বিজেপির সভাপতির কথিত ফোনকল, মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্যের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। পাশাপাশি নেতাদের অনেকে আছেন বিভ্রান্তিতে। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে নতুন করে চাপে পড়েছে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এই প্রতিবেদকের। তাঁরা কেউ উদ্ধৃত হতে রাজি হননি। স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলে, এই দুটি ঘটনায় তাঁরা বিব্রত ও বিভ্রান্ত। তিনি মনে করেন, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বিবৃতিটি ভুয়া। কিন্তু অমিত শাহের ফোনের বিষয়টি খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার করা রহস্যজনক। কথা না হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানোর কথা নয়। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে অমিত শাহর বক্তব্য প্রচার করার পর এখন বিএনপির নেতাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটিও মিথ্যা।
গত বৃহস্পতিবার মারুফ কামাল খান সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, গত বুধবার রাতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ ফোন করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন। পরদিন আওয়ামী লীগ দাবি করে, এ তথ্যটি সঠিক নয়। কিন্তু বিএনপি তাদের দাবিতে অনড় থাকে। পরবর্তীতে কয়েকটি গণমাধ্যম সরাসরি অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ করে। অমিত শাহ জানান, টেলিফোন আলাপের খবরটি মিথ্যা। গত শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানের একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় ওইটি ছিল ভুয়া বিবৃতি।
এর আগে ২০১৩ সালের ৩০ জুন ওয়াশিংটন টাইমস-এ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে ‘দ্য থ্যাঙ্কসলেস রোল ইন সেভিং ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ, করাপশন অ্যান্ড স্টেলিং থ্রেটেন আ ওয়ানস ভাইব্রেন্ট নেশন’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেসময় এটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিএনপি। পরে দলটি দাবি করেছিল ওই লেখাটি খালেদা জিয়ার নয়। ওয়াশিংটন টাইমস অবশ্য দাবি করেছিল লেখাটি খালেদা জিয়ারই।
তথ্য সূত্র - Click This Link