
সমসাময়িক একটি আলোচিত শব্দ মেঘ বিস্ফোরণ বা ক্লাউডব্রাস্ট। আমার ধারনা এটা কোন এক প্রযুক্তিগত এ্যাডভান্স দেশের সৃষ্টি। কেননা পৃথিবীর মানুষ জানে, ১৯৬০ সালে আমেরিকা ক্লাউডসিডিং করে ভিয়েতনামে হঠাৎ ভীষণ বন্যা সৃষ্টি করেছিল, যাতে লুকানোর গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়, শত্রুপক্ষ নাযেহাল হয়।
কোথায় ১৯৬০ সালের ঘটনা আর আজ কোথায় ২০২৫। আমরা অনেকেই HAARP টেকনোলজির কথা জানি। বর্তমানে এটা এতটাই আধুনিক ও শক্তিশালী যে, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে কৃত্রিম ভূমিকম্প ঘটনো যায়। তুর্কির প্রেসিডেন্ট এরদোগান আঙ্গুল তুলেছিল HAARP টেকনোলজির উপর। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী তে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল ঠিক নির্বাচনের আগে ভাগে, ২০২৩ মে তে নির্বাচনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল। আমেরিকা চায়নি এরোগান আবার আসুক, উল্টো চাপে পরুক।
HAARP টেকনোলজি দিয়ে ভূমিকম্প ঘটনো যায় সেটা নিশ্চিত করেছিল ক্যানাডিয়ান এক বিজ্ঞানী। পরে সেটা ধামাচাপা পরে যায়। আমি বলছি না HAARP দিয়ে বন্যা সৃষ্টি করা যায় বা ক্লাউডব্রাস্ট ঘটনাে যায়। সম্ভবত: কোন সংস্থা বা দেশ এমন কিছু আবিষ্কার করেছে, যেটার পরীক্ষা বা প্রয়োগ চলছে বর্তমানে। ধরুন সেটার নাম: স্পট গেটওয়ে/ Spot Gateway.
Spot Gateway ধারনাটা এমন যে, একটা নির্দিষ্ট জায়গায় একটা কাঙ্খিত সময়ের জন্যে গেট খুলে যাবে, যেটা একই সময়ের অন্য একটি স্থানের গেট/দরজার সংযোগ/লিঙ্ক থাকবে।

উদাহরণ হিসেবে, চীনের একটা নদীর তলদেশে একটা Gateway তৈরী করা হল, যেটার Spot Gateway লিঙ্ক ২০ মিনিটের জন্যে খুলে দেয়া হল পাকিস্তানের নির্জন কোন পাহাড়ী এলাকায়। এখন চীনের নদীর সেই পানি সরাসরি চলে যাবে পাকিস্তানে। মানুষ টাইম মেশিনের কথা বলে, ধরুন এটা সেই টাইম মেশিন টাইপের কোন একটা টেকনোলজি।
আমি গত ১ সপ্তাহ ধরে মোটামুটি ১০০টার বেশি সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ভিডিও আর ছবি দেখেছি। এর ভেতরে কয়েকটা ভিডিও খুবই রহস্যজনক।
একটাতে দেখলাম, এঁটেল মাটি মিশ্রিত পানি যেমন লাল, তেমনি লাল পানি ঠিক ১০ সেকেন্ডের ভেতরে ৫০বর্গফুট জায়গায় উপর থেকে পড়ে মুহূর্তে ৩-৫ফুট উচ্চতার পানিতে ভাসিয়ে দিল। আকাশের মেঘে নিশ্চয় গাঢ় হলুদাভ পানি থাকে না।
২য় একটাতে দেখলাম, রোদেল দিন। আকাশের মেঘ থেকে ক্লাউড ব্রাস্ট হল না, যেন পাহাড়ী সেই ছড়া বা পানির সাধারন প্রবাহের ভেতর থেকে গলগল করে বিশাল পরিমান পানি একসাথে বেরিয়ে এল। সেখান থেকেই পাথর বা আশপাশের জিনিস সহো পাহাড়ী ঢল আকারে নিচের দিকে নামতে থাকল। দুটোই পাকিস্থানের ঘটনা।
ক্লাউড ব্রাস্টের কোন আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকে না। তবে আবহাওয়াবিদরা তালগোল পাকিয়ে একটা যুক্তি দাঁড় করিয়ে বলে দেন। সম্ভাব্য কারণের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট কিছু বলেন না। কিছুদিন আগে টেক্সাসে হল Cloudburst, প্রায় ১৩০ জন মারা গেল। এ মাসে পাকিস্থানে মারা গেল ৯০০+ মানুষ। ভারতে ২০+ মানুষ।
একটা জিনিস খেয়াল করে দেখুন, ভারত পাকিস্থানের কাশ্মীর নিয়ে যুদ্ধের পরপর পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ট্রাম্পের সাথে বৈঠক করে আসল, তারপর ১ মাস পরেই এই বন্যার / ক্লাউড ব্রাস্টের ঘটনা শুরু। প্রকাশিত কোন প্রকার চুক্তি ছাড়াই ভারতকে থামাতে ট্রাম্প কেন আগ্রহ দেখাল, পাকিস্থান কেন ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার ব্যাপারে ভোট দেবে? ভারত যুদ্ধ থেকে সরে আসল, সিন্ধু চুক্তিতে ভারত হেরে গেল, ভারতের উপর ৫০% কর চাপালো। আমার ধারনা ট্রাম্প এমনি এমনি এসব করেনি। গোপন কোন চুক্তি থাকতে পারে শাহবাজের সাথে। হতে পারে Cloudburst এর পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ দিয়ে এসেছে।

তারও আগে দুবাই আর কুয়েত যখন বন্যায় ডুবে গেল, তারা জানালো যে ক্লাউড সিডিং তারা নিজেরা করেনি। তাদের রাডারে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু Cloudburst বা অতিমাত্রার বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল না। এত উন্নত দেশ যদি ম্যানকাচিপার ভেতরে পরে, অন্যদেশ তো সেই অস্ত্রের কাছে নস্যি। মনে করে দেখেন, ঐ বন্যার পরপর ট্রাম্প কুয়েত ও সৌদিআরব সফর করে এবং প্রায় ৬০০-৮০০বিলিওন ডলারের কাজের অর্ডার আর জেট বিমান উপহার নিয়ে ফিরে যায় (মে ২০২৫)। প্রকৃতিকে খেলানো এখন বড় অস্ত্র। এখন আর শুধু নিউক্লিয়ার বোমায় শক্তিশালী রাষ্ট্ররা বসে নেই। তারা প্রমানহীন মারনান্ত্র তৈরীতে ব্যস্ত। এমনও জেনেছি, বজ্রপাত দিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে মেরে ফেলার মত অস্ত্র তৈরীতে তারা এগিয়েছে। এই 'তারা' বলতে আমেরিকা/চীন/রাশিয়া/ইসরাইল/নিউজিল্যান্ড বা যে কোন অগ্রসর দেশ।
দেখা যাক, কবে কখন মিডিয়া প্রমাণ সহ প্রকাশ করে... এখন নিউক্লিয়ার বোমা নিয়ে আমরা যতটা জানি ১০ বা ২০ বছর পর HAARP- Cloudburst - Spot Gateway- Spot lightning নিয়ে অনেক কিছু জানব। সে পর্যন্ত আয়ু থাকলে হয় !!!
ত্রিপুরা থেকে ফেনী ‘মেঘ বিস্ফোরণ’ ঘটেছিল
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



