বিশ্ব ইজতেমার আগে এবং বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার প্রাণঘাতী এ অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে আমরা এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সংবিধানের দেয়া মহান রক্ষাকবচের কথা বিনিতভাবে উল্লেখ করতে চাই-
সংবিধানের আর্টিকেল ৪১-এ স্পষ্টভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা - এর কথা বলা আছে । সেখানে বলা আছে-
আর্টিক্যাল নং - ৪১। (১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে --
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।
(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।
কিন্ত বেগম খালেদা জিয়া আমাদের বিশ্ব ইজতেমায় আসতে এবং ধর্মপালনে চরমভাবে বাধা দিয়েছেন। আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা -এ সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন, ‘ধর্মীয় প্রচারে’-এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন- যা একেবারেই সংবিধান পরিপন্থী।
আইন লঙ্ঘন করা দন্ডনীয় অপরাধ তাই আমরা গভীরভাবে আশা করি রাষ্ট্র ও সরকারের কাছে, আমাদের এ অনুরোধ টুকু শুনবেন এবং সংবিধান লঙ্গনকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আজ যদি এসব ব্যাপারে ছাড় দেয়া হয় তবে অদুর ভবিষ্যতে মসজিদ - এ যাওয়াটাই দুষ্কর হয়ে যাবে...।