইভাবে মুছা যায় সেই ভাবে মুছা যায়।
সে বলে
-কিতা কন? আমি কিতা করি! আমি কিয়ে আত দেই! আমি আত দেই না। কুনোকানেই আত দেই না। আত দেবো কেলা? আমি তো মুছিই । এমনেই মুছি? দেওয়াল কিতা!
আমি- এতক্ষনে!! দেওয়াল কিতা মানে? তাইলে এইটা কি? ( আমি দেওয়াল ধরে দেখালাম!) সে বলে,
- ইডা দেওয়াল?
আমি- তো ইডা কি?
- ইডা তো বেরা! মোরা কই বেরা!!!!! বেরা দিয়াই তো ঘর বান্ধে। আপনারা বড়লোক ঘর বানছেন ইডা দিয়া....... শুরু হলো মঞ্জুরার পাগলা সাজার লেকচার....অং বং চং

ঘটনা নং ৫- মঞ্জুরা ও থালা প্লেট বাটি ঘটি- মঞ্জুরাকে যদি বলি, যাওতো একটা প্লেট নিয়ে আসো তো। সে নিয়ে আসে পাতিল।
আমি- পাতিল এনেছো কেনো? আরে বাবা ভাত খাবার প্লেট।
মঞ্জুরা- কিতা? পিলেট কিতা? হাই নাতো....কই পিলেট? কই রাইখছেন??
আমি রাগে গজ গজ করে ধাপধুপ উঠে গিয়ে কিচেন থেকে প্লেট হাতে নিয়ে বললাম
- এইটা কি
মঞ্জুরা- ও ইডা পিলট? ইডা তো থালা। কইবেন থালা বাডি.... পিলট কিতা। এইডা পিলট নি..... অং বং চং.....


ঘটনা নং ৬- মঞ্জুরা ও রুপচর্চা বিদ্বেষ- কেনো যেন তার তাবৎ দুনিয়ার মানুষের উপরে ক্ষোভ এবং বিদ্বেষ। সেই ১৭ বছর বয়সে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ না হয়েও একই বাড়িতে সতীনের সাথে বসবাসের অবহেলিত জীবন। সেই থেকেই নাকি সে ভালোমত চুল আঁচড়ায়না, তেল দেয় না, কোনো রকম ক্রিম, ট্রিম কিছুই না। যদি বলি,
- মঞ্জুরা তোমাকে তো সুন্দর করে পরিপাটি করে থাকতে হবে। এই আমার মত। দেখো কত মানুষ আসে। তোমাকে এমন দেখলে কি ভাববে?
মঞ্জুরা- কেডা কি ভাববো? কেডা কি ভাববো হ্যাঁ? কেডা কি ভাবলে তাতে আমার কিতা? আমি তাগো কাই না পরি! আমার অত আউস নাই। এত রং আমার মনে নাই। যেই বান্দরের মনে রং উডছে, হেই বান্দর সাজুক। আমি কেলা?
-বলে কি শয়তানটা? বান্দররা সাজে!!!!!!!! তার মানে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! .........মঞ্জুরার বাচ্চা মঞ্জুরা!!!!!!!!!!! X((


ঘটনা নং ৭ - মঞ্জুরা যখন ডক্টর স্পেশালিস্ট - ঈদের পরের দিন। আমি ডেস্কটপে বসে ফেসবুকে। মঞ্জুরা আমার নেইলপলিশ তুলে দিচ্ছিলো রিমুভার দিয়ে। আমার কলিগের ৫/৬ বছরের ফুটফুটে মেয়ে তার ঈদ ড্রেসের ছবি দিয়েছে। তার ড্রেসটা এমন যে কোনো হাতা নেই সোজা গলা থেকে একটা সাদা লেস লেস কাপড় পেঁচিয়ে নেমেছে। তারপর বুকের উপর সাদা লেসের প্লেট বসানো আর তার নীচ দিয়ে লাল নেটের ফ্রিল। মেয়েটা আঁকা বাঁকা হয়ে পোজ দিয়ে আছে। হঠাৎ শুনি মঞ্জুরা বলছে,
-আহহারে আবুডা দুক্কু পাইসে। গলার লগে হ্যাচ লাগাইয়া বাইন্ধা থুইসে।
আমার কানে হঠাৎ সে কথা গেলো। এমনিতে তার আবোল তাবোল কথায় আমি তেমন কান দেইনা। তবে হঠাৎ এই কথাটা শুনে ভালো করে শুনতে ও বুঝতে চাইলাম। ভাবলাম বলছেটা কি শুনি তো ভালো করে...
আমি- কি হয়েছে? কি বলো মঞ্জুরা?
মঞ্জুরা- বলি আবুডা দুক্কু পাইসে।
আমি আৎকে উঠলাম। কি করে? কি করে দুক্কু পাইসে!
মঞ্জুরা- দেহেন গলার লগে হ্যাচ লাগাইয়া আত বাইন্ধা থুইসে।
আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম,
- কেনো?
সে পরম বিজ্ঞের মত বললো,
- আত ভাইঙ্গা ফালাইসে.... ইসচিরে, আবুডা দুক্কু পাইসে......

