somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:| সামু ব্লগারদের দরজায় আন্টিদের কাছে যে কথাগুলো শুনলাম :| (ইহা একটি কাল্পনিক রিয়েলিটি পোষ্ট) :|

১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বেশ ক' দিন কাজের চাপে ঠিকমতো ব্লগের আসা তো দুরের কথা খাওয়া দাওয়াও করতে পারছি না ... এর মাঝেই কয়েকদিন ধরে দাওয়াত খেতে মন চাইছে , কিন্তু সবাই আমার মতই ব্যাস্ত তাই কেউ দাওয়াত করছে না ... এমন সময় মনে আসলো আরেক চিন্তা ... যদি সামু ব্লগারদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই তো মন্দ হয় না , মনে মনে যাওয়া শুরু করলাম একে একে তাদের বাড়িতে ( বিশেষ কারনে শুধু তাদের বাড়িতেই গেলাম যারা ছদ্দনামে ব্লগিং করেন...) ... অতঃপর যা শুনলাম .... সেগুলো সংক্ষেপে এইরকম --

(সকল আন্টিদের আর টারজান ভাইয়ার কাছ থেকে আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি :| )



==========

নষ্ট মাথার দুষ্টু মেয়ে -- আপির বাসায় গিয়ে বেল দিতেই আন্টি দরজা খুললেন .... খুব সুন্দর করে জিজ্ঞেস করলেন --> কে তুমি ?
আমি বললাম --> আমি অনন্ত, নষ্ট মাথার দুষ্টু আপি আছে ?
উনি কিছউক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে বললেন --> বাসার ঠিকানা ঠিক আছে তো ? বাইরে গিয়ে বাড়ীর নং পড়ে দেখ ঠিক যায়গাতে এসেছ কি না

এর পরে দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সেখানে আর দাওয়াত খাওয়া হলো না :|

==========

জটিল ভাই এর বাসায় গিয়ে বেল দিতেই আন্টি দরজা খুলে বললেন --> কার কাছে এসেছ ?
আমি বললাম--> আমি অনন্ত, জটিল ভাই বাসায় আছে ?
আন্টি বললেন --> এখানে সবাই সরল সহজ মানুষ থাকে, কোন জটিল মানুষ এখানে থাকে না , তোমার কিভাবে মনে হলো এখানে জটিল কেউ থাকতে পারে ?
এর পরে কোন সদুত্তর প্রদান না করার ফলে দাওয়াত খাওয়া ছাড়াই সেখান থেকে নিষ্ক্রানত হতে হলো :|

============

চানাচুরের বাসায় গিয়ে বেল দিতেই আন্টি জিজ্ঞেস করলেন --> কাকে চাই ?
আমি বললাম --> চানাচুর আছে ?
আন্টি কয়েক মুহুর্ত আমার দিকে তাকিয়ে বললেন --> তোমার কি এই বাড়িটা মুদিখানার দোকান মনে হয় ?
আমি হতভম্ব হয়ে বললাম --> না মানে আন্টি আমি আসলে চানাচুর আপি কে খুজছিলাম, আপনি আউলাকে জিজ্ঞেস করেন সে ও আমাকে চিনে
আন্টি এবার আমাকে ভাল করে দেখে বললেন -- ঘটনা কি বলতো, এই বাড়িটা একবার তোমার কাছে চানাচুরের দোকান মনে হয় আবার মনে হয় আউলার বাড়ি... পাগলা গারদ থেকে তুমি কবে ছাড়া পেয়েছ মনে আছে ?

আন্টি এমন কেন বললো, আমি কি আসলেই পাগলা গারদ থেকে এসেছি নাকি ?? .... পাগলা গারদ থেকে কবে ছাড়া পেয়েছি চিন্তা করতে করতে ওখান থেকেও বের হয়ে আসলাম ... ওখানেও দাওয়াত খাওয়া হলো না :|

==============

শয়তান ভাই এর বাসায় গিয়ে বেল দিতেই আন্টি একই প্রশ্ন করলেন --> কে তুমি কার কাছে এসেছ ?
আমি বললাম --> আমি অনন্ত, শয়তান ভাই আছে ?
আন্টি আমার মুখের দিকে কয়েক সেকেন্ড স্হিরভাবে তাকিয়ে বললেন --> আমার সাথে কি ফাজলামি করো ? .... আমার এমন শান্তির ঘরকে কি তোমার জাহান্নাম মনে হয় যে শয়তান এখানে থাকতে যাবে ?
আন্টি হাতে মাইর খাওয়ার আগেই সেখান থেকে পলায়ন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকলো না আমার :|

===============

এর পরে গেলাম কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টির বাসায়.... দরজায় নক করতেই আন্টি খুলে জিজ্ঞেস করলেন --> কে তুমি কার কাছে এসেছ ?
আমি বললাম --> আন্টি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি আছে ?
আন্টি বার কয়েক আমার উপর নীচ পর্যবেক্ষন করে বললেন --> কার কথা বলছো ?
আমি বললাম --> আন্টি কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি
আন্টি এবার আমাকে বললেন --> আমার বাসাটাকে তোমার কি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র বলে মনে হয় নাকি ?
অতঃপর দাওয়াত এর কথা মন থেকে ত্যাগ করে , বিনা মেঘে বজ্রপাতর আগেই সেখান থেকে পলায়ন করলাম ... :|

