somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার মটর-সাইকেল ট্যুরের সময় ভূতুরে অভিজ্ঞতা

১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসলে জীবনে অল্প বিস্তর প্যারানরমাল ঘটনা আমার সাথে ঘটেছে। আজ সে সবের মধ্যে আজ শুধু বাইক রিলেটেড ব্যাপারগুলোই তুলে ধরব।



ঘটনা ১. শুরুতেই বলি, আমি একজন স্লো বাইক রাইডার। ২০১১ থেকে আমার দূর দূরান্তের রাইডিং শুরু। ৪৬টা ডিস্ট্রিকে আমি বাইক ট্যুর দিয়েছি। আমি সিলেট ছিলাম চাকরির সূত্রে। বাধ্য হয়ে , কখনও বা সখের বসে সিলেট থেকে স্বস্ত্রীক সারাদেশ ঘুরে বেরিয়েছি। বহুবার গেছি সিলেট থেকে নিজের শহরে। বাবার বাসায় গেলে ৪৫০ কিমি আর শ্বশুর বাড়ি গেলে ৬৪৫কিমি দূরত্ব হয়।

সেবার ২০১৪ তে সিলেট থেকে বগুড়া যাব। সকাল সকাল বের হয়ে ব্রেক দিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। বাইকের স্পিড ৬০-৭০্ এর ভেতরেই রাখি। কারন আমাকে বহু দূর যেতে হবে। ইঞ্জিনের উপর প্রেশার দিতে চাই না, নিজের উপরও না। আমার জাপানিজ কোন বাইক না , তাই অতটা ভরসা করাও যায় না। তাছাড়া আমাদের দুজনের সাথে সবসময় ৩টা ব্যাগও থাকত। মোটামুটি ভালই লোড হয়। তার ওপর দেশের রাস্তাঘাটের যে 'অবস্থা ! কোথায় কখন স্পীড ব্রেকার, খানা খন্দ ঠিক নেই।

তো সব ঠিক ঠাক। দুজনে ইনজয় করতে করতে যাচ্ছি। অঘটন ঘটল টাঙ্গাইলে। তখন দুপুর ৩ টা সাড়ে ৩ টার মত। পশ্চিম আকাশের রোদ অনেকটাই হেলে গেছে। গরমের দিন। ঝকঝকে আকাশ, দারুন রাস্তা। রাস্তাও মোটামুটি ফাঁকা। অনেকেই হয়ত মনে করতে পারবে, সে সময় যমুনা সেতুর পূর্ব আর পশ্চিম তীরের ২০ কিমি করে উভয় পাশের রাস্তা খুবই ভাল ছিল। অবশ্য এখনও ভাল। আমার অভ্যাস হল, বাইক রাইডের সময় রাস্তার উপরেই চোখ রাখা, আর একটু পর পর লুকিং গ্লাস দেখা।

রানিং অবস্থায় হঠাৎ করেই সামনের চাকা লাফ দিয়ে উঠল। পরতে পরতে বাইক কন্ট্রোল করে সাইড করলাম। মনে হল যেন, কোন ইটের উপর সামনের চাকা তুলে দিয়েছি। পেছনে তাকিয়ে যতদূর চোখ যায়, দেখলাম কোন ইট পাথর কিছুই নেই, যেখানে ঘটনাটা ঘটল। এমনকি অনেক সময় রাস্তায় সিস্ট থাকে বা পিচ-পাথর উঁচু নিচু হয়ে থাকে, মানে রাস্তার কার্পেটিং করা অংশ ভারি যান বাহনের কারনে উচু হয়ে থাকে। তেমন কিছুও নেই। তাহলে হলটা কি? যাই হোক, দোয়া দুরুদ পড়ে আবার রওনা দিলাম। ৫ মিনিটের মত চালিয়ে সামনে গিয়ে দেখি লোকজন জটলা হয়ে আছে। একজন বাইকার একটু আগেই নাকি এক্সিডেন্ট করেছে একদম ফাকা রাস্তায়। ওনাকে বসিয়ে মাথায় পানি ঢালা হচ্ছে। লোকটি মেডিকেল রিপরিজেনটেটিভ। মানে হল, ওনার আশপাশের রাস্তা সম্বন্ধে ভাল জানাশোনা আছে। তবুও ফাকা রাস্তায় তিনি পড়ে গেছেন। যমুনা ব্রীজ পাড় হয়ে কড্ডার মোড়ের কাছাকাছি। আবারও একটা এক্সিডেন্ট দেখলাম। একটা বাইকারের ডেড বডি দুই টুকরা। তখনও রাস্তায় পড়ে থাকা রক্ত জমাট বাধেনি। গা মাথা গুলিয়ে উঠল। মনে মনে হিসেব করলাম, আমি যে মুহূর্তে পরতে পরতে বাঁচলাম, একই সময় ঐ দুটো এক্সিডেন্ট হয়েছে এবং ৩ টাই বাইক রিলেটেড। coincidence হতে পারে। যাইহোক, ডেড বডিটার কথা মনে হচ্ছিল বারবার। আর absent mind হয়ে পড়ছিলাম। এটাও ভাবছিলাম, সামনের চাকার নিচে যদি ইট পড়বে, তাহলে পেছনের চাকার নিচে সেটা পড়ল না কেন? এলাইনমেন্ট তো দুই চাকার একই ...


