গত রোজার সময়কার ঘটনা। মা অসুস্থ্য থাকায় আমার ওয়াইফ কে দেশের বাসায় রেখে আসলাম। সে যাবার আগে ফ্রিজ ভর্তি করে খাবার রান্না করে গেছে। বাসায় কাজের লোক নেই। তাই টুকটাক মেয়েলি কাজ নিজ হাতেই করতে হয়।
১০ম রোজা। বিকেলে বাসায় ফিরেছি। ইফতারের কিছু আগের ঘটনা। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করেছি। প্রায় সব গরম করা শেষ। এ সময় ফোন বাজল। ফোনে কথা বলতে বলতে আবার রান্না ঘরে গেলাম। পাতিলের ঝোলের তরকারি আচিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু লুছনি পাচ্ছি না। শেষে উপায় না দেখে চুলা অফ করে দিলাম।
আপনার হয়ত মনে হচ্ছে এটা আর এমন কি? কোথাও হয়ত রেখেছি। প্রথমে আমিও সেটাই ভাবলাম। তারপর সব জায়গা তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম। পেলাম না। এরপর আবার রান্না ঘরে আসলাম।তারপর এক সাইট থেকে এক একটা করে জিনিস সরিয়ে, নামিয়ে, চুলার নিচে, মেঝেতে, বেসিনের পাশে, ময়লা ফেলার ঝুড়িতে, ঢাকুনের নীচে, এমন কি তরকারির পাতিলের ভেতর পড়েছে কিনা তাও চেক করলাম। নাই নাই তো নাই...
শেষে গেলাম মোবাইল রাখার জায়গায়, আমার স্টাডি রুমে, টেবিলে, গেস্ট রুমে, প্রায় সব জায়গায়। শেষে খোজাখুজি বাদ দিলাম।মাগরিবের আযান দিল। ইফতার করলাম।
তারপর আবার সব নোংরা থালাবাসন রান্না ঘরের বেসিনে রেখে আসতে গেলাম। দেখলাম চুলার পাশের ঢাকুনের নীচটা উচা হয়ে আছে। বুঝতেই পারছেন ওটার নীচে পেলাম লুছনি।
এখানে এ্যাবসেন্ট মাইন্ডের কোন প্রশ্নই আসতে পারে না। কারন আমি প্রতিটা ইঞ্চি খুঁজে দেখেছি। কোথাও ওটা ছিল না।
২য় ঘটনা:
এটা গত ঈদের পরের। রাতের বেলা ডিনার শেষে আমরা দুজনে ছাদে হাটাহাটি করি। বেশ ভাল লাগে। কখনও রাত বারটা , সাড়ে বারটা বেজে যায়, বুজতেই পারি না। আমাদের বাসাটার পূর্বদিকে অনেক বড় পুকুর। দক্ষিণ দিকে পাঁচ ছয় বাসা পরে নদী। এই এলাকায় বাসা মোটামুটি খুব কম। ছাদ থেকে চার পাশটা দেখা যায়। মাথার উপর খোলা আকাশ। মাঝে মাঝে বাতাসের ঝাপটা। সব মিলিয়ে ঐ হাটাহাটির সময়টা অপূর্ব।
যা হোক। হটাৎ করেই পুকুরের সাইডে গোল বল আকৃতির কিছু একটা খুব দ্রুত নড়তে দেখলাম। আমরা ছিলাম তিন তলার ছাদে। আর জিনিস টা দেখলাম ১০ তলার মত উচ্চতায়। প্রথমে ভাবেছি যে, ওটা হয়ত উল্কা বা তারা খসে পড়ার ঘটনা। কারন আগুনের কালারের বলটা ওপর থেকে এঙ্গেল হয়ে একটু ছু্টেই ভ্যানিস হয়ে গেল। কিন্তু ২য় বার আবার দেখলাম। কিন্তু লক্ষ্য করলাম, ওটা স্ট্রেইট হয়ে চলছে না, বরং এলোমেলো। একটু ডানে, একটু নিচে, তারপর একটু বামে , এরকম করতে করতে ভ্যানিস। ব্যাপারটা হয়ত ১ বা ২ সেকেন্ডের।
এটা দেখার পর আমি চুপ করে আছি। ও বলল তুমি কি ওটা দেখলা? আমি বললাম, তারা খসে পড়া? ও আমাকে যেটা বলল, ওটা তারা না, শয়তান বা খারাপ কিছু আমাদের দর্শন দিচ্ছে। আমরা ওদের নজরে পড়েছি। চল রুমে যাই। তারপর কথা না বাড়িয়ে রুমে ফিরে আসলাম।
এই ছিল সেদিনের ঘটনা।
আরও ঘটনা জানব পরের পর্বে । সবাই ভাল থাকুন।
আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




