স্কুল লেভেলের যে কোন ছাত্রই ১৮ বছরের নিচে। তাদের গায়ে লাঠি পেটা, বুট দিয়ে লাথি মারা, হাত পা ভেঙ্গে দেয়া ... এসবের সাহস / অধিকার এই সবুজ পোশাকের সরকারী লোকগুলো পায় কোথায়? কার নির্দেশে এসব করা হল? কেন করবে?
# আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অধিকার কারও নেই
# শাস্তি দেবার অধিকার পুলিশের নেই
# শিশু নির্যাতন বা শান্তিপূর্ন আন্দোলনে লাঠি চার্জ করার আইনী অধিকার পুলিশের নেই
# অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের ফিরিয়ে দেবার অধিকার নেই, সেটা যে কোন উপায়েই হোক
পুলিশরা একবারও ভাবলো না, যে সে যেভাবে ছাত্রদের পিটাচ্ছে তার সন্তানকেও অন্য পুলিশ হয়ত পেটাচ্ছে? আমি সাধারন মানুষ। আমি আমার দেশের আইন কে সম্মান করি। আমি শিশু শিক্ষার্থীদের পুলিশী নির্যাতনের বিচার চাই... অন্য ভাইদের বলছি, আজ আপনার শিশু মার খেয়ে জুরুরী ইউনিটে ভর্তি হয়নি, কাল এই পুলিশদের নির্যাতনে আপনার সন্তান/ভাই বোন যন্ত্রনায় কাতরাবে না তার নিশ্চয়তা কি?
৫ জন ছাত্র ছাত্রী মারা গেল, ৯ জনের হাত পা ভাঙল, প্রায় ১৫০ জন লাঠি চার্জে হসপিটালাইজড হল, তারপরেও সব মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীরা চুপ? এটা তো জাতীয় সংসদের অধিবেশনের টপিকস হওয়া উচিত। সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে দু:খ প্রকাশ করা উচিত। সেখানে মন্ত্রী শাহজাহান শুধু বলছেন, তার ৩২ পাটি দাঁত বের করে সংবাদ সংমেলন করা নাকি অনাকাঙ্খিত। মন্ত্রী ওবাদুল কাদের বলছেন, ছাত্ররা শান্ত হও। সুবিচার পেলে তো, মুখ দিয়ে বলতে হবে না / কাউকে আহ্বান করতে হবে না যে তোমরা শান্ত হও। সোজা কথা...
আমার মতে শুধু ভোটে জিতলেই হবে না। বাধ্যতামূলকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন কি না সেটাও মেডিকেল টেস্ট করা উচিত। তবেই সে সাংসদ হতে পারবে।
সবশেষে এটাই বলতে চাই, শিশুদের পুলিশী নির্যাতনের বিচার হোক...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৩০