ঘটনা ২: আমার স্ত্রী বায়না ধরল ড্রিম হলিডে পার্ক দেখতে যাবে, যেটা কিনা নরসিংদিতে চালু হয়েছে, ২০১৪-২০১৫ র দিকে হবে। আমি বলছিলাম, অতদূর না গিয়ে সিলেটেই অনেক জায়গা আছে, ইকো পার্ক, জাকারিয়া সিটি এসবে যাই। ওর কথা হল, "এসব দেখা হয়ে গেছে। নরসিংদিতেই যাব"। তখন বর্ষাকাল। দিনটা ছিল শুক্রবার। সকালের নাস্তা পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে সেরে দুজনে রওনা দেই।

খুব জোড়ে বৃষ্টি হলে আমি রাস্তার পাশে কোথাও সুবিধাজনক স্থানে বাইক পার্ক করি। কারন ঝুম বৃষ্টিতে রেইন কোট কমফোর্ট দেয় না। এভাবে যেতে যেতে দুপুর ৩টা। অবশ্য এর ভেতরে লাঞ্চ করেছি। তারপর হলিডেপার্ক ঘোরা শেষ করলাম। বৃষ্টিও নেই, গরম নেই, সুন্দর আবহাওয়া। ৫টার দিকে রওনা দেই সিলেটের দিকে। হবিগঞ্জে ঢুকে আবারও বৃষ্টি পেলাম।রেইন কোট ছিল। কিন্তু ঝুম বৃষ্টি হলে, থামি আবার চালাই। আবার থামি। আবার ধীরে ধীরে চালাই। এমন হতে হতে তখন রাত প্রায় ৭টা।

মেঘলা আকাশ। ঘুট ঘুটে অন্ধকার। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। রাস্তায় বাস ট্রাক আছে অ্ল্প বিস্তর। সামনে একটা ব্রিজ পেলাম। আগেই বলেছি আমি নরমালি ৬০-৭০ এ চালাই। রাত হলে গতি আরও কম থাকে। ব্রীজে উঠেই দেখি একটা পাগল টাইপের লোক ব্রীজের রেলিঙের উপর বসে আছে। তখন বৃষ্টি নেই। তার দিক থেকে সামনে চোখ ফেরাতেই মনে হল একটু সমানেই কোন মানুষ বা গাড়ি। ধাক্কা খেতে পারি। সেজন্যে কোন চিন্তা না করেই হার্ড ব্রেক করলাম। ব্রীজের ওপর এক পিকাআপ ভ্যান পরিমান বালি আর পাথর ঢিবি করে রাখা। তার ভেতরে চালিয়ে দেই। হয়ত ব্রিজ মেরামতের কাজ হচ্ছিল। তাই বালুর ঢিবি। সামনে যে মানুষ বা গাড়ি কিছু একটা মনে হয়েছিল, বাইক থামার পর দেখি কিছু নেই সামনে। হাত পা কাপছিল। যদিও কোন ক্ষতি হয়নি বালি থাকাতে। পেছনে তাকিয়ে দেখি সেই পাগল টাইপের লোকটাও নেই। এক মাইক্রোবাস আমাদের দেখে স্লো করল। কিছু হয়নি বুঝতে পেরে চলে গেল। পুরো রাস্তা মনের ভেতর খুত খুত করল। ব্রীজের শেষ মাথায় কেন বালি আর নুরি পাথরের স্তুুপ ছিল। আর সেই পাগলটাই বা কৈ গেল, আমি সামনে কী বা দেখলাম? মাঝে মাঝেই এই প্রশ্নগুলো অন্যমনস্ক করে দিচ্ছিল।

