somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইজ ইজ নট মাট্যার।ছাগল ছাগলই(মজার Experience)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম জীবনে ক্রিকেট খেলতাম।কাপাকাপি রকমের বোলার ছিলাম।এক ব্যাটসম্যানকে হেলমেটের শীক গিলানো আর একজনের হাটু ভাঙ্গার experience আছে আমার।কিন্তু মাঝে মাঝে আমার বলের লাইন বিগড়ে যেত।মনের দুঃখে আর আহত ব্যাটসম্যানদের অভিশাপে ক্রিকেট বাদ দিয়ে ভলিবল খেলা শুরু করলাম।
গত বছর আমার জেলা টিমের সাথে ভলিবল খেলতে গেলাম পাশের উপজেলার এক গ্রামে।চাম্পিয়ন টিম পাবে আস্ত একটা খাসী ছাগল।আমাদের জেলাতে আমরা সবসময়ই অপ্রতিরোধ্য চ্যাম্পিয়ন।খেলা ছিল আট টিমের কিন্তু বাকী ছয়(একটি টিম ছিল admin দের) টিমকে খেলার admin রা জানায়নি যে আমরা খেলাতে অংশগ্রহন করছি।সকালে রওনা হয়ে আমরা বেলা ১১টার মধ্যে খেলার মাঠে পৌছে গেলাম,মানে আমরা মাঠে পৌছানোর দিক দিয়েও চ্যাম্পিয়ন হলাম।
কিছুক্ষন পর একটা টিম এসে আমাদের চার পাশে ঘোরাঘুড়ি করে তাদের নসিমন ড্রাইভারকে বললো নসিমন স্টার্ট দিতে।আমরা শত অনুরোধ করেও তাদেরকে ঠেকাতে পারলাম না তারা চলেই গেল। এই ভাবে আরও তিনটা টিম এসে তাদের চেহারা দেখিয়ে গেল,তাদেরকে আমরা মাঠে নামাতে পারলাম না।মোবাইলের কল্যাণে অন্য টিমগুলোও আর আসলো না।শুধু মাঠে রইলাম আমরা আর খেলার admin দের টিমটা। ততক্ষণে বেলা দুইটা বাজে।নিয়ম অনু্যায়ী খেলার admin রা আমাদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার কথা কিন্তু তা তারা করলো না।
আমারা যখন বুঝতে পারলাম প্রতিযোগীরা রণেভঙ্গ দিয়েছে তখন আমরা আমরা টিম এডমিনদেরকে বললাম খেলা ওয়াকওভার দিয়ে আমাদেরকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষনা করে খাসী ছাগল টা আমাদেরকে দিয়ে দিতে ।এডমিনরা আমাদের কথা মানতে নারাজ।তাদের কথা হল,খেলা পরে হবে।অন্যদিকে আমরা আমাদের দাবিতে আটল।আমি টের পেলাম তারা সারা গ্রামে কি যেন খুজে বেড়াচ্ছে।আমরা তখনও খাওয়া দাওয়া করতে পারি নাই।অবশেষে বেলা তিন্ টার কিছু পরে একজন দৌড়ে হাপাতে হাপাতে এসে তাদের কানে কানে কি যেন বললো।সেই কথা শুনে তারা হাসি মুখে আমাদেরকে জানালো তাদের টিমের সাথে আমাদের সরাসরি ফাইনাল খেলা হবে এবং রানারআপ দলকেও চাগল দেওয়া হবে।কিছুক্ষণ পর মাঠের পাশে দুইটি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে এসে রাখা হল।আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম কিন্তু আমার টিমের কাউকে কিছু জানালাম না।
অবশেষে বিকাল চারটার খেলা শুরু হল।শুধুমাত্র মাঠের ছয়জনের সাথে নয় আমাদেরকে খেলতে হয়েছিল পুরা গ্রামের সাথে।খেলার রেফারীরা শুধু উল্টাপালটা রায় দেয় আর দর্শকদের ঝামেলা তো আছেই।যাইহোক, অতি কষ্টে আমরা ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়েরা তাদেরকে হারালাম।
এবার খেলার পুরস্কার দেবার পালা।যথারীতি আমাদেরকে খাসী ছাগল দেওয়া হল এবং আমাদের একজন খাসী ছাগলটিকে অতী মমতার সাথে কোলে তুলে নিল।আমি শুধু আমার টিমের ক্যাপ্টেনের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।আমাদের টিমের ক্যাপ্টেনের চেহারটা লিয়নার্দোর আকা মোনালিসার চেহারার মত লাগছিল,তাকে সান্তনা দিয়ে বললাম ‘সাইজ ইজ নট মাট্যার।ছাগল ছাগলই’ আমার কথার সাথে গ্রামবাসীরাও জোড়ালভাবে একাগ্রতা প্রকাশ করল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×