somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেদ তোমায় দিলেম ছুটি

২৯ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মুটিয়ে যাবার ভয় অনেকেরই থাকে। আর এই ভয়কে জয় করে একটা ফিট স্বাস্থ্য পেতে সচেষ্ট থাকেন কমবেশি সবাই। এজন্য কেউ জিমে ছোটেন আবার কেউবা কম খেয়ে দিন গুজরান করেন। যদিও পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে কার্যকর ডায়েট চার্ট কমিয়ে দিতে পারে মেদ ভাবনা। এই ফিচারে তুলে ধরা হলো মেদ কমানোর একটি ডায়েট চার্ট।

ডায়েট চার্টের পয়লা দিন
খাদ্যের প্রসঙ্গে পরে আসি। আগে বলি মনের কথা। এতোদিন যারা বেশ মজা করে তাড়িয়ে তাড়িয়ে রাজ্যের খাবার খেয়েছেন প্রথম দিনে তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা হবে মনের সাথে যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধে যতোই কান্ত হয়ে পড়ুন না কেন প্রথম দিনে ফল ছাড়া আর কোনো খাদ্য সামগ্রীর দিকে কিন্তু ভুলেও হাত বাড়ানো যাবে না।
আবার মেদভুড়ির বন্ধু বলে ফলের এই তালিকাতে কোনোক্রমেই রাখা চলবে না কলাকে। এছাড়া যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি যেমন তরমুজ, আম, পেপে, কমলা, আনারস প্রভৃতি যতোটা সম্ভব বেশি খেতে হবে। অন্যান্য ফল এবং ফলের রসও খাওয়া যাবে। তবে ডাবের পানিতে গলা ভেজানো যাবে না।

দিন নম্বর টু
ভাত-মাছ-মাংসের জন্য প্রাণ কাঁদলেও ওমুখো হওয়া যাবে না। আর সেই অভাব পূরণ করতে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবজি। ভাত ছাড়া সবজি খেতে বলায় আমাদের পাগল ঠাওড়াতে পারেন। কিন্তু কি করবেন বলুন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আর ডায়েট বিষয়ক বই-পুঁথিও যে একই কথা বলছে।
সে যাই হোক, দুঃখ বাদ দিয়ে বেশি বেশি সবজি খান। লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ডাঁটা, বরবটি, করোলা, কাঁচা পেপে, টমেটো, শসা থেকে শুরু করে যতো ধরণের সবজি বাজারে পাওয়া যায় তার সব পদই চেখে দেখতে পারেন এদিন। সেই সাথে পানি খান প্রচুর পরিমাণে।

তৃতীয় দিনের কথা
প্রথম দিন ফল খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন খেয়েছিলেন সবজি। আর আজ খাবেন ফল ও সবজি দু’টোই। কি একটু হলেও নিশ্চয়ই মন ভাল লাগছে। তবে এ আনন্দে যতো ধরণের ফল আর সবজি-ই উদরস্থ করুন না কেন ভুলেও হাত বাড়াবেন না কলা কিংবা আলুর দিকে। পানির সাথে বন্ধুত্বটা তৃতীয় দিনে আরো বাড়ান। সেই সাথে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে চেখে দেখতে পারেন ভেজিটেবল স্যুপ। এই স্যুপে সামান্য তেল দেয়া যেতে পারে, কিন্তু মসলা নয় মোটেও।

চার নম্বর দিন
সবকিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় দিনের শুরুতেই শরীরের অতিরিক্ত মেদে ভাঙ্গন ধরবার কথা। কিন্তু শরীর যেন হঠাৎ করেই ভেঙ্গে না পড়ে তাই চতূর্থ দিনে মেদের কথা ভুলে কিছুটা পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। আর এটা ভাবতে গিয়েই কলা খেতে হবে। হ্যাঁ, এতোদিন ধরে যেই ডায়েট চার্টের সাথে কলার সাপে-নেউলে সম্পর্ক চলছিল সেই কলাই আজ আপনাকে খেতে বলছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। তবে কলাভক্ত খাদকেরা আবার এই আনন্দে ডজনের পর ডজন কলা সাবার করে দেবেন না যেন। খুব বেশি ইচ্ছে হলে বড়জোর ২ হালি কলা খেতে পারেন। সেই সাথে খেতে হবে দুধ; কমপে তিন গ্লাস।

পঞ্চম দিনের খাবার
আজ আপনি গরুর মাংস খেতে পারবেন। চাই কি চেখে দেখা যাবে মুরগীর মাংস ও। ভাবছেন রসিকতা করছি। উহুঁ মোটেও নয়। সত্যি সত্যিই খানিকটা গরু কিংবা মুরগীর মাংস খেতে পারবেন ডায়েট চার্টের পঞ্চম দিনে। তবে শুধু শুধু মাংস না খেয়ে সাথে টমেটো কিংবা লাউ, কুমড়া দিয়ে রেঁধে খাবেন। মাংস রান্নার ক্ষেত্রে তেল-মসলা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া মাংস খাবার সময় পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পানিও খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।

ষষ্ঠ দিবসের ভাবনা
বেশ, বেশ, বেশ। আগের পাঁচদিন যদি সুবোধ বালক কিংবা বালিকার মতো সব পরামর্শ মেনে থাকেন তবে ষষ্ঠ দিনে পুরস্কার হিসেবে আপনি খেতে পারবেন সবজি এবং মাংস। তাও মেপে টেপে নয়, একেবারে উদরপূর্তি করে। অর্থাৎ এ দিন আপনার যতো খুশি মাংস ও সবজি খেতে পারবেন। তবে এই আনন্দে রুটিন মাফিক পানি খাবার কথা ভুলবেন না।

আজ শেষ (সপ্তম) দিন
আজ মনের আনন্দে খেতে পারবেন ফ্রুট জুস, সবজি ও ভাত। আহ! সবজি দিয়ে ভাত মেখে খাবার পর যদি দেখেন শরীরের ওজনটাও খানিকটা কমেছে তবে আনন্দের মাত্রাটা ষোলআনা হতে বাধ্য। সাধারণ হিসেবে সাতদিনের ডায়েট চার্টে আপনার ওজন কমবার কথা প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি। কিন্তু তাই বলে আবার ডায়েট চার্ট শেষ করবার আনন্দে তৎক্ষনাৎ গপাগপ বহুকিছু খেয়ে ফেলবেন না যেন। বরং ধীরে চলো নীতিতে পরিমাণমতো খাবার পথেই চলতে থাকুন। আর বাই-বাই বলুন মেদকে।

মনে রাখুন
১. সাতদিনে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। প্রতিদিন কমপে আট থেকে দশ গ্লাসতো বটেই।
২. ভুলেও অ্যালকোহলের ত্রি-সীমায় ঘেরা যাবে না।
৩. চা-কফি খেলেও তা খেতে হবে দুধ এবং চিনি ছাড়া।
৪. সপ্তম দিনের আগে কোনোভাবেই কোনো ফ্রুট জুস খাওয়া যাবে না।
৫. ডায়েট চার্ট ফলো করবার পাশাপাশি হালকা পরিশ্রমের কাজও চালিয়ে যান।
২৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×