বাসায় ফিরে স্ত্রীকে জিঞ্জেস করালাম, ব্রীজের উপর তুমি কিছু দেখছো? সে বলল, "একটা লোক আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসতেছিল। রেলিং এর উপর বসা। পাগল টাইপের। বাইক থেকে নেমে আর দেখিনি। কিন্তু তুমি অত জোরে ব্রেক করলা কেন? সামনের লোকটাকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারতা।"
আমি বললাম, সামনে মানুষ ছিল ওখানে?
#সে বলল, "সাদা টাইপের ফুল শার্ট পরা। কিন্তু লোকটা কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা ঝোপের ভেতরে ঢুকে গেল। অন্ধকারে দেখতেছিল কিভাবে? "
এখানে একটু ক্লিয়ার করি, ব্রীজের শেষ মাথায় কিছু আগাছা বা ছোট ঘন গাছপালা ছিল, বুক সমান উঁচু। নীচে খাল, তারপর কৃষি জমি। কিন্তু জায়গাটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। লোকটা নাকি ঝোপের ভেতর দিয়ে নীচে নেমে গেছে।

বললাম: কেমন দেখতে?
# ও বলল: "অত খেয়াল করিনি। শুধু শার্টটাই দেখছি। শার্ট দেখে মনে হইছে ওটা মানুষ।"

এই কথা শেষ হতে না হতেই দেখলাম, ওর হাতের লোম খাড়া হয়ে উঠল। বললাম, কি হইছে?
ও যা বলল কিছুটা হলেও ভয়ের, বলল: "মনে হচ্ছে লোকটার মাথা মুখ হাত পা কিছুই দেখিনি। শুধু ফুল হাতা সাদা মত শার্ট টা দেখছি..."

বুঝতে পারলাম, There was something wrong.



ঘটনা ৩: সেবার আমরা প্রথমবার জকিগঞ্জ যাই। কেন যেন সে সময় এক সঙ্গে অনেক কালভার্ট বা ছোট ব্রীজ তৈরী করা হচ্ছিল । যতদূর মনে পড়ে একসাথে ১৩ টা কালভার্টের কাজ হচ্ছিল । কোন কোনটার কাজ শেষ, আবার কোন কোনটা নির্মানাধীন। কোথাও সর্তকবানী দেয়া আছে, বামে মোড় বা ডানে মোড়। কোথাও কিছুই লেখা নেই। কোন সতর্কবানী নেই।

যাইহোক মাঝে মাঝে গুগল ম্যাপ দেখে দখে এগুচ্ছি। তখন শীতকাল। বিকাল ৪টার দিকের ঘটনা। একটা নির্মানাধীন ছোট ব্রীজ বা কালভার্ট, যাই বলি না কেন, বামে মাটি ফেলে রাস্তা করা হয়েছে, সেদিক দিয়ে গিয়ে ওপরে পাকা রাস্তায় উঠলাম। ১ মিনিট পড়েই একটা টেনিস বল, আমার রানিং বাইকের সামনে দিয়ে রাস্তার বাম পাশ থেকে এসে, একটা ড্রপ দিয়ে ডান পাশে চলে গেল। অনেক ছেলেপুলে মাঠে ক্রিকেট খেললে যেমন চেচামেচি হয়, সেটাও শুনলাম। আপাত দৃষ্টিতে খুবই সিম্পল ব্যাপার।

কিন্তু মনে ধাক্কা লাগল, কারন রাস্তার দুপাশে দিগন্ত জুরে ফাকা মাঠ, কিছু ধানী জমি, আর কিছু গরু ছাগল। কোন মানুষজন কিচ্ছু নেই। যদি কোন রাখাল বালক থাকত, ধরে নিতাম সেই বলটা ছুড়ে মেরেছে। কিচ্ছু না, কোথাও কেউ নেই। অন্তত দৃষ্টি সীমার ভেতরে। দূরে সবুজ গাছের সারি আর ছোপ ছোপ সাদা মেঘ, হালকা কুয়াশায় ঘোলা ঘোলা ভা্ব, অনেকটা রং তুলিতে আঁকা কোন ছবির মত। সে মুহূর্তে আমি বলের ব্যাপারটা চেপে গেলাম।

পরে জকিগঞ্জ পুলিশ স্টেশন বাজারে মিষ্টি খেয়ে, নাস্তা করে আশপাশ দেখে মাগরিবের পরপর রওনা দেই। যেহেতু একটাই রাস্তা, ভুল হবার কারন নেই। সে রাতে যেমন ঠান্ডা তেমনি কুয়াশা। বাইকের আলোয় ২০ হাত সামনের কিছু দেখা যায় না। হঠাৎ কুয়াশা একটু কম হওয়াতে গতি বাড়িয়ে দেই। এমন সময় বিকেলের কথা মনে পড়ল। কারন আমি বুঝতে পারলাম, আমরা এখন সেই জায়গাতেই আছি।

