প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দিনের (৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর ২০১৫) সরকারী সফরে নেদারল্যান্ডে এসেছিলেন। এ সময় তিনি দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বেশ ক’টি মিটিংসহ নেদারল্যান্ড আওয়ামীলীগের আয়োজনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রবাসী নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াত দেশের ভালো চায় না। দেশের প্রতি তাদের কোনো মায়া নেই। তারা ষড়যন্ত্র করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে চায়।
অপর দিকে শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদ জানাতে নেদারল্যান্ড বিএনপির নেতাকর্মী রাজধানী আমস্টার্ডামে জড় হয়। তারা শেখ হাসিনার হোটেলের সামনের দাড়িয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তাদের হাতে ছিল খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বাংলাদেশে বিরোধীদলের উপর পুলিশি নির্যাতনের বিভিন্ন ছবি। প্রবাসী নেতা-কর্মীরা মাথায় কালো কাপড় বেধে হ্যান্ড মাইকে বলতে থাকে ‘হাসিনা যাবে যেখানে, প্রতিরোধ হবে সেখানে’।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি খালেদা জিয়া লন্ডনে তার প্রবাসী সমর্থকদের নিয়ে এক মিটিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, দেশে রাজনীতি করারা বা কথা বলার সুযোগ নেই। সুতরাং প্রবাস থেকে কথা বলতে হবে। তিনি বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা প্রবাস থেকে বেশি বেশি প্রতিবাদ করবেন। বিশেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারনা চালাবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ইতালির মিলানোয় এসেছিলেন গত ১৯ সেপ্টেম্বর। ২০ সেপ্টেম্বর মিলানো বিএনপির নেতাকর্মীরা তোফায়েল আহমেদের হোটেলের সামনে অবস্থান নেয়। তারা মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর নাম করে হোটেল লবিতে প্রবেশ করে এবং ধর ধর বলে মন্ত্রীকে ধাওয়া করে। তারা প্রায় দেড় ঘন্টা তোফায়েল আহমেদকে হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তাদের হাতে ছিল খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বাংলাদেশে পুলিশি নির্যাতনের ছবিসহ বিভিন্ন প্লাকার্ড। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মন্ত্রী হোটেল থেকে বেরিয়ে এক্সপোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ইতালির মিলানোয় এসেছিলেন এশিয়া ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনে (আসেম) যোগ দিতে। সে সময় মিলানোর বিএনপি আসেম সম্মেলন কেন্দ্রর ফটকে এবং শেখ হাসিনার হোটেলের সামনে দুই দিন ব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীকে জুতা এবং কালো পতাকা দেখিয়েছিল। তাকে প্রায় আড়াই ঘন্টা হোটেলে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীরা।
এমন ঘটনা প্রবাসে এখন অহরহ ঘটছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন যে বাংলাদেশি রাজনীতিকদের জন্য কী পরিমানে অনিরাপদ একটি শহরে পরিণত হয়েছে তা আলাদা করে বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। সম্প্রতি সময়ে সেখানে সরকারের নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে ভিন্ন মতের যে যান সুযোগ পেলে তার উপরই হামলে পড়ে আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রবাসী নেতাকর্মীরা। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়, গালাগাল করে, শারিরিক ভাবে লানচিত করে, গাড়ি লক্ষ করে ডিম, জুতা ছুড়ে মারে।
২
প্রবাসীরা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতি করে এ আর নতুন কিছু নয়। তারা বছরকে বছর ধরে আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আস্তাবল খুলে পকেটের টাকা খরচ করে বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতির চর্চা করে। এ কাজে তাদের উৎসাহ যোগান দেশের রাজনীতিকরা। তারা বিদেশি শাখাকে বেশ গুরুত্বের সাথে অনুমোদন দেন। বিভিন্ন সময় বিদেশে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করেন, সংবর্ধনা নেন, দামি দামি উপঢৌকন নেন। দেশিয় কায়দায় বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা করেন। কমিউনিটিতে হিংশা বিদ্বেষের বিষ ছড়ান দক্ষতার সাথে। ঢাকার নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের এসব কাজ থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। আওয়ামীলীগ বিএনপি নিবন্ধনের শর্ত ভেঙ্গে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে র্নিলজ্জ ভাবে।