================

এবার গেলাম উদাসী স্বপ্নের বাসায়, সেখানেও সেইম কাহিনী , আন্টি জিজ্ঞেস করলেন --> কে তুমি কার কাছে এসেছ ?
আমি বললাম --> আমি অনন্ত, উদাসী স্বপ্ন আছে ?
আন্টি বললেন --> বাইরে কি কোন সাইনবোর্ড আছে যেখানে লেখা এখানে স্বপ্ন বিক্রি হয় ?
আমি বললাম --> না :|
আন্টি আবার জিজ্ঞেস করলেন --> আর কোন সাইনবোর্ড আছে যে এটা স্বপ্নের কারখানা ?
আমি বললাম --> না
আন্টি এর পরে আবার বললেন -- তাহলে এখানে উদাসী কেন , অন্য কোন ধরনের স্বপ্ন পাওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে ?
বাকরুদ্ধ আমি বলে দিলাম --> না, নাই :|
আন্টি বললেন -- তাহলে এখন ?
আমি বললাম -- আন্টি আমি যাই :|
অতঃপর সেখান থেকে নিরবে প্রস্হান করলাম ...

=================

এবার গেলাম মমমম১২ এর বাসায় , তার বাসায় গিয়ে বেল দিতেই আন্টি জিজ্ঙেস করলেন -- কে তুমি কাকে চাই ?
আমি বললাম --> আন্টি আমি অনন্ত, মমমম১২ আছে ?
আন্টি আবা জিজ্ঞেস করলেন --> কি নাম ?
আমি বললাম --> মমমম১২
আন্টি বললেন --> মমমম এর পরের অংশ কি বলা যায় না ? এর পরে আবার ১২ এর মানে কি ?
আমি বললাম -- > আমি তো উনাকে এই নামেই চিনি
আন্টি বললেন --> বাবা তোমার শরীর সুস্হ আছে তো ?
আমি বললাম --> জ্বি আন্টি সুস্হ আছে বলেই তো মনে হয় , কেন ?
আন্টি বললেন -- আমার মনে হয় তোমার বাসায় গিয়ে রেষ্ট করা প্রয়োজন
বুঝলাম এখানেও শিকে ছিড়বে না, সুতরাং মানে মানে কেটে পড়ি ... :|

=================

এর পরে গেলাম অন্যরকমের বাসায় , বিমর্ষ মনে ঘরজার টোকা দিতেই আন্টি এসে একই প্রশ্ন করলেন --> তোমার পরিচয় ? কার কাছে এসেছ ?
আমি বললাম --> আন্টি আমি অনন্ত, অন্যরকম আছে ?
আন্টি বললেন --> অন্যরকম কি ?
আমি বললাম --> অন্যরকম ভাই এর কথা বলছি
আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে আন্টি বললেন --> দেখ , তুমি যেই হও আমার বাসায় প্রথম এসেছ এমন কিছু কইরো না যাতে সমাদরের জায়গাতে অন্যরকম কিছু করা লাগে, এবার ঠিক ঠিক বলো তুমি কার কাছে এসেছ ?
আমি আবার বললাম --> আন্টি আমি আসলে অন্যরকম .....
আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আন্টি বকা দিয়ে বললেন --> অন্যরকম বাদে আর কি বলতে চাও বলো ...
বুঝালাম আমার কপাল আজকে বড়ই খারাপ, তাই আর অন্যরকম কিছু না হওয়ার আগেই সেখান থেকে ভাগলাম

==================

এবার গেলাম বড় বিলাই আপুর বাসায়, বেল চাপতেই একজন রাশভারী মানুষ দরজা খুললেন --> জিজ্ঞেস করলেন -- কে তুমি কাকে চাই ?
আমি বললাম --> বড় বিলাই আপি আছেন ?
তিনি বললেন --> কি ?
আমি বললাম --> না মানে আমি বড় বিলাই আপির সাথে দেখা করতে এসেছিলাম
এবার তিনি থমথমে কন্ঠে বললেন --> এখানে আমি আর আমার ওয়াইফ থাকি, এখানে কোন বড় বিলাই নাই, তুমি অন্য কোথাও খুজে দেখ ..
আমি বললাম --> ওয়াও আপনি সেই টারজান ভাইয়া ?
এবার তিনি সত্যিকারে হুংকার দিয়ে বললেন --> তোমার সাহস তো কম না, একবার আমার ওয়াইফ কে বিলাই ডাকো এবার আমাকে টারজান, আজকে তোমার একদিন কি আমার একদিন , কৈ শুনছ আমার বন্দুকটা নিয়ে আস তো ...
বন্দুক হাতে উনার ছুটে আসা দেখে জানের মায়া বড় মায়া বলেই দাওয়াতের কথা ভুলে সেখান থেকে কোনরকমে জান নিয়ে পালাতে পালাতে সেদিনে মত দাওয়াত খাওয়ার প্ল্যান ক্যান্সেল করে বাস্তবে ফেরত আসলাম .....


হয়তবা আবার কোন দিন অন্য কারো বাসায় দাওয়াত খেতে যাবো, আজকের মত এখানেই ক্ষান্ত দেই ...





সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৩৩
৬৪টি মন্তব্য ৬৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×