এ কথা ভাবতে ভাবতে সামনে যাস্ট বুঝলাম ব্রীজ টা ভাঙ্গা, আমাকে ডানে নামতে হবে। ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। হার্ড ব্রেক করেছি কিন্তু টায়ার গ্রিপ পাচ্ছে না রাস্তায় বালির আস্তরন থাকাতে। আর কয়েক হাত তাহলে আমরা বাইক সহ ব্রীজের নিচে পড়ে যাব। আমি ডান পাশে বালির ঢিবি মত মনে হতেই বাইকটা সেদিকে কাত করে নেবার চেষ্টা করি। আমরা দুজনেই বাইক সহ বালির স্তুপে পড়ে যাই। আমার ডান পা বাইকের নিচে চাপা পরে। বের হতে পাচ্ছিলাম না।

তখন যা দেখলাম, সেটা আজও ভুলতে পারি না। ব্রীজের কিছু অতিরিক্ত লম্বা রড আমার দিকে মানে রাস্তা বরাবর ভাজ করা। আর কিছু খাড়া করে রাখা। একটা রড আমার বুক থেকে ফুট খানেক দুরে। মানে বাইকের মিটার পর্যন্ত এসেছে রড়ের শেষ মাথা। বুঝতে পারলাম আল্লাহ নিজ হাতে বাঁচিয়ে দিলেন। কারন সোজা চালিয়ে গেলে ব্রীজের নেচে না পড়ে রডের ভেতরে গেথে মারা যেতাম। মনে মনে শুকরিয়া আদায় করলাম। তখনও আমি বালিতে শুয়ে আছি। আমার স্ত্রী মেয়েলি স্টাইলে দুপা বামপাশে দিয়ে বাইকে বসে। বাইক পড়েছে ডান কাত হয়ে। তাই সে এর ভেতরে উঠে নিজেকে সামলে নিয়েছে। আমার বাইক সরাতে চেষ্টা করছে। আমি তখনও ধান্দা মেরে আছি।

এসবের মধ্যে ব্রীজের অন্য পাশ থেকে এক বাইকে, দুজন বয়স্ক লোক আসল। আমাদের কাছে এসে উঠতে সাহায্য করল। ওনারা বললেন লোকাল একটা ছেলেও দুদিন আগে এখানে এক্সিডেন্ট করেছে। আমাকে তাদের বাসায় যেতে বললেন। বাসা নাকি কাছেই। যেহেতু আমরা তেমন আহত হয়নি, তাই একরকম জোর করে, ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম।

প্রশ্ন হল, কেন একই জায়গায় দুটো ঘটনা ঘটল। স্ত্রী কে বাসায় ফিরে জিঞ্জেস করলাম, "যেখানে আমরা রাতের বেলায় এক্সিডেন্ট করলাম, সেখানে বিকেলে যাবার সময় সে কোন সবুজ টেনিসবল দেখেছে কি না। মানুষ জনের কোন চেচামেচি শুনছে কিনা ?

ওর উত্তর ছিল: " কৈ ? বল টল দেখিনি তো... ওখানে খেলার মাঠ কই?".

এখন কথা হল, শুধু আমার সাথেই কেন এমন হল? সেই একই জায়গায় দুটো ঘটনা কেন ঘটল? আল্লাহ সহায় বলে সে যাত্রায় মরতে মরতে বাঁচলাম।



ঘটনা ৪: সময়টা ২০১৮ র জানুয়ারী মাস। সেবার সিলেট থেকে কুমিল্লা হয়ে খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে যাই। আমাদের দুজনের সাথে কুমিল্লায় যোগ দেয় ঢাকা থেকে আসা আরও দুজন বাইকারস। সব ঠিকঠাক ছিল, বিপত্তি বাধল ফেরার পথে। ঢাকার ওরা নাইট রাইড করবে। কিন্তু মেয়েলোক থাকায় আমি রাজি হই না। আমি খাগড়াছড়ি শহরে সেই রাত হোটেলে থেকে যাই। পরের দিন নাস্তা করে বাইকের চাকায় হাওয়া দিয়ে রওনা দিতে দিতে সকাল ৯টা। তখনও খুব কুয়াশা। স্লো রাইডার হলে যা হয় আর কি। সকাল গড়িয়ে বিকেল। তখন সবে কুমিল্লা। লাঞ্চ করে আবার রওনা দেই। যেহেতু কুমিল্লা বি-বাড়িয়া সিলেট রোড খুবই ভাঙ্গাচুড়া তাই নারায়নগঞ্জ-নরসিংদি হয়ে ফেরার প্লান। এই রুটে গুগোল ম্যাপ অনুযায়ী দূরত্ব অনেকটা বেশি। কিন্তু ভাঙ্গা রোডে গেলে একই সময় লাগার কথা।

