যে সরকার ডিমের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারে না, সে কিনা জ্বালানী তেলের একছত্র নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দিল বেসরকারী কম্পানির হাতে। জ্বালানী মন্ত্রি বলেছেন, "বেসরকারী কম্পানির হাতে জ্বালানী সেক্টর ছেড়ে দিলে প্রতিযোগিতা থাকবে দাম কম রাখার। জনগন উপকৃত হবে।"
আহা ! কি সুন্দর ভবীষ্যৎ বানী। আজ ভাল ঘুম হবে আমার...
কখনও শুনছেন? বাংলাদেশের পন্যের দাম কখনও কোন প্রতিযোগিতায় কম হয়েছে? বরং কে কত বেশি দামে মার্কেট ধরে রাখবে সেটার প্রতিযোগিতা হয়, তেলের উপরও তাই হবে। ১১৯টাকার খেজুর রোজার মাষে ১২০০টাকায় বিক্রি হয়। দেড় টাকা কেজির লবন পলিপ্যাকে গিয়ে হয় ৪০টাকা। নুন দিয়ে পান্তা পয়লা বৈশাখেই খেতে হবে এখন থেকে... কোলকাতায় বড় ইলিশ বিক্রি হয় ৩৮০ রুপি/কেজিতে, সোনার বাংলায় ১৮০০টাকা/কেজিতে।
মালেশিয়ায় আজকে প্রিমিয়াম গ্রেডের পেট্রল পার লিটার ৫২টাকা প্রায়, যেখানে বাংলাদেশে কিনতে হচ্ছে ১৩০টাকায়। তাও সেটা RON95 হলে কথা ছিল। এদিকে পারমানবিক ফুয়েল রুপ পুরে পৌঁছে গেছে। চেরনোবিলের মত আর একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তার জন্যে কোন পক্ষই দায়ী থাকবে না। জনগন কোন ক্ষতিপূরন পাবে না। সে কথা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দেশে থাকাটা খুব কষ্টকর হয়ে গেল।
এদিকে ৫২ টাকা হালির ডিম আর কয়েক দিনের ভেতর ইতিহাস হয়ে যাবে... কিটো ডায়েট ছাড়া আর টেকা সম্ভব হবে না মনে হয়। তার উপর নতুন বঙ্গমাতার ঘোষনা আসতেছে... কারে রাইখা কারে মা ডাকুম চিন্তাই আছি...
পাগল হয়ে যাব মনে হয়। দেশ ছাড়া লাগবে। দম বন্ধ হয়ে আসতেছে। আর উপায় নাই।
পোটলা পাটলি বাধা শুরু করলাম... দোয়া রাইখেন সবাই...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩৬