অভিনেত্রীদের শরীরের খোলা শহর সকল দর্শকদের জন্যে, আর ঢাকা শহর 'উনাদের' জন্যে। তেনাদের সাথে উনাদের বনিবনা না হলে, তখন সেটা কাস্টিং কাউচ। অত:পর কেউ অন্তরালে চলে যায়, কেউ সময়ের সমান্তরালে ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়।
রাজনীতিও একই তালের ক্ষমতার নগ্ন নৃত্ব্য। যেটুকু দেখা যায়, সেটুকু আমজনতার জন্যে, যা অগোচরে চলে, তা শুধু বুদ্ধিজীবী বা কূটনীতিক পর্যন্ত এসে ইতিহাস হয়ে যায়। দর্শক বা আমজনতার আবেগ আমতা আমতা করতে করতেই মরা বিবেগ নিয়ে সময়ের গহীনে হারিয়ে যায়।
একবিংশ শতাব্দির শুরু থেকে রাজনীতির স্লো পয়জনে শিক্ষাব্যবস্থা আর শিক্ষার মানের যে স্পষ্ট অপমৃত্যু হয়েছে, তার সাইড ইফেক্ট সম্ভবত: জেনারেশান জেড এর কিছু সমসাময়িক নয় ছয় কার্যকলাপ, যা নির্বোধ/মোটা বুদ্ধি/ হুজুগে জিকির/ মনুষত্ব্যহীন/ শিক্ষার অন্ত:সার শূন্য অবস্থার প্রমান দিয়েছে।
কি ভাঙতে হবে, কি গড়তে হবে, কি নিয়ে এগুতে হবে, কোন পথে পথিক হওয়া চলবে না, সার্বভৌমত্ব কি, পতাকার পরিচয় কি, এগুলো দু-চার জনের জ্বালাময়ী নেত্রীত্বে শিক্ষিত সমাজে তৈরী হয় না। শুরুটা হয় পরিবার থেকে, বীদ্যাপীঠ থেকে, সমাজ ব্যবস্থা থেকে, অন্তরের অন্তস্হলের ভালবাসা থেকে তীলে তীলে। বহি:প্রকাশ ঘটে সুস্থ্যমস্তিষ্কের বিবেগ বিবেচনায় কাজে কর্মে।
জেনারেশান জেড আর তাদের বাহবা দেয়া মুরব্বিদের মধ্যে সম্ভবত: অনেক সাইড ইফেক্ট মনে মস্তিস্কে গেঁথে আছে। প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা-লালসা কখনও একটা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠার শেষ প্যারা হতে পারে না। সেরকম হলে, হয় সেখানে চলমান কিছু থাকবে, না হয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
আমাদের দেশটা ১৯২টা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ না হোক, ১০০ টা দেশের জন্যে অনন্য অসাধারণ ভাল দৃষ্টান্ত হোক। পতাকায় যে ধুলো জমেছিল, ধুয়ে্ মুছে পরিষ্কার হোক। ফড়ফড় করে খোলা বাতাসে গর্বের সাথে উড়ুক। আশায় থাকলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৯