কপাল খারাপ। কাঁচপুর ব্রিজের কিছু আগে মটরসাইকেলের পেছনের চাকার বিয়ারিং ভেঙ্গে গেল। তখন সন্ধ্যা ৬টা। বাইকের মেকার খুঁজে , বিয়ারিং পাল্টিয়ে ৯ টার পর আবার যা্ত্রা শুরু। আমার মিসেস কে বললাম, অনেক রাত হইছে, ঢাকা্য় চলে যাই। সে রাজি না। সিলেটেই যাবে। আমাকে বলল, "অনেকেই তো নাইটে বাইক চালায়। আমরা আজকে যাই, কি হবে গেলে ?"

আমি বললাম, তুমি যাদের দেখ ওরা ব্লগার, ওদের পুলিশ প্রোটেকশান থাকে, ১০-১২ জনের টিম থাকে, ওরা বেশির ভাগই ভিআইপি বাবার সন্তান। ওদের কিছু হয় না। আমরা তো ম্যানগো পিপল। তার ওপর দু জন মাত্র। যাইহোক ছোট খাটো ঝগড়া হবার পর আমি কনকনে ঠান্ডার ভেতরে নরসিংদি হয়ে সিলেট রওনা দিলাম। ভয় রাগ এ্যাডভেঞ্চার সব মিলিয়ে অন্য রকম লাগছিল।

ভয়ঙ্কর রকম ঠান্ডা আর কুয়াশা। ১০ হাত সামনের কিছু দেখা যায় না। ফগ লাইট হেড লাইট কোনটাই কাজে দিচ্ছে না। ২০-৩০ কিমি স্পিডে মটরসাইকেল চালাচ্ছি। পেছন থেকে ঢাকার কোচ সাই সাই করে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। তাও বোধায় ৪০-৬০ এর বেশি স্পিড হবে না। ট্রাক গুলো চলছে আমার মতই ধীরে ধীরে। কিছু সময় ট্রাকের পিছে পিছে চললাম। হেলমেটের ভাইজর ঘোলা হয়ে যায়। খুলে ফেললে মুখে ঠান্ডা লাগে। এক সময় হাইওয়ে ইন-এ গিয়ে থামলাম। চা কফি খেয়ে বসে আছি, দেখলাম হাইওয়ে পুলিশ ভ্যান রওনা দিল হবিগজ্ঞের দিকে। আমি দেরি না করে অনেক ক্ষণ পিছে পিছে গেলাম। তারপর তারা এক জায়গায় থামলে আমি পাশ কাটিয়ে আগে বাড়ালাম। ঘুটঘুটে অন্ধকার। ঘন কুয়াশা মাঝে মাঝে কুন্ডলি পাকিয়ে আরও ঘন করে দিচ্ছিল। আশপাশে কোন জীবনের অস্তিত্ব নেই। তখন ঘুমও পাচ্ছিল। আমারা দুজনে এক সময় আজাইরা কথা বলাবলি করলাম, চিৎকার করে গানের কলি আওড়ালাম। কারন থামার কোন সুযোগ নেই। ঘুম তাড়াতে হবে, বাইক চালাতে হবে। বুকের ভেতর ভয়। রাত ৩টায় মেয়ে লোক নিয়ে একা রাস্তায় যাচ্ছি, পেছনে টহল পুলিশ কে রেখে এসেছি, ঝিমানি চলে আসছে, ভয়ঙ্কর ঠান্ডা, হাড়ে গেঁথে যাচ্ছে। শুনেছি সিলেটের রাস্তায় নানা অঘটন ঘটে। লিখতে লিখতে এখন মনে হল, ওটা বয়সের একটা পাগলামী ছিল। এখন হলে আর পারব না।