ঘটনা নং ৮- মঞ্জুরা যখন শিক্ষক - বলতে গেলে মঞ্জুরার সারাটা জীবনই কেটেছে অবহেলায় গঞ্জনায়। জীবন তাকে শুধু শিক্ষাই দিয়ে গেছে । কঠিন শিক্ষা। তবে এই কঠিন শিক্ষাগুলো তাকে জীবন ও জগতের প্রতি রুঢ় ও বিমুখ করে তুলেছে। সে সুযোগ পেলেই মনে হয় পৃথিবীটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিত। তাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে তিল তিল করে মারতো। তার থেকে শোনা তার জীবনের নানা ঘটনায় আমি সেটা বুঝি। ওর ভেতরের ক্ষোভটাকে।
প্রতি বৃহস্পতিবার সে আমার চুলে তেল দিয়ে দেয়। আমার নেইল পলিশ রিমুভার দিয়ে উঠিয়ে দেয় তখন সে নানা রকম গল্প করে। তার কথায় বুঝতে পারি এই দুনিয়ায় তার একমাত্র ভালোবাসা বা ভালোলাগার ধন তার একমাত্র মেয়ের মেয়ে মানে তার দু বছরের নাতনী। তো একদিন কথায় কথায় বলে ফেললো,
- আমার নাতনী যা সোন্দর কইরে কথা বলে জানেন আফা? ছুড মুখটা দিয়া যেমনে বলে আত্তিতি। খুবই সোন্দর লাগে।
আমি তো সকল নেগাটিভিটির মধ্যে তার এই পজিটিভ কথা শুনে অবাক! আমি বললাম,
- তাই?
সে আরও আগ্রহের সাথে শুরু করলো,
- হ্যাঁ । আমি তাকে কি হিখাইছি জানেন? বলেই তার কি হাসি হি হি হি হি করে হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছিলো। আমি খুবই কৌতুহলী হয়ে উঠলাম,
-কি শিখিয়েছো? বলো না? সে পরম কৌতুকে বললো,
- হিকাইছি, তার দাদীরে দেখলে, চাচীরে দেখলে বলতে- ঐ খাইচ্চুন্নী, খাইচ্চুন্নী..... কিয়ের লাইগা আইসস? কাইজ্জা করতে আইসস?কাইজ্জা করতে আইসস খাইচ্চুন্নী! বলেই তার সে কি হাসি!!!!!!!!
আমি তো অবাক! আমার চক্ষু চড়কগাছ তার কথা শুনে। পরে অনেক ভেবে বুঝেছিলাম তার এই সব নেগাটিভ এটিচুড বা বিহেভিয়ারের কারনগুলো আসলেই কি।

ঘটনা নং ৯- মঞ্জুরা যখন আমার মায়ের পেটের বইন- এত শয়তানী করার পরেও আর মঞ্জুরার এই আজগুবী ক্যারেকটার আর অতি আশ্চর্য্য সকল কান্ডকীর্তী দেখার পরেও মঞ্জুরার প্রতি আমার কোনো রাগ হয় না। বরং আশ্চর্য্য এই ক্যারেকটার আমাদের বাসায় আছে বলেই আমার আনন্দময় জীবনটা আরও মজার মনে হয়। তো আমি ওর জন্য কিনে আনলাম ম্যাজেন্টা কালারের সুতী জামদানী। লোকে বলে আমার পছন্দ দারুন ভালো আর মঞ্জুরা বলনে না !! সে তো কোন ছার! কাজেই শাড়ির সাথে ম্যাচিং কাঁচের চুড়ি,সিটি গোল্ডের বালা, মালা আর দুল আর জুতা আনা হলো তার জন্য। সে সেসব দেখে স্তম্ভিত! জীবনে ভালোবেসে তাকে কেউ কখনও কিছু দেয়নি। অনেক বছর আগে তার বিয়ের দিনে তাকে নাকি তার হ্যাসব্যান্ড দিয়েছিলো তার ভাষায় কাতাম শাড়ি। সে সুখস্মৃতি সে প্রায়ই রোমন্থন করে। তারপরই শুরু হয় তার বেঈমান স্বামীকে নিয়ে অকথ্য গালাগাল। সেই প্রথম জীবনের একখানা কাতান শাড়ি পরবার সৌভাগ্য বেশি দিন টেকেনি তার। বাকী জীবনটা ছেড়া নেতাকানি পরেই কেটেছে। তো সে এই শাড়ী দেখে আর এত কিছু দেখে বিস্মিত হয়ে গেলো। আনন্দে তার চোখে দেখা দিলো আনন্দাশ্রু। সকল শয়তানী ভুলে মঞ্জুরা আমার হাত জড়িয়ে ধরলো।
- আপা আপনে আমার মায়ের পেটের বইন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমি আপনের কতা মনে রাখুম।


