এক বর্ষার রাতে সে গলে গলে জল হয়ে গেলো। তারপর বাকী ছিল ঝরে যাওয়া। চাইলেই কী আর যখন তখন ঝরে যাওয়া যায়! উপলক্ষ্য কিছুই ছিলো না। যতটুকু কষ্ট পেলে লোনাজলে ডুব দেয়া সম্ভব, ততটুকু কষ্ট ছিলো না, যতটুকু অভিমানে চলমান নদী হওয়া যায় ততোটা অভিমানও হয়নি। অথচ ভেতরে এক বিশাল বালুচড়া।গুমড়ে থাকা গ্রীষ্মের দুপুর!
আহা, বাষ্প হয়ে উড়ে গেলে বড় ভালো হতো, মেঘ হয়ে উড়ে গেলে শান্তি পাওয়া যেত। কেন এমন ব্যতিক্রমী ব্যথার ব্যঞ্জনা ঘিরে ধরে সরল জীবনযাপন!
সরলই তো ছিলো সবই, সকালের ভৈরবীর সাথে ঘুরে ফিরে দুপুরে শিবরঞ্জনীও মন্দ ছিল না। স্থবিরতা ছিল, যন্ত্রনা ছিলনা। যা কিছু না পাওয়া ব্যাখ্যার অতীত তো ছিলো না! বলা যেত" এখানে খটকা লেগেছে, এখানে এডিট করা দরকার!" প্রয়োজন জানা ছিল, পথও অজানা তাই ছিলোনা কোনোদিন। যেই না দূরের গোলাপী বাতিঘরে উপোষী চোখ গেল, অমনি দুই চোখে বালি, দুচোখ ঝাপসা, কিছুই আর স্পষ্ট করে চোখে পড়ে না!
চোখের কী হলো? সাদামাটা বিপণীবিতান আর ভালো লাগে না। চা কিনতে যেতে হয় জাপানী দোকানে, আলো কিনতে যেতে হয় চাঁদের কাছে!
ওই দোকানে কী এমন নতুন সম্ভার! কী এমন অদেখা অসাধারণ নতুন পসার? কেউ কি বলে দেবে? দোকানী কি জানে? দোকানী কি বুঝে-শুনে সাজিয়েছে দোকানের অনবদ্য চিত্রপট? দোকানীকে বলতে পারলে ভাল হতো," তোমার পসরা আমার সুখের বা আসুখের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এখন আমার জানা নাই আমি কেমন আছি, আমার খুব জানার ইচ্ছা আমি কেমন আছি!"
কাউকে কিছু বলা হয় না। অব্যক্ত থাকার জ্বালা অনেক। কাউকে কিছু বলা ভালো। ভালো না থাকার কারণ খুঁজে পেলে বলা যেত।বলা যেত কোন পথে হেঁটে গেলে পথের শেষ পাওয়া যাবে , কোন পথে আর একা লাগবে না!
বর্ষার রাতে গলে গলে জল হয়ে জমে যেতে যেতে সে একথাই ভাবে।
আহা, যদি ঝরে যাওয়া যেতো!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ সকাল ১০:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





