প্রেসক্লাবের রাস্তায় প্রায় দেখা যায় বঙ্গবন্ধু আর প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ ব্যানার ঝুলিয়ে সামনে আমরণ অনশন করে যাচ্ছে একদল শিক্ষক। দাবী একটাই তাদের স্কুল জাতীয়করণ করা হোক। প্রত্যেকে শ্লোগান দেবার আগে পরে সাবধানে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে থাকে। এসব আমলে নিয়ে বেশ কয়েক দফায় জাতীয়করণের সুযোগ পেয়েছে বেশ কিছু স্কুল। কমেডি দেখে অনেকেই এই প্রজেক্ট হাতে নিয়ে অনশন করে যাচ্ছে যে, অামরণ অনশন করলে জাতীয়করণ হওয়া যায়! যদিও পালা করে লুকিয়ে লুকিয়ে খাবার দাবার চলে। আবার বিরোধী পক্ষ এটাকে নিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু বানায়!
তাহলে কি জাতীয়করণ না করা উচিৎ?
না না... মোটেও তা বলছি না। অনেক শিক্ষক আছেন যারা বহু বছর ধরে শিক্ষাদান করেও সরকারি হতে পারেননি। আবার কেউ কেউ মামার বলে শিক্ষক রুপ ধারণ করে ঠাস করে সরকারি শিক্ষক হয়ে গেছে! কষ্ট করছে যে মাক্ষন (মাখন) তাঁরই প্রাপ্য।
স্কুলে শিক্ষাদানের কোয়ালিটি যাদের থাকবে তারাই শুধুমাত্র সরকারি শিক্ষক হবার সুযোগ পাবেন। এজন্য ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন তৈরি আন্দোলনরত শিক্ষকদের পরীরক্ষার সুযোগ দিয়ে জাতীয়করণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দুইবার পরিক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। যিনি ৭০% এর উপরে মার্ক তুলতে পারবে না অবশ্যই তাকে বাদ দিতে হবে। কৌটা বাদ দিতে হবে। তাহলে শুধুমাত্র যোগ্যরা শিক্ষক হবেন অযোগ্যরাই বাদ পড়ব। লজ্জায় হলেও আর আন্দোলন করতে আসবে না।
মেরুদন্ড সোজা করতে চাইলে কৌটা বাদ দিতে হবে। বিভিন্ন স্কুলে নারী শিক্ষকের কোয়ালিটি দেখলে আমার অট্টোহাসি পায়। এইটা কিভাবে শিক্ষক হইছে ভাবতে থাকি। যোগ্য নারীরা তেলবাজি করে না। যোগ্যতাকে জয় করার ক্ষমতা হাজারো নারীর আছে। সুনীতির অভাবে তারা অবহেলিত।