ঘটনা নং ১০ - মঞ্জুরা ও ছবি তোলা -এই ঘটনার পর মঞ্জুরা খুব ভালো। হাসিখুশি থাকে। সবসময় যার মাথায় দুরাভিসন্ধি খেলা করে সেই মঞ্জুরা যেন হঠাৎ চেইঞ্জ। কম কথা বলে। ভালো ব্যবহার সবার সাথে। মঞ্জুরার এসব কর্মকান্ডে এবং সেদিনের কথায় আপ্লুত হয়ে রইলাম কিছুদিন। ঈদের দিন বললাম,
-মঞ্জুরা, তুমি শাড়িটা পরো। মালা চুড়ি সব পরে সুন্দর করে চুল আঁচড়ে সুন্দর করে সাজো। তোমাকে একটা ছবি তুলে দেই।
শুনেই মঞ্জুরা আৎকে উঠলো,
- ছবি!!!! কুনো কুত্তার বাচ্চাই আমার ছবি তুলতে হারবো না .......আমার মনে অত অং নাই, আমার এত আউস নাই। হাইজ্জা গুইজ্জা নাং ধরতে যামু? এত শখ নাই্কা। যে কুত্তার বাচ্চা হক হইসে হেই কুত্তার বাচ্চাই তুলুক.....


হায়রে মঞ্জুরা!!!!!!!

এই কারণেই মঞ্জুরার কোনো ছবি দিতে পারলাম না। শুধু কিচেনের ছবিই দিলাম! :(
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
৫৩টি মন্তব্য ৫৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিশ্বাসীকে লজিকের কথা বলার দরকার কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:১৭




হনুমান দেবতা এবং বোরাকে কি লজিক আছে? ধর্ম প্রচারক বলেছেন, বিশ্বাসী বিশ্বাস করেছেন ঘটনা এ পর্যন্ত। তাহলে সবাই অবিশ্বাসী হচ্ছে না কেন? কারণ অবিশ্বাসী বিশ্বাস করার মত কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের শাহেদ জামাল- ৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



শাহেদ জামাল আমার বন্ধু।
খুব ভালো বন্ধু। কাছের বন্ধু। আমরা একসাথেই স্কুল আর কলেজে লেখাপড়া করেছি। ঢাকা শহরে শাহেদের মতো সহজ সরল ভালো ছেলে আর একটা খুজে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫



এটি ব্লগে আমার ২৬০ তম পোস্ট। এবং আজকে আমার ব্লগের মোট হিট ২০০০০০ পূর্ণ হয়েছে। আমি আনন্দিত।এই ছোট ছোট বিষয় গুলো সেলিব্রেট করা হয়তো ছেলে মানুষী। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শয়তান বন্দি থাকলে শয়তানি করে কে?

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:২০



রমজানে নাকি শয়তানকে বেধে রাখা হয়,তাহলে শয়তানি করে কে?

বহুদিন পর পর ব্লগে আসি এটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। বেশ কিছু বয়স্ক, মুরুব্বি, সম বয়সি,অল্প বয়সি একটিভ কিছু ব্লগার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কট বাঙালি

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৪



কদিন পরপরই আমাদের দেশে বয়কটের ঢল নামে । অবশ্য তাতে খুব একটা কাজ হয় না । বাঙালির জোশ বেশি দিন থাকে না । কোন কিছু নিয়েই বাঙালি কখনই একমত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×