
বাংলাদেশের পাহাড়িদের কিছু অংশের হাতে প্রচুর টাকা, ক্ষমতা আর অস্ত্র। বেশির ভাগই এখনও সাধারন মানুষ এবং শান্তি প্রিয়। কিন্তু দিনে দিনে তাদের আচরনগত পরিবর্তন ঘটছে। কারন সমতলের মানুষদের সংষ্পর্শ, দুষ্ট শ্রেণীর মানুষদের জঙ্গলে আশ্রয়, রাজনৈতিক নীপিড়ন, সুশাষনের ব্যবস্থা না করা।
আমরা যারা ট্যুরিস্ট, তারা পাহাড়িদের হাতে কাঁচা টাকা তুলে দিচ্ছি। টাকা ক্ষমতা বাড়ায়, সক্ষমতা বাড়ায়। তার ওপর পাহাড়িরা জুম চাষের পরিবর্তে আধুনিক কৃষি পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রচুর ফল ও ফসল উৎপাদন করছে যেগুলো প্রচুর বাজার মূল্য আছে। পরিমান কম হলেও সেগুলো দাম বেশি। যেটাও কাঁচা টাকার উৎস।
এই কিছু সংখ্যক পাহাড়ির স্বচ্ছল জীবন যাপনে সাধারনের একটা অংশের দৃষ্টি পড়ে তারাও টাকা উপার্জনের মোহে পড়ে। ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খেতে, কেউ কেউ দুষ্ট চক্রে ঢুকে পড়ছে। যারা ঢুকছে তারা আর বের হতে পারছে না, পারবে না।
১. সরকারের দেখা উচিত পাহাড়িদের (আদিবাসি / উপজাতি) মধ্যে যেন অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরী না হয়।
২. দাতব্য সংস্থা বা এনজিও গুলোর কার্য্যকলাম সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন আর জবাদিহিতার ভেতরে রাখা।
৩. শিক্ষিত এবং মার্জিত জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে স্কুলের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
৪. পাহাড়ীদের উপর সরকারের নজরদারীর দুর্বলতা হল: সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেটওয়ার্কিং এবং সীমান্ত বেড়া। যেগুলো অগ্রাধিকারবলে দূর করতে হবে।
৫. পাহাড়ীদের তাদের সমাজ সংস্কৃতি লালনে বাধা প্রদান, উসকানীর মত হতে পারে। সমতলের মানুষদের জোড় পূর্বক/ টেকিনিক্যালি পুশ করা ঠিক হবে না।
৬.পাহাড় এবং পাহাড়িরা দেশের সম্পদ আবার কন্টক। তাদের দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অবশ্যই অরাজাগতা সৃষ্টি করবে। তারা যেন একটা ব্যালেন্স এবং কন্ট্রোলড ইকোনমির ভেতর থাকে, সে উ্দ্যোগ সরকারের নেয়া দরকার। নয়ত তারা অর্থের অপব্যাবহার করবে। অস্ত্র কিনবে, জঙ্গিদের মদদ দেবে, অসাধু ব্যবসা করবে।
৭.পাহাড়িরা একই সঙ্গে পরিশ্রমী, সৎ, শান্তিপ্রিয় কিন্তু উগ্র। ব্যাপারগুলো মাথায় রাখা দরকার। আইনের শাষন সেখানে এখনি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কিন্তু সুবিচার না পেলেও তাদের একটা অংশ প্রতিশোধের আগুনে বিপথগামী হবে। দুষ্টচক্র সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। কাকে কখন দলে ভেড়ানো যায় সে চেষ্টায় থাকে।
৮. দেশের ৩১টি সেনানিবাসের মধ্যে মাত্র ৬টি চট্রগাম বিভাগের অধীনে। ময়মনসিংহ এবং পার্বত্য চট্রগামে আরও কিছু সেনানিবাস গড়া, বিজিবি + পুলিশ+আনসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা উচিত। সামরিক বাহিনীর যথেষ্ট উপস্থিতি বসবাসকারীদের মন এবং কার্যকলাম স্থির রাখবে।
৯. পাহাড়ি এলাকায় ফসলের জন্যে কিছু কোল্ড স্টোরেজ গড়া দরকার, যা শুধু সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত হবে। তাহলে পাহাড়ি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আন্তরিকতা এবং অর্থপূর্ন যোগাযোগ রক্ষা সহজ হবে। তাদের ফসলের নায্য মূল্য নিশ্চিত হবে। নিপিড়ন বা অর্থ সংকটে বিপথগামীতার হার কমবে। তবে আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে সন্ত্রাসী/জঙ্গী বাহিনীর চাঁদাবাজিও বাড়তে পারে।
১০. সম্প্রতি মানুষের গোশত খাওয়া নিয়ে পাহাড়িদের অনেক কিছু বলা হচ্ছে। ওটা একটা জঘন্যকাজ সেটা পাহাড়িরা নিজেরাও জানে এবং মানে। তাদের তাচ্ছিল্য বা কটু কথা না বলে, সেই মানসিক ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে বাঙ্গালি ভাই বোনদের সহায়তা করা উচিত। ট্রাভেলারদের উচিত বেড়াতে গিয়ে এমন কোন কথা না বলা বা আচরন না করা, যাতে তারা মানুষের মাংস খাওয়া নিয়ে যে সামাজিক/মানসিক ক্ষত তৈরী হয়েছে, সেটা বর্ধিত না হয়।

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



