মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিনি তাই আমার অবস্থা এর সাথে তুলনা করতে পারছি না। তবে এই নিশ্চয়তা দিতে পারি এটি এর থেকে কম কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। দুনিয়ার সকল কাজ করছি কোথাও মনোযোগ দিতে পারছি না। হাসতেছি কিন্তু বুক বার হয়ে আছে। কী যেন আমার পাজরের হাড়ের অভ্যন্তরে লুকানো সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শুষে নিচ্ছে।
এইটা ব্যাখা মনে হয় করা যাবে না। এই অনুভুতি আগে কোন দিন পেয়েছি বলে স্মরণ করতে পারছি না। পৃথিবীর কেউ যাতে এমন যন্ত্রণা দিয়ে না যায়। নুসরাত ফাতেহ আলী খানের কথা মনে পড়ছে আজ" ইয়ে আক কী দারিয়া হ্যা ডুব কে জানে পাড়ে গা।" এই আগুন বাস্তবে হলে ভাল হত। যখন শরীর পুড়ত মস্তিষ্কের অন্য কিছু ভাবার সময় থাকতো না। বুকের ভিতর শীতল স্রোতের নদীর ভয়ে যাওয়ার প্রশ্নই উঠতো না।
অনিশ্চয়তা আমকে খুড়ে খুড়ে খাচ্ছে। আর আমি কম বেশি অভিনয় করছি একে হালকা করার। জানি না এরই মাঝে কখন স্যানিটি হারায়। আর কোন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই। প্রতি নিয়ত এমন জ্বলতে আর ভাল লাগছে না। মানে আমি আর সইতে পারছি না। খুব অসহ্য লাগে সময়ে সময়ে। ইচ্ছে হয় একে বিসর্জন দিয়ে দেয় একবারে। যেইখানে কোন আশাও অবশিষ্টও থাকবে না। না এর মানে যে আমি কোথাও চলে যেতে চাই তা না। আমি আর নিতে পারছি না।
আজ ভাবছি অনুভূতি একটু কম হলে ভাল হত। একটু বোকা হলেও মন্দ হত না। আত্মনিয়ন্ত্রণের মন্ত্র শেখা জরুরি। কিভাবে নিজেকে নিজের থেকে বাচিয়ে রাখা যাই তাও শেখা জরুরি। এই না হলে আমি স্থির হয়ে বসতেও পারছি না।
আর লিখতে পারছি না।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