ঘটনায় ফিরে আসি। কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যে হয়। দূর থেকেই একটা হলুদ লাইট বাঁশের খুটিতে ঝুলছিল দেখতে পেলাম। পাশেই কাঠের স্তুপ। বুঝলাম এটা কোন কাঠের স-মিল। হঠাই করেই মনে হল, রাস্তার উপর আড়াআড়ি করে কিছু ফেলা। প্রথমে ভালবাম ডাকাতির জন্যে হয়ত গাছের গুড়ি ফেলা হয়েছে। যেহেতু আমার মটর সাইকেল, তাই ভাবলাম কোন ক্রমে পাশ কাটিয়ে টান দিব । কিন্তু যেটা দেখলাম, সেটা চিন্তাও করিনি। দেখলাম, একটা কম বয়সি ছেলের ডেডবডি রাস্তায়, মাথা থেতলানো, মগজ বের হয়েছে, একটা চোখ ঠিক আছে, অন্য চোখটা গোটা বের হয়ে গেছে। রক্ত রাস্তার এক পাশ দিয়ে গড়িয়ে অন্য পাশে গেছে। ব্রেক করার সুযোগ ছিল না। রক্ত মারিয়ে আমাকে বাইক চালাতে হল। লাশটা ক্রস করেই আমি বাইক থামালাম। দ্বিধায় ছিলাম, থামানো ঠিক হবে কিনা। লুকিং গ্লাস দিয়ে পেছনে লাশটা দেখার চেষ্টা করলাম। দেখা যায় না। রাস্তা ফাকা, লাইটের আলো রাস্তায়। কিন্তু ঘাড় ঘুড়িয়ে যখন দেখলাম, দেখি রাস্তার উপর ঠিকই নীল জ্যাকেট আর কালো প্যান্ট পড়া একটা মানুষ পড়ে আছে। কতটা ভয় পেলাম, ভাষায় বোঝাতে পারব না। কনেকনে শীতেও গা গরম হয়ে উঠল।

আমার মিসেস বলল," থামলা কেন? হঠাৎ কুয়াশা দিয়ে অন্ধকার হয়ে গেছে। মানুষটাকে মনে হয় আগের বাসটা চাপা দিছে। এখনও রক্ত বের হচ্ছে। তুমি বরং সামনে গিয়ে কোন খাবার হোটেলে থাম।"

লুকিং গ্লাসে আমি যে লাশটা দেখতে পাচ্ছি না, সেটা আর বললাম না তখন। তারপর আবার বাইক স্টার্ট দিয়ে পানসি রেস্টুরেন্ট এ বসি। পাশেই তেলের পাম্প। লাশটার ব্যাপারে জিঞ্জেস করাতে ও বলল, 'মনে হয় ছেলেটার মাথায় আঘাত লাগছে। চেহারাটা হাসি হাসি। চোখ দুটা খোলা ছিল। মনে হচ্ছিল আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।'

এখানে লক্ষনীয় ব্যপার হল, আমরা দুজনেই একই লাশ দুটা ভিন্ন অবস্থায় দেখেছি। আমি দেখেছি মাথা থাতলানো আর একটা চোখ বের হওয়া আর সে দেখেছে স্বাভাবিক মাথা আর খোলা চোখ। দুজনেই থ মেরে থাকলাম। পরে ফজরের আজান দিলে হাত মুখ ধুয়ে, দোয়া দরুদ নতুন করে পড়ে আবার রওনা দিলাম। ঐ রাতে আমরা মোট ৯টা কুকুর বিড়াল, বেজি, শিয়াল রাস্তায় পিষ্ট হয়ে মরে থাকতে দেখেছি।

দক্ষিণ সুরমার ঢোকার আগে অদ্ভূদ একটা এক্সিডেন্ট দেখালাম। ট্রাকটার বগির সামনের আংশ পাশের খাদে আর বাকি অর্ধেকটা রাস্তার পাশের একটা অংশে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সকাল হয়ে গেছে। কাছেই একটা লোক দাঁত ব্রাস করছিল। জানাল, ঘন্টা খানেক আগেই এক্সিডেন্ট হয়েছে। কেউ মরেনি। ভাবনার বিষয় হল, একটা ফাঁকা রাস্তায় কোন কারন ছাড়াই, একটা ট্রাক কিভাবে দুভাগ হয়ে যায়?