এতদিন আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রবাসী শাখাগুলোর কাজ দলীয় মিটিং, ঢাকা থেকে কোনো নেতা এলে সংবর্ধনার নামে তাকে নিয়ে নাচানাচি এবং কমিউনিটিতে বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, প্রবাসী শাখাগুলো আগের মতো ঘরোয়া মিটিং সিটিং এ সীমাবন্ধ নেই। তারা রীতিমতো মারমুখি হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ঢাকার যে কোনো নেতা, এমপি, মন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেলেই তারা হামলে পড়ে। অশ্লীল গালাগাল করে, শারীরিক ভাবে লান্চিত করে। কোরবানির ঈদের আগে পরে প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই প্রবাসীদের বিক্ষোভ প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন। প্রবাসীরা তাকে কালো পতাকা দেখিয়েছে, তার গাড়ি লক্ষ করে জুতা, ডিম ছুড়ে মেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তিনি জাতিসংঘের একটি পুরষ্কার নিয়ে দেশে ফেরার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মী খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) তো লন্ডনে বসে ডিম মারায় ব্যস্ত।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের এক সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গেলে জেএফকে বিমানবন্দরে সমবেত হয়েছিল নিউইয়র্কে বসবাসরত আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির সমর্থকরা। তারা দু’পক্ষ মুখোমুখি হয়ে জেএফকে বিমানবন্দরে মারামারি করেছিল। এতে ১০ জন প্রবাসী আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল। একই ভাবে ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া তাদের বিদেশ সফরের সময় ইউরোপ, আমেরিকা এবং অষ্ট্রেলিয়ার বেশ ক’টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে প্রবাসীদের কালো পতাকা মিছিলের মুখে পড়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম কালো পতাকা দেখানো হয় টরেন্টোয় এবং খালেদা জিয়াকে নিউইয়ার্কে। এছাড়াও গত ক’বছরে আওয়ামীলীগ বিএনপির যে নেতাই বিদেশে গিয়েছেন তারাই কোনো না কোনো ভাবে প্রবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। কোথাও কোথাও শারিরিক ভাবে লান্চিত হয়েছেন। বিশেষ করে সরকারী দল আওয়ামীলীগের নেতা, মন্ত্রী, এমপিরা ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তাদের লক্ষ করে মুর্হুরমুহু জুতা এবং ডিম ছুড়ে মারা হয়েছে। অশ্লীল গালাগালের বন্যা বইয়ে দেয়া হয়েছে।
৩
ভিন্ন মতের, ভিন্ন দলের নেতা মন্ত্রী বিদেশে এলে বিক্ষোভ প্রতিবাদের নামে রাস্তায় নেমে আসা, তার উপর হামলে পড়ার প্রবাসী কালচার খুব বেশি দিনের নয়। এ কালচার মূলত শুরু হয় ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের বিশেষ সরকারের সময় থেকে। তারা জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে প্রায় দুই বছর স্বাভাবিক রাজনীতির টুটি চেপে ধরেছিল। সে সময় দেশে কেউ রাজনীতি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারতো না। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারতো না। ঢাকার রাজনীতিকদের উস্কানিতে সেই ঝাল মেটাতে শুরু করে প্রবাসীরা। তারা সরকার পক্ষের কাউকে হাতের নাগালে পেলেই তার উপর ঝাপিয়ে পড়তে শুরু করে। গালাগাল করে, শারীরিক ভাবে লান্চিত করে। তাদের হামলা থেকে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সম্পাদক, বিচারক, বুদ্ধিজীবী কেউই রেহাই পান নিই। বিশেষ সরকার বিদায় হলেও দেশের রাজনীতির রুপ খুব একটা বদলায়নি। শেখ হাসিনার সরকার ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনদের মতো করে বিরোধী দলের গলার উপর পা দিয়ে দাড়িয়ে দেশ চালাতে শুরু করে। হামলা, মামলা, খুন, গুম দিয়ে দেশকে প্রায় বিরোধী দল শূন্য করে ফেলা হয়। ৫ জানুয়ারী জালিয়াতির নির্বাচন করে সংসদ থেকেও বিরোধী দলের ল্যাঠা চুকিয়ে ফেলা হয়। সংসদ রাজপথ কোথাও বিরোধী দলকে সহ্য করা হয় না। বিএনপি জামায়াতের কার্যালয় পুলিশ দখল করে নেয়। তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হয় না। কথায় কথায় নেতাকর্মী গুম হতে থাকে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানির মধ্যে রাখা হয়। স্বংয় খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ের সামনে বালুর ট্রাক ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বড় বড় নেতাদের হাস্যকর মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতনের হিংশ্রতা থেকে সাংবাদিক, সমালোচক, বুদ্ধিজীবীরাও রেহাই পায় না। তাদের নামেও নানা কিসিমের মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়। হয়রানি করা হয়। দেশে মূলত একদলিয় শাসন কায়েম করা হয়। এর প্রতিকৃয়া ব্যাপক আকারে শুরু হয় প্রবাসে। শেখ হাসিনার সরকারের কেউ বিদেশে এলেই বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কালো পতাকা, জুতা, ডিম এবং নির্যাতনের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। প্রতিবাদ জানায়, প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এমনকি হজ্বে গিয়েও আওয়ামীলীগের নেতা মন্ত্রীরা প্রবাসীদের তোপের মুখে পড়েছেন। এ বছর (২০১৫) হজ্বে গিয়ে শেখ সেলিম এবং এ্যডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রবাসীদের দৌড়ানি খেয়েছিলেন। এদিক থেকে আওয়ামীলীগও পিছিয়ে থাকে না। তারাও বিএনপিসহ ভিন্নমতের মানুষদের উপর হামলা চালাতে দ্বিধা করে না।
বাংলাদেশিরা বাদে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের মানুষ প্রবাসে তাদের দলীয় রাজনীতি চর্চা করে বলে আমার জানা নেই। অন্য কারো জানা আছে বলেও মনে করি না। প্রবাসে দলীয় রাজনীতি করতে গিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বহু ভাবে দেশের ইমেজ সংঙ্কট সৃষ্টি করে। কমিউনিটির বদনাম করে। কমিউনিটির শান্তি শৃংঙ্খলা নষ্ট করে। কষ্ট করে আয় করা লাখ লাখ ইউরো, ডলার, রিয়াল, রিংগিত নষ্ট করে। এতদিন এ সব নিজেদের মধ্যে, কমিউনিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা রাজপথে নেমে এসেছে। প্রতিবাদ প্রতিরোধের নামে প্রকাশ্যে শান্তি শৃংক্ষলা নষ্ট করা হচ্ছে। রাজনীতিক থেকে শুরু করে দেশের বহু সম্মানিত মানুষকে সর্বোচ্চ অসম্মান করা হচ্ছে। এতে আমাদের দেশ এবং দেশের মানুষ বিদেশিদের কাছে ছোট হচ্ছে। দেশ এবং দেশের মানুষের ইমেজ সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশে রাজনীতি করতে না পেরে বিএনপির নেতাদের উস্কানিতে প্রবাসী কর্মীরা আজ বিদেশের রাজপথে নেমে সরকারি নেতা মন্ত্রীদের লান্চিত অপমানিত করছে। প্রবাসী রাজনীতিতে এই যে এক নতুন সংস্কৃতি শুরু হয়েছে তা আর কোনো দিন বন্ধ হবে বলে মনে হয় না। কাল বিএনপি বা অন্যকেউ ক্ষমতায় গেলেও এই কালচার অব্যাহত থাকবে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। যা কোনো ভাবেই দেশের জন্য, প্রবাসীদের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
দেশে গণতন্ত্র না থাকলে, রাজনীতি করার, কথা বলার পরিবেশ না থাকলে প্রবাস থেকে তার প্রতিবাদ করা যেতে পারে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কেউ এলে তাকে বিক্ষোভ দেখানো যেতে পারে। কিন্তু তা যদি নিয়ম বা প্রথায় পরিণত হয় তা কোনো ভাবেই মঙ্গলের হয় না। প্রবাসে বিক্ষোভ দেখানোর বা প্রতিবাদ করারও কিছু নিয়ম আছে, শৃংক্ষলা আছে। তা ভেঙ্গে দেশি কায়দায় অশ্লীলতা করা, গালাগাল করা, মারামারি করা কোনো ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। এখনি সময় এসব বন্ধ করার। যদি বন্ধ করা না যায় তবে আগামীতে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। এসব বন্ধের জন্য এখনি কার্যকর পদক্ষে নেয়া দরকার। প্রবাসীদের মার খেয়ে, দৌড়ানি খেয়ে, গালাগাল শুনেও আমাদের দেশের রাজনীতিকদের হুশ হয়নি। তারা প্রবাসে তাদের দলীয় মাতলামি বন্ধ করেনি। হাসিনা খালেদারা বিদেশে যাওয়ার আগে তাদের প্রবাসী সমর্থকদের নির্দেশ দেননি সংবর্ধনা বা প্রতিবাদের নামে অশান্তি বন্ধ করতে। তারা তাদের প্রবাসী শাখা ভেঙ্গে দেন নিই। তারা তাদের বক্তৃতার ভাষায় পরিবর্তন আনেন নিই। তারা বিদেশে এসেও দেশের পরিবর্তে আওয়ামীলীগ, বিএনপির নেতা মন্ত্রী হয়ে থাকতে বেশি পছন্দ করেন। সুতরাং তাদের কাছে প্রত্যাশা করে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন করেও তাদের ঠেকাতে পারেনি। (দৃশ্যত তারা চেষ্টাও করেনি, আইন করেই দায়িত্ব শেষ করেছে) আমি মনে করি এক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। আদালতের মাধ্যমে প্রবাসে দলের নামে বা বেনামে কোনো প্রকারের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা করার উপর নিষেধাজ্ঞা আনতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দেশপ্রেমিক কোনো বিচারপতি স্বপ্রণদিত হয়েও এগিয়ে আসতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