মায়া ঃ রায়হান, কিছু বল নাহ ! অনেকক্ষণ ধরে বসে আছি।
দুইজন ই বসে আছে অনেকক্ষন ধরেই। রায়হান অন্য দিকে তাকিয়া আছে । কোন কথাই বলছে না আজ,মনটা অনেক খারাপ।
মায়া ঃ ওই রায়হান,চুপচাপ কতক্ষণ বসে থাকব,ভাল লাগছে না । কিছু একটা বল,ভাল লাগছে না।
রায়হান কথা না বলে হাটা ধরল সোজা রাস্তা ধরে। সেইদিন অনেক ভোর ছিল,কুয়াশা ও ছিল অনেক। মনে হচ্চিল যে,মেঘগুলো যেন পৃথিবিতে নেমে এসেছে। পিছু পিছু দৌড় দিল মায়া.....................
মায়া ঃ ও ই ও ই ,শুন শুন আমার কথা ।আমি দৌড়তে পারছি না । আস্তে হাঁটো
............
রাস্তাই কোনো রিক্সাই ছিল না । দাড়াতে না দাড়াতেই একটা রিক্সা চলে আসল।
রায়হান ঃ এই রিক্সা যাবে ?
রিক্সা ওয়ালা ঃ কোথায় ?
রায়হান রিক্সাই উঠে বলল, জোড়ে টাণ দেন। এবং বাসার সামণে নামলো, কিন্তু টাকা দিলো না। রিক্সাওয়ালা, রায়হানের দিকে তাকিয়েই রইল।
রায়হান কোন কথা না বলে,বাসাই ঢুকে গেল। কলেজ যাবে, প্রস্তুতি দরকার............কিন্তু ইচ্ছে করতেসে না। গোসলে ঢুকেছে হইতবা । কিন্তু গোসল করল না , মুখ ধুয়ে বেরিয়ে এল । বাসার গেট থেকে বেরিয়ে দেখল.........মায়া রিক্সা নিয়ে যাচ্ছে । তাকিয়েও তাকাল না রায়হান । যেন একটা রাগ কাজ করছে। কিসের রাগ? এগুলো রাগ বলে না। অভিমান । রায়হান কলেজে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মায়া হতে পারছে না । কলেজে একসাথে প্রবেশ করল কিন্তু কথা বলছে না । কিন্তু মায়া – রায়হানের সাথে বেশি দিন কথা না বলে থাকতে পারে না । এক সাথে এত দিন কিভাবে সম্ভব না কথা বলে থাকা ?
কত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেছে একসাথে দুজন । কিন্তু আজ ফোনটাও ধরছে না ।
রায়হানঃ প্রথমা, ক্লাস শেসে মায়া যেন থাকে ।।কথা আছে ।
ক্লাস এর পরে দাড়িয়ে আছে দুজন মুখমুখি,কোন কথাই নাই । নাকি বলতে পারছে না ।
রায়হান ঃ কি ব্যাপার কথা বলছিস না কেন ?
আজ মায়া চুপচাপ কোন কথা বলবে না । কিন্তু সে জানে না এর পরিণতি কি হতে পারে । মায়া চোখ থেকে অনবরত পানি বেরিয়া যাচ্ছে ।
রায়হান ঃ কি হল বলবি তো ?
কোন কথা না বলে মায়া রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হল । রায়হান কোন প্রকার কথাই বলল না । চুপচাপ , অন্যান্য দিন অনেক কথা বলে । কিন্তু আজ নয়, কেন ?
রাত টা কেটেই গেল ।
কলেজের শুরুতেই আজ মায়া দাড়িয়ে আছে । কিন্তু রায়হান আসছে না কেন । এতো দেরি করে না ছেলেটা । মায়া অপেক্ষা করেই দিন টা শেষ করে দিল তবুও রায়হান আসল না ।
রায়হান আর আসবে না ।