ঘটনা ৫: সারাদিনের অফিস শেষে সন্ধ্যা ৭টার পর কাঁচা বাজার করতে গেলাম। খুব একটা ভীড় নেই। একটা পান্জাবী পড়া লোক বেশ কিছুক্ষণ হল আমার পাশেই দাড়িয়ে ছিল। ১ বার চোখাচোখি হয়েছে। আমার বয়সী হবে, চুল দাড়িতে পাক ধরেছে, মাথায় টুপি, পরনে সাদা মলিন পাঞ্জাবী আর লুঙ্গি। যে মুহূর্তে আমি ব্যাগ হাতে সেখান থেকে ফিরব, সে মুহূর্তে একটা খুব জোরে হাচি ফেলল আমার গায়ে। আমার বাম হাত এবং উরুতে নাকের পানি বা মুখের লালা ভিজিয়ে দিল।

আমি বললাম, ভাই একটু দেখে শুনে হাচি ফেলবেন না? আপনার তো দুহাত খালি, হাত দিয়ে মুখ ঢাকবেন না? আমার বাম সাইড তো পুরা ভরায়ে দিছেন। এখন গিয়ে গোসল করা লাগবে।

লোকটা বিনয় না দেখিয়ে বরং তেড়ে আসল। বলল, আমার হাচিতে আপনার গা মাখেনি। মিথ্যা বলতেছেন। বাজারের মধ্যে হাচি দেখে শুনে ফেলা লাগবে, কে বলছে?

আমি হাতের ছিটেফোটা পানি আশ পাশের লোকদের দেখালাম প্রমান স্বরুপ। তারপর বললাম, করোনার ভেতর তো সবাই সাবধানে হাচি কাশি দিয়েছে, আপনার এত জোরে হাচি পরে , আপনি সেটা প্রটেক্ট করবেন না?

আমাকে উচ্চ স্বরে বলে, মিথ্যা বলবি না। আমি তোর গায়ে হাচি দেই নি। তারপর আকাশের দিকে আঙ্গুল তুলে শব্দহীন ভাবে বলে, আল্লাহ আছে। অবাক করার ব্যাপার হল, ঠিক তার পরের কথাটা সে শব্দ করে বলে: তোর বিচার হবে। খুব তাড়াতাড়িই হবে...

আমি পাল্টা কথায় বললাম, আল্লাহ তোর একার না, সবার। চিল্লাস না, চোরের মায়ের ডাঙ্গর গলা... এ কথা বলে আমি নিজেই প্রস্থান করলাম, কারন আশপাশের লোকজন যারা দেখেছে, তারা ইতোমধ্যে ঐ লোকটাকে বকাবকি করছে। এর মধ্যে টিস্যু দিয়ে হাত মুছে ফেলি।

ঘটনা এখানে কিছু বোঝার মত কিছু নেই। আমি বাসায় ফিরে বাজার রেখে, বাইক নিয়ে বের হই রাত ১০টার দিকে। এদিক সেদিক চক্কর দিয়ে, ট্যাঙ্কি ফুল করে পেট্রল পাম্প থেকে বের হই। উদ্দেশ্য বাসায় ফেরা। হাইওয়ে ওভার ব্রিজের নিচ দিয়ে লিঙ্ক রোড হয়ে এলাকার রাস্তায় ঢুকবো। সামনেই অন্য একটা পেট্রল পাম্প। আমি স্থান বা পাম্পের নাম উহ্য রাখছি সঙ্গত কারনে।

যাইহোক, সামনের পেট্রল পাম্পের আলোক স্বজ্জা দেখতে পাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমি ব্লাক আউট হয়ে গেলাম। কারন এ পর্যন্তই আমি মনে করতে পারি। জ্ঞান ফিরলে দেখলাম, আমাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হচ্ছে। পাশ থেকে একজন জানালো, আমি এক্সিডেন্ট করেছি। তারপর যা হবার তাই । এখানে ট্রিটমেন্টের খুটি নাটি কথা এড়িয়ে যাচ্ছি লেখাটা ছোট রাখতে।

পুরো ১ মাস পঙ্গু হাসপাতালে থেকে বাসায় ফুল বেড রেস্টে আছি গত কয়েক মাস হল। লক্ষনীয় ব্যাপার হল, এই এক্সিডেন্টে আমার বাম হাত এবং বাম হাটু সহ ডিসটাল ফিমার হাড় ভেঙ্গে গুরা গুরা হয়ে যায়। শরীরের অন্য কোন জায়গায়, এত টুকু আচড় লাগেনি বা ছিলে ছুলে যায়নি। মানে, সেই রাতে বাজারে আমার গায়ে যে যে অঙ্গে হাচি বা লালা ছিটকে গেছে, ঠিক সেসব জায়গায় আঘাত পেয়েছি।

আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া, আমি বেঁচে আছি। ভাগ্যে থাকলে নতুন করে হাটা শিখব, আবারও বাইক রাইড করব ইনশাআল্লাহ। সবার দোয়া কামানা করি।

