somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজ ইমুর বিয়ে।।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি ঘুমের মধ্যে একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। একটি মেয়ে আমাকে ডাকছে। মেয়েটির মুখ আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিনা তবে মনে হচ্ছে মেয়েটি অতি মাত্রায় রুপবতী। শ্যাম্পু করা ল্মবা চুল্গুল বাতাসে উড়ছিল এমনটা মনে হচ্ছে। মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ধরার জন্য। আমি ধরব কি ধরবনা এরকম ভাবছি এমন সময় কেউ এক জন ডাক দিল, ইমু এই ইমু।
গলাটা খুব পরিচিত মনে হচ্ছে তবে মনে করতে পারছিনা এটা কার গলা। মনে করার কোন দরকার নেই আপাতত স্বপ্নটা দেখতে পারলেই হয়।
আমি স্বপ্নটা দেখতে চাচ্ছি। এমন সুন্দর স্বপ্ন হাতছাড়া করতে নেই। একবার মেয়েটির হাত ধরতে পারলেই আমার স্বপ্ন স্বার্থক।
স্বপ্নটা আমার আর দেখা হলো না। স্বপ্ন এমন একটা জিনিস যা মন দিয়ে দেখতে হয় আর ভাবতে হয় কিন্তু আমি এর কোনটাই পারছিনা।কারন কেউ একজন আমার এটেনশন নষ্ট করে দিয়েছে।
চায়না খালা খুব মনোযোগ দিয়ে আমার অগুছালো ঘরটা দেখছেন। মেয়েরা খুব গুছালো হয় তাই তারা অগুছালো কোন কিছু দেখলে তারা গুছিয়ে দিতে চায় কিন্তু চায়না খালা ঠিক সে রকম না।
ইমু তাড়াতাড়ি উঠ। তোর জন্য সুখবর আছে।
আমি খালার সুখবর শুনে খুব খুশি হয়েছি এমন ভঙ্গিতে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে খালার পা ছুয়ে সালাম করে বললাম, খালা পাত্রী কি ঠিক হয়েছে?
খালা আমার এমন ভঙ্গিতে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, তুই জানলি কি করে তোর জন্য আমি মেয়ে ঠিক করেছি?
খালা সেটা জানা দরকারি না, দরকারি হলো মেয়েটার নাম জানা... মেয়েটার নাম কি?
পল্লবি।
বাহ অপূর্ব নাম। তো বিয়েটা কবে হচ্ছে?
বিয়ে কাল হবে?
আমি ধপ করে আবার বিছানায় বসে পড়লাম।
খালা আহত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, কিরে কি হয়েছে?
আমি বললাম কাল হলে তো বিয়েটা আমার করা হবেনা।
কেন কাল কি সমস্যা?
কাল গাজা সুজনের জন্মদিন। তার জন্মদিন উপলক্ষে আমি তিন পুরিয়া গাজা কিনে এনেছি। এই দেখ আমার পাঞ্জাবির পকেটে তিন পুরিয়া গাজা আছে।
আমি পকেট থকে বের করে খালাকে গাজা দেখালাম।
খালা চোখ কপালে তুলে বললেন , কিরে তুই গাজার পুরিয়া পকেটে নিয়ে ঘুমাস?
মানুষ গাজা যদি মাথার ভিতর ঢুকিয়ে ঘুমাতে পারে তবে আমি কেন পকেটে নিয়ে ঘুমাতে পারবনা?
তোর গাজাখুরি কথা শুনে লাভ নেই। আমি যা বলি মন দিয়ে শুন, পল্লবি তোর সাথে দেখা করতে আমার বাসায় যাবে। ওর হাতে সময় নেই তাই তোকে কালই বিয়ে করতে হবে। পরশু দিন ও কানাডা চলে যাবে। তাই কালই বিয়ে হবে। আমি তোর জন্য একটা পাঞ্জাবি কিনে এনেছি তুই এটা পরে আমার বাসায় এক ঘন্টার ভিতর যাবি। আর হ্যা শুন শেভ করে যাবি। আর তোর জন্য একটা জুতোও কিনেছি । জুতোটা পরে যাবি।
আমি অতি শান্ত গলায় বলালাম, খালা তুমি কি খাবে চা না কফি?
তোর কি মনে হয় আমি তোর এই গাদার আস্তাবলে বসে চা খাব? আমার তো দম বন্ধ হয়ে আসছে কি ভটকা গন্ধ।
সমস্যা নেই প্রথম প্রথম খারাপ লাগবে পরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। চা খাও এখানের চা খুব ভাল হয়।
খালা আমার কথার উত্তর না দিয়ে উঠে দাড়ালেন। বললেন, তুই এক ঘন্টার ভিতর রেডি হয়ে আয় আমি ততক্ষণ বাহিরে অপেক্ষা করছি।
আমার সামনে যে মেয়েটি বসে আছে তার নাম পল্লবি। মাত্র এম বি বি এস পাশ করেছে। মেয়েটির চেহারা লাজুক লাজুক। সে শাড়ি পরে এসেছে। শাড়ির আচল দিয়ে মাথা ঢেকেছে। এটা দেখে আমার খুব ভাল লাগছে। খালা আমাকে বললেন, তোরা কথা বল আমি তোদের জন্য চা নিয়ে আসি।
আমি পল্লবির দিকে তাকিয়ে হাসলাম । যে হাসির অর্থ তুমি ভয় পেয়না আমি তোমার পাশে আছি।
পল্লবিও হাসার চেষ্টা করল কিন্তু ঠিক মতো হাসতে পারল না তাই তাকে দেখে সার্কাসের ক্লাউনের মতো দেখাচ্ছিল।
আমি বলালাম, বিয়ের কতো দিন পর বাচ্ছা নিবেন? কয়টা বাচ্ছা নিতে চান? আর ছেলে বাচ্ছা পছন্দ করেন নাকি মেয়ে বাচ্ছা?
আমার কথায় পল্লবি হকচকিয়ে গেল। সে কিছু বলতে পারছেনা। লজ্জায় তার মুখ লাল হয়ে গিয়েছে।
আমি বললাম, এতে লজ্জা পাওয়ার কি আছে ? বিয়ে করলে তো বাচ্ছা নিবেন স্বাভাবিক তাইনা?
পল্লবির লজ্জা ভাব কেটে গেছে। সে কঠিন গলায় বলল, আপনি উঠুন। আপনি সোফা ছেড়ে উঠুন।
আমি ভদ্র ছেলের মতো সোফা থেকে উঠে দাড়ালাম।
পল্লবি চেচিয়ে বলল, তুই বেরিয়ে যা । তুই এক্ষুনি বেরিয়ে যা। তুই আমার সামনে থেকে সর। তোকে আমি বিয়ে করব না।
আমি তরল গলায় পল্লবিকে বললাম, পল্লবি আমি সরে যাব তার আগে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও? তুমি কয়টা বেবি নিবে?
রাগে পল্লবি হাত পা কিট কিট করছে এই মুহূর্তে যে কোন দুরঘটনা ঘঠে যেতে পারে। এই দুরঘটনা ঘঠার আগেই আমি চায়না খালার বাসা থেকে বেরিয়ে এলাম।
আজ আমাকে একবার গ্যামেট সম্রাটের মেসে যেতে হবে। সে নতুন মেসে উঠেছে তার নতুন মেস জীবনের কথামালা শুনে আসতে হবে।

লেখকঃ চৌধুরী মোহাম্মদ ইমরান
এম সি কলেজ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।


সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×