শেষে আর দুটো কথা বলব, আমি এক কবিরাজের কাছে বুজ দিয়েছিলাম। তারা জানালো, আমাকে মরন বান মেরেছিল। আমি যেহেতু দিনে রাতে বাইরে বের হলেই আয়তুল কুরসি পরে বের হই, তাই তারা সুযোগ পাচ্ছিল না। কোন ভাবে তারা দেখেছে আমার বাম হাত আর বাম পায়ের জিন্স প্যান্টে অপরিস্কার কিছু লেগে আছে, তাই কালযাদুর পানি ছেটাতে পেরেছে। ওটা নাকের পানি ছিল না। যদি বৃষ্টির মত আকাশ থেকে ছেটাতে পারত, মাথায় পড়লে আমি আর বাঁচতাম না।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ২ জনের কাছে জানলাম, আমি ঐ পেট্রল পাম্প ক্রসের সময় ৪০-৫০মতো স্পিডে চালাচ্ছিলাম। কিন্তু সামনে অটো রিস্কার সাথে বেজে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ব্রেক করার বা পাশ কাটানোর কোন ইচ্ছাই নাকি তারা আমার মধ্যে দেখেনি। ভাবলেশ হীন ছিলাম। আমি আগেই বলেছি, পেট্রল পাম্পের লাইটিং দেখেছি, কিন্তু তারপর মাঝখানের সময়টার, আমার কোন স্মৃতি নেই। অথচ এক্সিডেন্ট হয়েছে, পাম্প পার হয়ে অপর প্রান্তে। মাঝের ২০০ হাত রাস্তা আমি বাইকে ছিলাম, কিন্তু আমাতে আমি ছিলাম না। আমি স্বজ্ঞানে বাইক রাইড করিনি।

আরও জানলাম, ৭১ এ পেট্রল পাম্পের ঐ জায়গায় একটা ডোবা ছিল, যেখানে মিলিটারিরা অনেক লাশ ফেলেছিল। কালের প্ররিক্রমায় ডোবা ভারাট করে আজকের পেট্রল পাম্প। একই জায়গায় মাসে অন্তত ২ টা দুঘর্টনা ঘটে। রাত ১০ টার পর অনেকে সেই রাস্তাটা এড়িয়ে চলে।


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৩
১৮টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডঃ ইউনুস তারেক রহমান বৈঠকঃ কতটুকু নিশ্চয়তা দিলো সুষ্ঠু, নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক উত্তরণের?

লিখেছেন শেহজাদ আমান, ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৫



তারেক রহমানের সাথে ডঃ ইউনুসের সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে বিএনপিসহ দেশের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেকেই অনেক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, অনেকেই দারুণ আনন্দিত। অনেকেই, বিশেষ করে যারা বিএনপি করেন, মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ কি মালহামার সূচনা?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিন্তু এটি কি কেবল আধুনিক ভূরাজনীতি? নাকি এর পেছনে আছে ধর্মীয় ভবিষ্যদ্বাণীর ছায়া? ইসলামি শিক্ষায় বলা মালহামা—শেষ যুগের এক ভয়াবহ যুদ্ধ—সেই প্রসঙ্গই এখন নতুন করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাইপাঁশ

লিখেছেন আরোগ্য, ২০ শে জুন, ২০২৫ রাত ২:০৭

মধ্যিরাতে আমি আর আমার গাঁথা। না কবিতা প্রসব করার মত শক্তি নেই। মস্তিষ্কে চাপ দিতে ইচ্ছে করছে না। শব্দগুলো যেন মরুভূমির ধু ধু প্রান্তরে হারিয়ে গেছে। সেগুলো খুঁজে আনার সাধ্যি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের পারমাণবিক ঘোষণা: একটি ঐতিহাসিক অপরিহার্যতা

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৬

ইরানের পারমাণবিক ঘোষণা: একটি ঐতিহাসিক অপরিহার্যতা

ছবি এআইয়ের সহায়তায় তৈরি।

বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ইরানের জন্য পারমাণবিক শক্তি অর্জন ও ঘোষণা কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অপরিহার্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের সুন্দর মুহূর্ত ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০০





প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু সময় থাকে, যা হৃদয়ে গেঁথে থাকে চিরকাল। সেই সময়গুলো হয়তো খুব বেশি বড় কিছু নয়, কিন্তু সেগুলোর ছোঁয়ায় জীবন হয়ে ওঠে অর্থপূর্ণ, উজ্জ্বল। আমার জীবনেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×